১৩ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩০শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ |
শিরোনাম:
মাসব্যাপী বস্ত্র ও কুটির শিল্প মেলার উদ্বোধন পুঠিয়ার বানেশ্বর কলেজ মাঠে তানোরে তেলের বরাদ্দ না আসায় হাসপাতালের এম্বুলেন্স সার্ভিস বন্ধ ঘোষণা তানোরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে মামলা মদনে সরকারি খাস জমি দখল করে অবৈধভাবে বিল্ডিং নির্মানের অভিযোগ। পটিয়ায় পৈত্রিক সম্পত্তি দখল নেওয়ার চেষ্টা ভুক্তভোগীর আজমিনের অভিযোগ সাতকানিয়া নূর আহমদ উচ্চ বিদ্যালয় ক্রীড়া ও পুরস্কার বিতরণ ২০২৫ উদযাপন তানোরের সীমান্তবর্তী এলাকাই ফসলি জমিতে চলছে পুকুর খননের মহোৎসব অপারেশন ডেভিল হান্ট- পেকুয়ায় সৈনিকলীগের সভাপতি দখলবাজ ফোরকান আটক কৃষকলীগ নেতা প্যানেল চেয়ারম্যান : জনমনে ক্ষোভ, কৃষকলীগ নেতা প্যানেল চেয়ারম্যান :জনমনে ক্ষোভ
আন্তর্জাতিক:
  • প্রচ্ছদ
  • অন্যান্য
  • বৈষম্যের স্বীকার বাদপড়া বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো
  • বৈষম্যের স্বীকার বাদপড়া বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো

      বাংলাদেশ সংবাদ প্রতিদিন

    নিউজ ডেক্স>>> বৈষম্যহীনতার স্বীকার বর্তমানে ৪১৫৯ টি বাদপড়া বেসরকারি বিদ্যালয়।সাবেক ফ্যাসিস্ট সরকার গত ৯ জানুয়ারী ২০১৩ সনে সারাদেশের সকল বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর জাতীয়করণ ঘোষণা করেন।ঘোষণার পূর্বেই মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের পরিসংখ্যান ভুলের কারণে ৩০ হাজার ৩৫২ টি বেসরকারি বিদ্যালয় থাকা সত্ত্বেও ২৬ হাজার ১৯৩ টি বেসরকারি বিদ্যালয় জাতীয়করণ ঘোষণা হয়।ফলে সারাদেশে ৪১৫৯ টি বিদ্যালয় বাদ পড়ে যায়।এমতাবস্থায় এই বিদ্যালয়গুলো জাতীয়করণের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন বিভাগ,জেলা,উপজেলা ও কেন্দ্রীয়ভাবে মানববন্ধন,সংবাদ সম্মেলন এবং স্মারকলিপির মাধ্যমে দাবীগুলো তুলে ধরা হয়।কিন্তু আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় বার বার শিক্ষকরা রাস্তায় নামলেও ফিরিয়ে দেওয়া হয় বিভিন্নভাবে আশ্বাস দিয়ে।তাই শিক্ষকদের দাবী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কবৃন্দ এবং উপদেষ্টারা যেখানে সোনার বাংলায় কোন বৈষম্য রাখতে চায়না সেইদিক থেকে দেখতে গেলে একমাত্র বাদপড়া বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো বৈষম্যহীনতার স্বীকার। যারা বেতন,ভাতা,অনুদান,ছাত্র- ছাত্রীদের বৃত্তি,টিফিন সবকিছু থেকেই বঞ্চিত।স্কুল পরিচালনাসহ স্কুলের যাবতীয় খরচ শিক্ষক- শিক্ষিকা নিজে বহন করাই শিক্ষকরা ভীষণ দূর্বিষহ জীবন কাটাচ্ছে।নিজের সংসারের খরচ বাঁচিয়ে স্কুলের চক,ডাস্টার কেনার কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে।এতটা বছর ধরে বিনা বেতনে স্কুল পরিচালনা করার দরুন বর্তমানে কারো পক্ষে আর স্কুল চালানো সম্ভব হচ্ছেনা।জাতীয়করণের আশায় বুক বেঁধে অনেকেই অবসরে গিয়েছেন,অনেকেই গিয়েছেন পরপারে।তাই তাঁদের স্লোগান -‘ হয় জাতীয়করণ,না হয় মরন’ ‘কেউ খাবে কেউ খাবেনা,তা হবেনা তা হবেনা’ ‘এক দেশে দুই নীতি,মানা যাবেনা মানা যাবেনা’ ‘শিক্ষকদের কান্নায়,ভেসে যাবে বন্যায়’,’এক দফা এক দাবী,জাতীয়করণ জাতীয়করণ,’ ‘বেসরকারি প্রাইমারী করে দাও সরকারি,’বিদ্যালয় আছে বেতন নাই, এমন দেশ কোথাও নাই।’এমতাবস্থায় শিক্ষকদের ভাষ্য ৪১৫৯ টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো বৈষম্যহীন ও সার্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করলে তৎকালীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নাম ইতিহাসের পাতায় ও শিক্ষকদের নয়নের মণিতে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।

    মন্তব্য

    আরও পড়ুন

    You cannot copy content of this page