এম ইদ্রিস ইমন, মোংলা (বাগেরহাট):
মোংলা বন্দরে কাউন্টার ওইল্ডলাইফ ট্রাফিকিং টিম বন্যপ্রানী পাচার প্রতিরোধের উপর প্রশিক্ষণ করা হয়।মঙ্গলবার (৩০ মে) দুপুর ১২টায় দুইদিন ব্যাপী এ প্রশিক্ষণের আজ সমাপনী অনুষ্ঠানে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মীর এরশাদ আলী প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে প্রশিক্ষণে অংশগ্রহনকারী মোংলা বন্দর’র ৬০ জন প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে সনদ পত্র বিতরণ করেন।প্রশিক্ষণের সার্বিক সমন্বয় করেন মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তাকমান্ডার আব্দুল্লাহ আল মেহেদী, (জি), বিএন।ICITAP এর নির্বাহী কর্মকর্তা ক্রেইগ ফুলস্টোন এবং দলের অন্য দুই সদস্য ড. নাসির উদ্দিন এবং ড. সামিয়া সাইফ। অংশগ্রহণকারীদের বন্যপ্রাণী অপরাধ মোকাবেলার গুরুত্ব ব্যাখ্যা করেন।এসময় অন্যান্য মারাত্মক অপরাধ যেমন অস্ত্র, মাদক, এবং মানব পাচারের সাথে বন্যপ্রাণী পাচারের যোগসূত্রের বৈশ্বিক ও বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট আলোচনা করেন।ফুলস্টোন বলেন, বিশ্বের বন্যপ্রাণীর অবৈধ বাণিজ্যের প্রায় ৯০ ভাগ সমুদ্রবন্দর দিয়ে শিপিং কন্টেইনারের মাধ্যমে হয়ে থাকে। আর এই অবৈধ বাণিজ্য বছরে ২০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সম পরিমাণ বলে অনুমান করা হয়। USAID এর অর্থায়নে ICITAP-এর বন্যপ্রাণী সুরক্ষা কার্যকলাপের অংশ হিসেবে সচেতনতা বাড়াতে এবং আন্তঃ-বাহিনি সহযোগিতাকে উৎসাহিত করার জন্য সারাদেশে কাজ করছে।তিনি মনে করেন বৈশ্বিক চাহিদা এবং বাংলাদেশের উন্নয়নের সাথে সাথে মোংলা সমুদ্র বন্দরের ব্যবহার ও গুরুত্ব দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে ।বাংলাদেশের পাশাপাশি পার্শ্ববর্তি দেশ ভারত, নেপাল এবং ভুটান এই বন্দর ব্যবহারে আগ্রহী হচ্ছে। কাজেই দিন দিন মোংলা বন্দরের পরিধি ও কলেবর বৃদ্ধি পাবে। ভবিষ্যতে বন্যপ্রাণী অপরাধের মত একটি বৈশ্বিক অপরাধ নিয়ন্ত্রণে এই ধরনের প্রশিক্ষণ মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের সক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করবে বলে তিনি মনে করেন।
মন্তব্য