২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ |
  • প্রচ্ছদ
  • জাতীয় >> শীর্ষ সংবাদ
  • তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের জন্মদিন আজ
  • তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের জন্মদিন আজ

      বাংলাদেশ সংবাদ প্রতিদিন

    আব্দুল্লাহ আল মারুফ নিজস্ব প্রতিবেদক চট্টগ্রাম>>> গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের শুভ জন্মদিন আজ। ১৯৬৩ সালের ৫ মে চট্রগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণকারী ড. হাছান মাহমুদ চট্টগ্ৰাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রসায়ন সাস্ত্রে স্নাতকোত্তর ডিগ্ৰী লাভ করেন। পরে তিনি বেলজিয়ামের লিম্বুর্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পরিবেশ বিজ্ঞানে পিএইচডি ডিগ্ৰী লাভ করেন। তিনি স্কুল ও কলেজ জীবন থেকেই ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত ছিলেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতির গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সততা ও নিষ্ঠার সহিত পালন করেন। তিনি আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন এবং বর্তমানে ক্ষমতাসীন দলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে যোগ্যতার সাথে দায়িত্ব পালন করছেন।

    তিনি চট্টগ্রাম-৬ ও ৭ আসন থেকে ৯ম, ১০ম ও একাদশ সংসদে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন। বিশেষ করে তিনি দেশের বহুল আলোচিত- সমালোচিত এবং বিতর্কিত স্বাধীনতা বিরোধী সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে বিপুল ভোটে হারিয়ে অনন্য কৃতিত্ব অর্জন করেন।একই সাথে তিনি বন ও পরিবেশ প্রতিমন্ত্রী এবং মন্ত্রীর কৃতিত্বের সহিত দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে তিনি তথ্য মন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। আন্তর্জাতিক জলবায়ু বিশেষজ্ঞ হিসেবে তিনি ব্যাপকভাবে পরিচিত লাভ করেন, এবং ড. হাছান মাহমুদ বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের খন্ডকালীন শিক্ষকও।অত্যন্ত সহজ সরল ও সাদামাটা জীবন যাপনে অভ্যস্ত ড. হাসান মাহমুদ নিরহংকারী এবং সদালাপী একজন ভাল মানুষ। তার জীবনের আরও সাফল্য ও উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করছি। আল্লাহ তাকে দীর্ঘ ও সুস্থ জীবন দান করুন। আমিন।এদিকে ড.হাসান মাহমুদের জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সাংবাদিক মহলসহ সাধারণ মানুষ।

    এক নজরে ড. হাসান মাহমুদ

    প্রারম্ভিক জীবনী:>>>ড. হাছান মাহমুদ ১৯৬৩ সালের ৫ জুন চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৮৮ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রসায়ন বিষয়ে স্নাতক এবং ১৯৮৯ সালে স্নাতকোত্তর শেষ করেন।তিনি ২০০১ সালে বেলজিয়ামের লিম্বুর্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পরিবেশ রসায়ন বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।

    রাজনৈতিক জীবনঃ (১৯৭৭-২০০০)>>হাছান ১৯৭৭ সালে চট্টগ্রাম ওয়ার্ড শাখা ছাত্রলীগে যোগদানের মাধ্যমে ছাত্ররাজনীতি শুরু করেন।১৯৭৮ থেকে ১৯৭৯ পর্যন্ত তৎকালীন সরকারি ইন্টারমিডিয়েট কলেজ (বর্তমান সরকারি হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজ) শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ১৯৮৮ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ১৯৯২ সালে তিনি আওয়ামী লীগে যোগদান করেন। ১৯৯৩ সাল থেকে তিনি বেলজিয়ামে অবস্থানকালে সেখানকার আওয়ামী লগের বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেন। এর মধ্যে ১৯৯৫ থেকে ২০০০ সালের মার্চ পর্যন্ত বেলজিয়াম শাখা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।ড. হাছান মাহমুদ ২০০১ সালে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার বিশেষ সহকারী এবং ২০০২ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত। দলটির পরিবেশ ও বন বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। ২০১৯ সাল পর্যন্ত তিনি দলের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ছিলেন। ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রথমবারেরমত আওয়ামী লীগের মনোনয়নে চট্টগ্রাম-৬ আসন থেকে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে পরাজিত করে ১,০১,৩৪০ ভোট পেয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।এ সময় শেখ হাসিনার তৃতীয় মন্ত্রিসভায় তিনি ২০০৯ সালের ৮ জানুয়ারি থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত প্রথমে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী, একই বছরের ১ আগস্ট থেকে ২০১১ সালের ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী এবং পরবর্তীতে একই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এবং ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি চট্টগ্রাম-৭ আসন থেকে নির্বাচিত হন। দশম জাতীয় সংসদে তিনি পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। একাদশ জাতীয় সংসদে শেখ হাসিনার চতুর্থ মন্ত্রিসভায় তিনি তথ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পান।সম্মাননা:>> জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে ভূমিকার জন্য ৫ অক্টোবর ২০১৫ সালে “গ্রিন ক্রস ইন্টারন্যাশনাল” সাধারণ অধিবেশনে হাসান মাহমুদকে “সার্টিফিকেট অব অনারেবল মেনশনে” ভূষিত করে।

    মন্তব্য

    <img class=”alignnone size-full wp-image-29676″ src=”https://bdsangbadpratidin.com/wp-content/uploads/2024/05/IMG_20240503_224849-2.jpg” alt=”” width=”100%” height=”auto” />

    আরও পড়ুন

    You cannot copy content of this page