২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ |
  • প্রচ্ছদ
  • এক্সক্লুসিভ >> চিত্র বিচিত্র >> জীবন গল্প >> দেশজুড়ে >> রংপুর >> লাইফস্টাইল >> শীর্ষ সংবাদ >> সোস্যাল মিডিয়া
  • ঠাকুরগাঁও শিশুশ্রম মুক্ত বলা হলেও বাস্তবতায় উল্টো বেসরকারী সংস্থাগুলো মিথ্যাচার করছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ
  • ঠাকুরগাঁও শিশুশ্রম মুক্ত বলা হলেও বাস্তবতায় উল্টো বেসরকারী সংস্থাগুলো মিথ্যাচার করছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ

      বাংলাদেশ সংবাদ প্রতিদিন

    আনিসুর রহমান মিঠু, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ>>>

    শিশুশ্রম বন্ধে প্রকল্প হাতে নিয়ে কয়েক বছর ধরে ঠাকুরগাঁও জেলার রানীশংকৈল উপজেলায় শিশুশ্রম নিরসনে কাজ করছে ইএসডিও নামের একটি বেসরকারি সংস্থা। সংস্থাটির এই প্রকল্পটির কর্মকর্তারা ইতোমধ্যেই ওই উপজেলার ধর্মগড়, নেকমরদ, লেহেম্বা, বাচোর ইউনিয়নকে শিশুশ্রম মুক্ত ঘোষণা করছে এবং প্রকল্পের দায়িত্বরতরা গত ১২ জুন রানীশংকৈল উপজেলা পরিষদ হলরুমে বিশ্ব শিশুশ্রম বন্ধ দিবস পালন করেও এ ঘোষণা দেন।

    কিন্তু শিশুশ্রম প্রকল্প কমিটি ওই চার ইউনিয়নকে শিশুশ্রম মুক্ত ঘোষণা করলেও বাস্তব চিত্র কিন্তু পুরোটাই উল্টো। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, স্থানীয় এক হোটেলে দিন ৩০০ টাকার বিনিয়মে কাজ করছে শিশুশ্রম মুক্ত ঘোষিত লেহেম্বা ইউনিয়নের বারো বছরের রিসাদ ইসলাম। বাচোর ইউনিয়নের আবুল কাইয়ুম শাহীন ইলেকট্রিক ওয়ার্ক সপে ঝালাইয়ের কাজ করছে।

    শাহীন জানায়, আট মাস ধরে সে ঝালাইয়ের কাজ করছে। দিনে এক বেলা খেয়ে ১০০টাকা মজুরী পায় সে। শুধু শাহীন, রিসাদ নয় আরো অনেক শিশুই ওই উপজেলার বিভিন্ন স্থানে শ্রমের কাজে ঘাম ঝড়াচ্ছে।

    জাতিসংঘ শিশু অধিকার সনদ অনুযায়ী, একটি শিশুকেও তার জীবিকা নির্বাহের জন্য কোনো প্রকার শ্রমে নিয়োজিত করা যাবে না। কিন্তু বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে শিশুরা শ্রমে জড়িত ।

    স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলছেন, দেশের অনেক এনজিও শিশুদের জন্য বিদেশ থেকে যে তহবিল সংগ্রহ করে, তার কতটুকু শিশুদের জন্য ব্যয় হয়, সেই প্রশ্ন থেকেই যায়। আসলে বেসরকারী সংস্তা গুরি তাদের তহবিল সংগ্রহের জন্য মিথ্যাচার করছে। ঠাকুরগাঁওয়ে একটি বেসরকারী সংস্থা সেমিনার করে ৪ টি ইউনিয়নকে শিশুশ্রম মুক্ত ঘোষণা করেছে। কিন্তু এ ৪ ইউনিয়ন গুলিতে গিয়ে দেখতে পাবেন শিশুরা মাঠে, দোকানে কাজ করছে। যা তদন্তের প্রয়োজন। কারন যে কারনে প্রকল্প নেয়া হয়েছে তা কতটুকু বাস্তবায়ন হয়েছে তা সকলের জানা প্রয়োজন।

    তবুও শিশুশ্রম প্রকল্পের ম্যানেজার আকলিমা বেগম জানান, রানীশংকৈল উপজেলার নেকমরদ, ধর্মগড়,লেহেম্বা ও বাচোর ইউনিয়নকে শিশুশ্রম মুক্ত রয়েছে বলে জানান তিনি ।

    আর প্রকল্পের সভাপতি ও রানীশংকৈলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবির স্টিভ জানান, শিশুশ্রম বন্ধে সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন সংস্থা কাজ করছে। তবে কতিপয় অসাধু ব্যক্তি শিশুদের নানা রকম প্রলোভন দেখিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ শ্রমে টেনে নিচ্ছে তাদের। তবে এরকম তথ্য পেলে আমরা এটি বন্ধে দ্রুত পদক্ষেপ নিবো।

    মন্তব্য

    <img class=”alignnone size-full wp-image-29676″ src=”https://bdsangbadpratidin.com/wp-content/uploads/2024/05/IMG_20240503_224849-2.jpg” alt=”” width=”100%” height=”auto” />

    আরও পড়ুন

    You cannot copy content of this page