২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ |
  • প্রচ্ছদ
  • এক্সক্লুসিভ >> শীর্ষ সংবাদ >> সোস্যাল মিডিয়া
  • নাগেশ্বরীতে পল্লী বিদ্যুৎ এর আগুনে চাউলঘর পুড়ে ছাই
  • নাগেশ্বরীতে পল্লী বিদ্যুৎ এর আগুনে চাউলঘর পুড়ে ছাই

      বাংলাদেশ সংবাদ প্রতিদিন

    বিপুল রায়- স্টাফ রির্পোটার কুড়িগ্রামঃ>>>

    কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির উদাসীনতা ও অবহেলায় এক চাউল কল মালিকের চাউল কল পুড়ে ভস্মিভূত হয়েছে। এতে ২১ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতির অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে পল্লি বিদ্যুৎ সমিতি নাগেশ্বরী জোনাল অফিসের ডিজিএম আব্দুল হালিম ও ঠিকাদার, কুড়িগ্রাম ত্রিমোহনী এলাকার শামছুল হক ভাংরি’র বিরুদ্ধে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী চাউলকল মালিক নুরে আলম সিদ্দিকী (৪৫)। অভিযোগে জানা যায়, নাগেশ্বরী পৌরসভার মালভাঙ্গা এলাকার মৃত আজগার আলীর ছেলে নুরে আলম সিদ্দিকী রাজুর ভূমি চাউল কল নামক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের উপর দিয়ে বিদ্যুতের সংযোগ লাইন রয়েছে। গত ৮ জুন বৃহস্পতিবার ঠিকাদার শামছুল হক ভাংরির অধীনে ৪—৫জন শ্রমিক চাউল কলের স্থানে বিদ্যুতের খুটি পরিবর্তনের কাজ করেন। কাজ করাকালীন সময়ে পল্লি বিদ্যুতের ডিজিএম ও ওই ঠিকাদারের উদাসীনতায় বিদ্যুতের লাইন বন্ধ না করেই কাজ করতে থাকেন। খুঁটি পরিবর্তনের কাজ করার এক পর্যায়ে খঁুটির ১১ হাজার ভোল্টেজের তার চাউল কলের ঘরের টিনের চালের উপর পড়লে ঘর ও ঘরে থাকা নগদ অর্থসহ যাবতীয় মালামাল পুড়ে ভস্মিভূত হয়ে যায়। এতে ১০ লাখ টাকা ব্যায়ে নির্মিত চাউল কল ঘর, ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা মূল্যে ৫টি মোটর, ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের ৩৫০ মণ ধান, ৩ লাখ টাকার ডিস লাইনের মালামাল, ১ লাখ টাকা মূল্যের চাউল ঝাড়ার মেশিন, ২৪ হাজার টাকার ১২টি ৪ইঞ্চি পাইপ, ৭৫ হাজার টাকার একটি হলার সেট, ৩ হাজার ৫০০ টাকা মূল্যের একটি স্প্রে মেশিন, ১ লাখ টাকা সমমূল্যের অন্যান্য মালামালসহ মোট ২১ লাখ ২ হাজার ৫০০ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে। বিশাল এই ক্ষতির পরে চাউলকল মালিক রাজু দিশাহারা হয়ে পড়েন এবং ডিজিএম আব্দুল হালিম ও ঠিকাদার শামছুল হক ভাংরির সাথে ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে কথা বলতে গেলে তারা তার সাথে অসাদচরণ করেন এবং তাকে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি ও হুমকী প্রদান করে তাড়িয়ে দেয়। পরে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গের সহযোগিতায় বিষয়টি মিমাংসার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন।
    এ বিষয়ে ভূমি চাউলকল মালিক নুরে আলম সিদ্দিকী রাজু বলেন, আমার কষ্টে গড়া ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পল্লী বিদুতের কর্মকর্তা কর্মচারীদের অবহেলা আর উদাসীনতায় পুড়ে ভস্মিভূত হয়ে গেলো। অথচ আমি তাদেরকে এগুলে বললে উল্টো আমার সাথে খারাপ আচরণ করেন এবং আমাকে ভয়ভিতি ও হুমকী প্রদান করছে। আমি এর সঠিক বিচার চাই এবং আমার সকল ক্ষতিপূরণ চাই। পল্লী বিদ্যুতের ঠিকাদার শামছুল হক বলেন, ওরা ৫জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেউক আর না হয় ১০০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেউক তাতে আমার যায় আসে না। ওরা জিডি করে না কী করে করুক সমস্যা কী? কারণ আমি তো আর যায়া আগুন ধরে দেই নাই। আমার করার তো আর কিছু নাই।নাগেশ্বরী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) আব্দুল হালিম বলেন, আমরা একটা তদন্ত কমিটি করে দিয়েছি। এটার তদন্ত হলে বোঝা যাবে। ওনারা বলতেছে আমরাই লাগাইছি। কিন্তু আমরা কীভাবে আগুন লাগাব বলেন, আমাদের আগুন লাগানোর সুযোগ আছে? আর কীভাবে আগুন লেগেছে সেটাতো আমি জানি না।নাগেশ্বরী থানার ওসি (তদন্ত) তামবিরুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

    মন্তব্য

    <img class=”alignnone size-full wp-image-29676″ src=”https://bdsangbadpratidin.com/wp-content/uploads/2024/05/IMG_20240503_224849-2.jpg” alt=”” width=”100%” height=”auto” />

    আরও পড়ুন

    You cannot copy content of this page