১১ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৭শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ |
শিরোনাম:
আন্তর্জাতিক:
ইরানী’র ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের ‘মূল প্রযুক্তির গুঁড়িয়ে দিয়েছে কাতার ও ইরাকে মার্কিন ঘাঁটিতে হামলা করল ইরান ইসরাইলি হামলায় ১১ দিনে ইরানে নিহত ৫০০ রোহিঙ্গা সংকট মোকাবেলায় স্থানীয় নেতৃত্বের কোন বিকল্প নেই। কোস্ট ফাউন্ডেশনের আন্তর্জাতিক শরনার্থী দিবসের আলোচনা সভায় বক্তারা ঈদের পর লন্ডন সফরে যাচ্ছেন ড. ইউনূস রাতব্যাপী আলোচনার পর যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে ভারত-পাকিস্তান, ঘোষণা ট্রাম্পের পাকিস্তানি বাহিনীর গুলিতে ৫০ ভারতীয় সেনা নিহত’ ভারতের ১৫টি শহরে পাকিস্তানের পাল্টা হামলা, উভয় দেশে তীব্র সামরিক উত্তেজনা   ভারতের ১২ ড্রোন ভূপাতিতের দাবি পাকিস্তানে যুদ্ধের প্রস্তুতি শুরু করেছে ভারত
  • প্রচ্ছদ
  • অন্যান্য
  • বৈষম্যের স্বীকার বাদপড়া বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো
  • বৈষম্যের স্বীকার বাদপড়া বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো

      বাংলাদেশ সংবাদ প্রতিদিন

    নিউজ ডেক্স>>> বৈষম্যহীনতার স্বীকার বর্তমানে ৪১৫৯ টি বাদপড়া বেসরকারি বিদ্যালয়।সাবেক ফ্যাসিস্ট সরকার গত ৯ জানুয়ারী ২০১৩ সনে সারাদেশের সকল বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর জাতীয়করণ ঘোষণা করেন।ঘোষণার পূর্বেই মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের পরিসংখ্যান ভুলের কারণে ৩০ হাজার ৩৫২ টি বেসরকারি বিদ্যালয় থাকা সত্ত্বেও ২৬ হাজার ১৯৩ টি বেসরকারি বিদ্যালয় জাতীয়করণ ঘোষণা হয়।ফলে সারাদেশে ৪১৫৯ টি বিদ্যালয় বাদ পড়ে যায়।এমতাবস্থায় এই বিদ্যালয়গুলো জাতীয়করণের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন বিভাগ,জেলা,উপজেলা ও কেন্দ্রীয়ভাবে মানববন্ধন,সংবাদ সম্মেলন এবং স্মারকলিপির মাধ্যমে দাবীগুলো তুলে ধরা হয়।কিন্তু আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় বার বার শিক্ষকরা রাস্তায় নামলেও ফিরিয়ে দেওয়া হয় বিভিন্নভাবে আশ্বাস দিয়ে।তাই শিক্ষকদের দাবী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কবৃন্দ এবং উপদেষ্টারা যেখানে সোনার বাংলায় কোন বৈষম্য রাখতে চায়না সেইদিক থেকে দেখতে গেলে একমাত্র বাদপড়া বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো বৈষম্যহীনতার স্বীকার। যারা বেতন,ভাতা,অনুদান,ছাত্র- ছাত্রীদের বৃত্তি,টিফিন সবকিছু থেকেই বঞ্চিত।স্কুল পরিচালনাসহ স্কুলের যাবতীয় খরচ শিক্ষক- শিক্ষিকা নিজে বহন করাই শিক্ষকরা ভীষণ দূর্বিষহ জীবন কাটাচ্ছে।নিজের সংসারের খরচ বাঁচিয়ে স্কুলের চক,ডাস্টার কেনার কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে।এতটা বছর ধরে বিনা বেতনে স্কুল পরিচালনা করার দরুন বর্তমানে কারো পক্ষে আর স্কুল চালানো সম্ভব হচ্ছেনা।জাতীয়করণের আশায় বুক বেঁধে অনেকেই অবসরে গিয়েছেন,অনেকেই গিয়েছেন পরপারে।তাই তাঁদের স্লোগান -‘ হয় জাতীয়করণ,না হয় মরন’ ‘কেউ খাবে কেউ খাবেনা,তা হবেনা তা হবেনা’ ‘এক দেশে দুই নীতি,মানা যাবেনা মানা যাবেনা’ ‘শিক্ষকদের কান্নায়,ভেসে যাবে বন্যায়’,’এক দফা এক দাবী,জাতীয়করণ জাতীয়করণ,’ ‘বেসরকারি প্রাইমারী করে দাও সরকারি,’বিদ্যালয় আছে বেতন নাই, এমন দেশ কোথাও নাই।’এমতাবস্থায় শিক্ষকদের ভাষ্য ৪১৫৯ টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো বৈষম্যহীন ও সার্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করলে তৎকালীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নাম ইতিহাসের পাতায় ও শিক্ষকদের নয়নের মণিতে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।

    মন্তব্য

    আরও পড়ুন

    You cannot copy content of this page