মো সাইফুল ইসলাম বাবু বিশেষ প্রতিনিধি, সিলেট।
জৈন্তাপুরে জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ২০২৩ এ ব্যক্তি ও প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে বিজয়ীদের নাম ও প্রতিষ্ঠানের নাম ঘোষনা করা হয়েছে।বিভিন্ন ক্যাটাগরীতে শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থী , শ্রেষ্ঠ শ্রেনী শিক্ষক, শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান প্রধান,শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান এবং শ্রেষ্ঠ গার্লস গাইড,শ্রেষ্ঠ রোভার,শ্রেষ্ঠ রোভার শিক্ষক ও শ্রেষ্ঠ রোভার গ্রুপের নাম ঘোষনা করা হয়েছে। প্রতিটি ক্যটাগরিতে চার পর্যায়ে ( স্কুল,কলেজ,মাদ্রাসা ও কারিগরি) ভাগ করে বিজয়ীদের নাম ঘোষনা করা হয়। এছাড়ও জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ২০২৩ উপলক্ষে চারটি গ্রপে ক,খ,গ,ঘ তে মোট ১৭টি ইভেন্টে ( কেরাত,হামদ নাত,বাংলা রচনা,ইংরেজি রচনা,ইংরেজি বক্তৃতা, কবিতা আবৃত্তি, একক বিতর্ক, দেশাত্মবোধক গান,রবীন্দ্রসঙ্গিত,নজরুল সঙ্গিত,উচ্চাঙ্গ, লোকসঙ্গীত, জারিগান,নির্ধারিত বক্তৃতা, নৃত্য, লোকনৃত্য ও তাৎক্ষণিক অভিনয়) স্কুল,কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শাখার শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে বিজয়ীদের নাম ঘোষনা করা হয়। জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ২০২৩এর আহবায়ক আল বশিরুল ইসলাম ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (অঃ দাঃ) ও জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ২০২৩ এর সদস্যসচীব আবু সাইদ মো আব্দুল ওয়াদুদ সাক্ষরিত এই ফলাফল প্রকাশিত হয়। এদিকে জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ২৩ এ স্কুল পর্যায়ে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছে জৈন্তাপুর উপজেলার ১৫০ বছরের পুরনো ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপিঠ জৈন্তাপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়। ব্যাক্তি ও প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে উপজেলার স্কুল পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান হওয়ার গৌরব অর্জনের পাশাপাশি শ্রেষ্ঠ শ্রেনী শিক্ষকও নির্বাচিত হয়েছেন এই প্রতিষ্ঠানের সহকারী শিক্ষক আনোয়ার হোসেন। এছাড়াও স্কুল পর্যায়ে গোটা জৈন্তাপুর উপজেলায় শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থী হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে অত্র বিদ্যালয়ের ১০ ম শ্রেনীর ছাত্রী তাসফিয়া মাহজাবিন মাঈসা এবং শ্রেষ্ঠ গার্লস গাইড নির্বাচিত হয়েছে অত্র প্রতিষ্ঠানের নবম শ্রেনীর শিক্ষার্থী ঋদি দে। এছাড়াও বাকি ১৭টি প্রতিযোগিতামুলক ইভেন্টে ক গ্রুপে ( ষষ্ঠ – ৮ ম) ৩ জন ও খ গ্রুপে ( ৯ ম – ১০ ম) মোট ১০জন শিক্ষার্থী বিজয়ী হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে। এবিষয়ে জৈন্তাপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা শাহানা জাফরিন রোজী জানান ঐতিহ্যবাহী এই বিদ্যাপিঠের এটা একটা সাফল্যের ধারাবাহিকতা। অত্র প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকমণ্ডলী থেকে শুরু করে প্রতিটি শ্রেনীর শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের শতভাগ অবদান এই প্রতিষ্ঠানের সাফল্যে। লেখাপড়ার পাশাপাশি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, খেলাধুলা সহ বছরের বিভিন্ন সময়ে জাতীয় উৎসব, মৌসুমের বিভিন্ন সময়ে পিঠা উৎসব, বসন্ত উৎসব, বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান স্কাউটস ও গার্লস গাইডের বিভিন্ন প্রোগ্রাম সফলতার সাথে পালন সহ প্রতিবছর মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষায় সর্বোচ্চ জিপিএ ৫ সহ অত্র প্রতিষ্ঠান থেকে অংশ নেয়া শিক্ষার্থীদের সাফল্যের ধারা অব্যাহত আছে এবং তা ধারাবাহিকতা বজার রাখতে সকলের সার্বিক সহোযোগিতা কামনা করেন।
মন্তব্য