মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন বিশেষ প্রতিনিধি চট্টগ্রাম>>>বাঁশখালীর তৈলারদ্বীপ সেতু হতে টৈটং বাজার পর্যন্ত প্রধান সড়কের দৈর্ঘ্য প্রায় ৩৪ কিলোমিটার। বাঁশখালী উপজেলার প্রধান সড়কটি দিয়ে চলাচল করে হাজার হাজার যানবাহন। চট্টগ্রাম হতে কর্ণফুলী আনোয়ারা ও ব্যাস্হময় বাঁশখালীর প্রধান সড়ক দিয়ে পেকুয়া, চকরিয়া, মহেশখালী ও কক্সবাজারগামী হয়ে বিভিন্ন গন্তব্যস্হলে পৌঁছায় অনেক মানুষ। কিন্তু বাঁশখালীর আঞ্চলিক এ প্রধান সড়কটি জুড়ে রয়েছে একাধিক ভুল নির্দেশনা সাইন, ছবিতে দেখা যাচ্ছে ডানে মোড় আসলেই কি ডানে মোড়? সেটা প্রশ্ন সাধারণ মানুষের। দেখুন নির্দেশনায় ডানে মোড লেখা থাকলেও বাস্তবে ঐ জায়গায় ডানে মোড নেই এবং রাস্তা সোজা।রাস্তায় চলাচলকারী কুমিল্লা হতে আগত ট্রাক চালক মনির বলেন, বাঁশখালীর প্রধান সড়কে গাড়ি চালানো অবস্হায় কয়েকটি সাইন দেখলাম বামে ও ডানে মোড় আসলেই কোন মোড নেই। ডানে মোড় বামে মোড় সাইগুলো দেখার সাথে সাথে আমি বামে বা ডানে যাওয়ার প্রস্তুতি নিলেও বাস্তবে রাস্তা সোজা এবং কোন মোড নেই এসব ভুল সাইনের কারনে আমি দূর্ঘটনার সম্মুখীন হতাম।আনোয়ারা হতে বাঁশখালী হয়ে পেকুয়াগামী দুজন মোটরসাইকেল রাইডার বলেন,ভোরে কুয়াশার মধ্য এসব ভুল সাইনগুলোর কারনে গাড়ি চালানোর সময় আমরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ছি। এসব ভুল নির্দেশনার কারণে মারাত্মক সড়ক দুর্ঘটনা হতে পারে।বাঁশখালীর সচেতন জনসাধারণের পক্ষে বাংলাদেশ প্রেসক্লাব বাঁশখালী শাখার সভাপতি আবদুর রহমান সোহেল বলেন, অতি দ্রুত বাঁশখালীর প্রধান সড়ক হতে এ ভুল সাইনগুলো তুলে সটিক সাইন বা নির্দেশনা বসিয়ে দিলে সড়ক দুর্ঘটনা কমবে। অনেকের দাবি এ ভুল সাইন নির্দেশনাগুলোর কারনে বামে বা ডানে গাড়ি চালাতে গিয়ে সড়ক দূর্ঘটনা ঘটছে।ভুল সাইন বা নির্দেশনাগুলোর মাঝে কয়েকটি হচ্ছে নাপোড়া, বাঁশখালী ফায়ার সার্ভিস সংলগ্ন, দারোগা বাজার, অলিমিয়ান দোকান, পাইরাং দেলা মার্কেটের দক্ষিণে, পাইরাং হট্রলতলা, চেচুরিয়া বিল ও চেচুরিয়া সেতু এলাকায় বিশেষ করে ভুল সাইনগুলো বসে আছে।সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের এ নির্দেশনা মেনে গাড়ি চালালে পড়তে হবে খাদে। এ ভুল নির্দেশনার কারণে যেকোনো মুহূর্তে দুর্ঘটনা বলে আশঙ্কা করছে স্থানীয়রা। দুর্ঘটনা এড়াতে দ্রুত সঠিক নির্দেশনার সাইনবোর্ড টাঙানোর দাবি তাদের। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এরই মধ্যে অনেকেই পড়েছেন বিভ্রান্তিতে। অপরিচিত কোনো যানবাহন এ নির্দেশনা অনুযায়ী চললেই ঘটবে দুর্ঘটনা।বর্তমানে সড়কটি দিয়ে যেসব যানবাহন চলাচল করছে সব যানবাহন চালক আইন অমান্য করছে কারণ সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ সংশোধনীতে আছে সড়কের প্যত্যকটি নির্দেশনা মেনে চলতে হবে এবং কোন আইন অমান্য করলে সর্বোচ্চ ১মাসের জেল অথবা ১০হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হতে পারে। এখন আইন মানলে আপনাকে যেতে হবে খালে অথবা বিলে। এবার সিদ্ধান্ত আপনার সড়ক পরিবহন আইন মেনে গাড়ি চালাবেন নাকি ডানে বামে মোড় নিয়ে খালে বিলে পড়বেন? বিবেক আপনার এবং চলাচলকারী সাধারণ মানুষের।এ বিষয়ে উপজেলা এলজিডি কর্মকর্তা কাজী ফাহাদ বিন মাহমুদ বলেন, বাঁশখালীর প্রধান সড়কটি সড়ক ও জনপদ এর আওতাধীন এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারছিনা।এ বিষয়ে সড়ক ও জনপদ বিভাগ চট্টগ্রাম এর নির্বাহী প্রকৌশলী পিন্টু চাকমা বলেন, এটি আমাদের আন্ডারে না এ বিষয়ে আমি কিছু জানিনা সড়ক বিভাগ দোহাজারী এর সাথে যোগাযোগ করেন।এ বিষয়ে সড়ক ও জনপদ বিভাগ দোহাজারীর উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী (অঃ দাঃ) জামাল উদ্দিন এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি আমাকে জানানোর জন্য ধন্যবাদ এ সাইনগুলো সম্পর্কে আমি কিছু জানিনা এবং আমাকে জানিয়েছেন আমি অতিদ্রুত এগুলো সংশোধন এর ব্যাবস্হা গ্রহণ করব।
মন্তব্য