আবুল হাশেম, রাজশাহী বিভাগীয় প্রতিনিধিঃ
রাজশাহী বাঘা পৌরসভার আজিজুল আলম আস্তুল (৫০) এর ক্ষত-বিক্ষত লাশ উদ্ধারের ঘটনায় এক আসামীকে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১২ মে) উপজেলার চক আমোদপুর গ্রামের শহিদুল ইসলামের পুকুর পাড় থেকে আজিজুল আলম আস্তুল(৫০) লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সে বাঘা পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের চক আমোদপুর গ্রামের মৃত ইয়াকুব প্রামানিকের ছেলে। এ ঘটনায় নিহতের বড় ছেলে বাদি হয়ে থানায় মামলা করে। পুলিশ নিহতের ছোট ছেলে তারেক রহমান সনিকে আটক করে।পুলিশ জানায়, আজ শুক্রবার সকালে একই গ্রামের আমজাদ হোসেনের ছেলে খায়রুল ইসলাম পুকুরের পাশ দিয়ে যাওয়ার পথে তার লাশ দেখতে পেয়ে লোকজনকে খবর দেয়। স্থানীয়রা গিয়ে লাশ আজিজুল আলম আস্তুল এর বলে সনাক্ত করেন। পরে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে হেফাজতে নেয়।নিহতের বড় ছেলে ফারুক হোসেন জানান, ১৯৯৮ সালে তার পিতা আজিজুল আলম আস্তুল তার মা পারুল বেগমকে কুপিয়ে হত্যা করেছিল। হত্যার দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড আসামী ছিল। বছর দু’য়েক আগে করোনাকালীন সময়ে বিশেষ ব্যবস্থাপনায় মুক্তি পায়। বাড়িতে আসার পর থেকে মানসিক ভারসাম্যহীনভাবে এখানে সেখানে ঘুরে বেড়াতো। সে কারণে তাকে শিকলবন্দী করে বাড়িতে রাখা হতো। মাস খানেক আগে ঘরের জানালা ভেঙ্গে সে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। তারপর থেকে এলাকার গাছতলায় থাকতো। বাড়িতে থাকতোনা।বাঘা থানার ওসি খায়রুল ইসলাম জানান, লাশের মাথা, মুখ, চোখ, গলা ও শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাতের চিহ্ন দেখে ধারণা করা হয়েছে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। লাশ উদ্ধারে পর মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়ের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে মামলা হয়েছে। তার ছোট ছেলে তারেক রহমান সনিকে আটক করা হয়েছে। সে তার জবানবন্দিতে দায় শিকার করেছে।
মন্তব্য