৮ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৫শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ |
শিরোনাম:
মাদ্রাসাতুল ইবনে ওমর (রা.) বার্ষিক পুরস্কার বিতরণী ২০২৫ সাতকানিয়ায় বিএনপি’র আনন্দ মিছিল ও সমাবেশ লোহাগড়ায় এনপিপির কর্মী সভায় এনপিপির চেয়ারম্যান ড.ফরিদুজ্জামান ফরহাদ বলেন আল্লা ছাড় দেয় ছেড়ে দেয় না রাজশাহী’র গোদাগাড়ীতে জলপাই খাওয়ার কথা বলে আট বছরের শিশুকে ধর্ষণ পেকুয়ায় সমাজ সেবক এম আজমের শীতবস্ত্র বিতরণ তানোরে দিনে দুপুরে থানা মোড়ের মোবাইলের দোকানে চুরি তানোরে ক্রিকেট টুর্নামেন্ট উদ্বোধন কিশোরগঞ্জে তারুণ্যের উৎসবে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ও মশক নিধন অভিযান মোংলায় পৌর কৃষকদলের দ্বিবার্ষিক সন্মেলনে মিঠু সভাপতি ও মতিন সাধারণ সম্পাদক  তানোরে দুই দিনব্যাপী ক্রিকেট টুর্ণামেন্টের উদ্বোধন
আন্তর্জাতিক:
  • প্রচ্ছদ
  • অন্যান্য >> পটুয়াখালী
  • জোর পূর্বক জমি দখল মারধরের বিচার চেয়ে ভুক্তভোগী পরিবারের সংবাদ সন্মেলন।
  • জোর পূর্বক জমি দখল মারধরের বিচার চেয়ে ভুক্তভোগী পরিবারের সংবাদ সন্মেলন।

      বাংলাদেশ সংবাদ প্রতিদিন

    মোঃ আরাফাত তালুকদার জেলা প্রতিনিধি পটুয়াখালী>>> জোর পূর্বক জমি দখল ও সালিসির মধ্যে মারধরের অভিযোগে সংবাদ সন্মেলন করেছে পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার ভুক্তভোগী এক পরিবার।রবিবার ২০ (অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭ টায় পটুয়াখালী জেলা প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সন্মেলনে ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষে মো: শাকুর বলেন আমরা আমাদের ওয়ারিস সুত্রে পাওয়া দলিল মূলে মালিক থাকিয়া দীর্ঘদিন যাবত দোকানপাট ও ঘরবাড়ি নির্মাণ করিয়া ভোগদখল করিয়া আসিতেছিলাম।আসামীদের সাথে আমাদের সাবেক জেলা বাকেরগঞ্জ হালে জেলা পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলাধীন মৌজা- উত্তর কাঠালতলী,জে.এল নং-০৭,এস, এ খতিয়ান নং-৩৪,৩৫,৩৬,৩৭,৩৮,৩ ৪,৩৫,৩৬,৩৭,৩৮,৩৯ এ বিরোধীয় ভূমির পরিমান ৪৮ শতাংশ নিম্ন তফসিলে বর্ণিত জায়গা জমি নিয়া দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ চলিয়া আসিতেছিল।উক্ত বিরোধের কারণে আসামীরা বাদীকে খুন যখম ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করার অপচেষ্টায় সর্বদা লিপ্ত থাকে।এ অবস্থা নিরশনে গত ১৮ অক্টোবর (শুক্রবার) সময়-দুপুর অনুমান ১১.৩০ থেকে ০১.৩০ ঘটিকার সময় কাঠালতলী বাজারে বিষয়টি আপোষ মিমাংসার জন্য সালিশ বৈঠকে আয়োজন করি।সালিসি চলাকালীন সময়ে আসামীরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে মারাত্মক দেশীয় অস্ত্র শস্ত্রে সজ্জিত হইয়া কাঠালতলী বাজারে আসে এবং সালিসের একপর্যায়ে আসামীগণ উত্তেজিত হইয়া বাদী মো. সরোয়ার হোসাইন (৪৪),মো. আ. সাকুর (২৬),মো. এনামুল হাসান (২৩),অতর্কিত হামলা চালায়।তাহাতে মো. তারিকুল ইসলাম (৩৮) আসামী তাহার হাতে থাকা লোহার রড দিয়া বাদীকে সাফ খুনের উদ্দেশ্যে সমস্ত শরীরে এলোপাথারীভাবে পিটাইতে থাকে ইহাতে বাদীর বাম পায়ের নলা ও পায়ের হাটুতে হাড়ভাঙ্গা রক্তাক্ত জখমসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে ফাঁটা ফুলা জখম হয়।মো. এনামুল হাসান (২৩) বাদীকে উদ্ধারের জন্য এগিয়ে আসিলে মো. জলিলুর রহমান (৪০) আসামীর হাতে থাকা লোহার রড দিয়া সাফ খুনের উদ্দেশে মাথার উপরিভাগে আঘাত করিলে উক্ত আঘাতে মো. এনামুল হাসান মাথার উপরিভাগে পরিয়া গুরুতর ফাঁটা হাড়ভাঙ্গা রক্তাক্ত জখম হয়।আমিনুল ইসলাম খোকন (৪২) আসামীর হাতে থাকা বাঁশের লাঠি দিয়া মো. এনামুল হাসানের মাথা লক্ষ করিয়া সজোরে বারি মারিলে মো. এনামুল হাসান তাহা ফিরাইতে গেলে উক্ত বারি মো. এনামুল হাসানের বাম হাতের কব্জিতে এবং আঙ্গুলে পরিয়া হাড়ভাঙ্গা জখম হয়। মো. রাজিব (২৫) আসামীর হাতে থাকা ধারালো চুরি দিয়া মো. আ. সাকুর (২৬) কে সাফ খুনের উদ্দেশ্যে গলায় পোচ দেয় ইহাতে মো. আ. সাকুর (২৬) গলায় গুরুতর হার মাংস কাটা রক্তাক্ত জখম হয়।মো. আ. শুকুর মঞ্জু মৃধা (৪৫) আসামীর হাতে থাকা টিপ চাকু দিয়া মো. আ. সাকুর (২৬) পেটে পোচ দিতে উদ্যোত হইলে মো. আ. সাকুর (২৬) তাহা হাত দিয়া ফিরাইতে গেলে উক্ত পোচে মো. আ. সাকুর (২৬) পিঠে এবং দুই হাতে গুরুরত কাঁটা রক্তাক্ত জখম হয়।০৬নং আসামীর হাতে থাকা বাঁশের লাঠি দিয়া মো. সরোয়ার হোসাইন (৪৪) সাফ খুনের উদ্দেশ্যে মাথা লক্ষ করিয়া বারি মারিলে উক্ত বারিকে মো. সরোয়ার হোসাইন (৪৪) ডান হাতের শাহাদাৎ অংগুল, ডান কানে এবং মাথায় গুরুতর হাড়ভাঙ্গা রক্তাক্ত জখম হয়। সকল আসামীসহ অজ্ঞাতনামা আসামীরা দেশীয় অস্ত্র শত্রু নিয়া বাদী এবং সাক্ষীদেরকে এলো পাথারীভাবে পিটাইয়া,কোপাইয়া, গুরুতর জখম করিয়া রাস্তায় ফালাইয়া রাখে এবং আসামীরা বলতে থাকে ওদের ঘরে থাকার মতোনও কোন জায়গা দিবনা। এই বলিয়া সকল আসামীরা বেআইনী জনতাবদ্ধ হইয়া রামদা, ছেনা, লোহার রড, দা, বাঁশের লাঠিসহ দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র নিয়া বাদীর বাড়ীর দিকে দৌড়ে গিয়ে এলাপাথারী ভাবে বাদীর উত্তর ভিটির বসতঘরে হামলা চালায়।সকল আসামীরা বাদীর বসতঘরের সামনের ও পূর্ব পার্শ্বের বেড়ায় এলোপাথারী ভাবে কোপাইয়া,পিটাইয়া ত্রাশ তান্ডব সৃষ্টি করিয়া প্রায় ১,০০,০০০/- (এক লক্ষ) টাকার ক্ষতি সাধন করে।সকল আসামীসহ অজ্ঞাত আসামীরা বাদীর বসতঘর কোপাইয়া,পিটাইয়া,ভাংচুর করিয়া ত্রাশ তান্ডব সৃষ্টি করিয়া বাদী ও তার পরিবারের লোকজনকে খুন জখমের হুমকি প্রদান করিয়া বীর দর্পে চলিয়া যায়।সাক্ষী ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ বাদী ও অন্যান্য ভিকটিমকে উদ্ধার করে সন্ধ্যায় পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।বহু সাক্ষী আছে।আমি বিচার চাই।উক্ত সংবাদ সন্মেলনে ভুক্তভোগীরা আরো বলেন আসামীরা ইতোপূর্বে আওয়ামী স্বৈরচারী সরকারের ক্যাডার বাহিনীর সদস্য ছিল। সরকার পতন হওয়ার পরে তারা নব্য বিএনপির প্যানেলের রাজনীতীবিদ হিসেবে নিজেদেরকে পরিচয় দিয়া এলাকায় চাঁদাবাজি ও দখলবাজি করিয়া বেড়ায়।

    মন্তব্য

    আরও পড়ুন

    You cannot copy content of this page