এম ইদ্রিস ইমন, মোংলা (বাগেরহাট)>>>>
পুকুর থেকে কচ্ছপ উদ্ধার করে পরীক্ষা শেষে আবার পুকুরে অবমুক্ত করা হয়। গত ২৮ ও ২৯ মে সুন্দরবনের কোকিলমনি,পাটকোষ্টা ও দোবেকি বন টহল ফাঁড়ির পুকুর হতে কচ্ছপ উদ্ধার করে পরীক্ষা শেষে আবার পুকুরে অবমুক্ত করা হয়।এর আগে গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর কচ্ছপের বাচ্চা গুলো করমজল থেকে পরীক্ষা করার জন্য পাইলট প্রকল্প হিসেবে পুকুরে অবমুক্ত করা হয়েছিল।গত বছরের ১৪ নভেম্বরে করমজল বন্য প্রাণী প্রজনন কেন্দ্ৰ থেকে ৪০ চল্লিশটি কচ্ছপ সফট রিলিজ করা হয়। এর মধ্যে ২০ টি কোকিলমনি পুকুরে, ১০ টি পাটকোস্টা পুকুরে, ১০ টি দোবেকি পুকুরে অবমুক্ত করা হয়। সফট রিলিজ অর্থাৎ পাইলট প্রকল্প। দেখা হবে এই কচ্ছপগুলো প্রাকৃতিক পরিবেশে কেমন টিকে থাকতে পারে এবং কত বৃদ্ধি পায়।এবার পরীক্ষা করে দেখা যায় যেসব পুকুরে শেওলা অর্থাৎ কচ্ছপের খাবার উপযোগী পরিবেশ আছে, সেখানে গ্রোথ খুব ভালো কিন্তু খাবার কম সেখানে গ্রোথ খুব কম। এরপর যেসব পুকুরে খাবার আছে, সেখানে আরো কচ্ছপ অবমুক্ত করে সংখ্যা বৃদ্ধি করার পর সুন্দরবনে অবমুক্ত করা হবে।বাটাগুর বাসকা কচ্ছপের প্রকৃত আবাসস্থল ভারত, বাংলাদেশ ও মায়ানমার। এখন পৃথিবী থেকে বিলুপ্তির পথে। এরই মধ্যে অষ্টিয়ার ভিয়েনা জু, বাংলাদেশ বন বিভাগ, টি এস এ এবং প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশন যৌথভাবে করমজল ২০১৪ সালে প্রজননের কাজ শুরু করেন। ২০১৭ ও ২০১৮ সালে করমজলেই জন্ম গ্রহনকারী বাচ্চা যাদের বয়স ৫ বছর ও ৪ বছর তাদের মধ্যে থেকে অত্র ৪০ টি কচ্ছপ অবমুক্ত করা হলো।এসময় করমজল বন্য প্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জনাব হাওলাদার আজাদ কবীর ও অন্যান্য বনকর্মী বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য