সোহেল রানা,তানোর(রাজশাহী)প্রতিনিধি>>> রাজশাহীর তানোরে কামারগাঁ সরকারী খাদ্য গুদামে নানা অনিয়ম জেঁকে বসেছে।জানা গেছে,তানোরের কামারগাঁ ইউপিতে দুটি সরকারী খাদ্যগুদাম রয়েছে।অধিকাংশক্ষেত্রে এখানে স্বাভাবিক নিয়মে কোনো কাজ হয় না।কাজে ক্রটি থাক বা নাই থাক পদে পদে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আর্থিক সুবিধা দিতে হয় ব্যতিক্রম হলে পদে পদে হয়রানি।এছাড়াও ডিওলেটার আটকিয়ে টাকা আদায়,রাঁতের আঁধারে ভাল মাণের চাল বের করে নিম্নমাণের চাল গুদামজাত,বিশেষ কৌশলে বস্তা থেকে চাল বের করে নেয়া ক্র্যাসিংয়ে মিলারদের চিকন ধান দিয়ে মোটা চাল নেয়া ইত্যাদি অভিযোগ রয়েছে।স্থানীয়রা জানান,জনৈক জুয়েলের মাধ্যমে ক্র্যাসিংয়ে চিকন ধান দিয়ে মোটা চাল নেয়া, কালোবাজারে কেনা ভিজিডি ও খাদ্যবান্ধব কর্মসুচির চাল সংগ্রহ হিসেবে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ফেয়ারপ্রাইস কর্মসুচির এক ডিলার বলেন,গুদাম কর্মকর্তার নেপথ্যে মদদে সব অনিয়মের নিয়ন্ত্রক কতিপয় কর্মচারি তার মাধ্যমেই এসব অনিয়ম হয়ে থাকে।তিনি বলেন, তাকে আর্থিক সুবিধা না দিলে বেছে নিম্নমাণের চাল গছিয়ে দেয়।প্রতিবাদ করলেই কপালে শণির দশা-?প্রসঙ্গত প্রায় ৬০ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য পাচারের অভিযোগে ২০২০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর রাজশাহী দুর্নীতি দমন কমিশনের উপ-সহকারী পরিচালক কামিয়াব আফতাহি উন নবী বাদি হয়ে জেলা দুর্নীতি দমন কমিশনে মামলা করেন।মামলায় আসামি করা হয় উপজেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা (টিসিএফ) (তৎকালীন) আলাউল কবির, কামারগাঁ খাদ্য গুদামের (তৎকালীন) কর্মকর্তা(ওসিএলএসডি) নয়ন কুমার,সহকারী উপ খাদ্য পরিদর্শক আজিজুর রহমান ও নিরাপত্তাকর্মী কুরবান আলী। এসব বিষয়ে জানতে চাইলে কামারগাঁ সরকারী খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসিএলএসডি) রেজাউল ইসলাম এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,আগে কি হয়েছে সেটা তার বিষয় নয়,তবে তার সময়ে অনিয়ম-দুর্নীতির কোনো সুযোগ নাই।
মন্তব্য