২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ |
  • প্রচ্ছদ
  • আন্তর্জাতিক >> এক্সক্লুসিভ >> ট্রাভেল >> শীর্ষ সংবাদ
  • ঘুর্নিঝড় ‘মোখা’ ঝুঁকিতে মোংলা বন্দরে ঢুকতে পারছেনা ২ বিদেশি জাহাজ
  • ঘুর্নিঝড় ‘মোখা’ ঝুঁকিতে মোংলা বন্দরে ঢুকতে পারছেনা ২ বিদেশি জাহাজ

      বাংলাদেশ সংবাদ প্রতিদিন

    এম ইদ্রিস ইমন,মোংলা (বাগেরহাট):

    ঘূর্ণিঝড় মোখা যতই এগিয়ে আসছে ততই আতংক বাড়ছে সুন্দরবন উপকূলসহ মোংলার জনপদে। এই অবস্থায় মোংলা সমুদ্র বন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অফিস। শুক্রবার (১২ মে) দুপুর থেকে এই সতর্কতা জারি করা হয়েছে। মোংলা আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ হারুনুর রশিদ বলেন, ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ৭৮৫ কিলোমিটার দূরে দক্ষিণে অবস্থান করছে। এটা এখন চট্রগ্রাম ও মায়ানমারের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। মোংলায় চার নম্বর হুশিয়ারি সংকেত বহাল রয়েছে।ঝুঁকি এড়াতে দুটি বিদেশি জাহাজকে বন্দরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছেনা। জাহাজ দুটি হচ্ছে-ভিয়েতনাম পতাকাবাহী ওশানস লাইন ও মার্শাল আইল্যান্ড পতাকাবাহী ইকো গ্যালাক্সী। এই দুই জাহাজে গ্যাস আমদানি করা হয়েছে।মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাষ্টার ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ শাহিন মজিদ এই তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, গ্যাস নিয়ে ওশান লাইনস জাহাজটি বন্দর এলাকায় যমুনা এলপিজির জেটিতে এবং ইকো গ্যালাক্সী জাহাজের গ্যাস পেট্রোম্যাক্স এলপিজিতে শনিবার (১৩ মে ) আসার কথা ছিল। কিন্তু দূর্যোগের কারণে মোংলা বন্দরের বাইরে হিরণ পয়েন্টে অবস্থান করছে জাহাজ দুটি। অবস্থা আরও বেশি খারাপ হলে ওই দুটি জাহাজকে চট্রগ্রাম বন্দরে চলে যাওয়ার জন্য বলা হবে। এছাড়া পণ্য খালাস শেষে আজ (শনিবার) দুপুর ৩টায় মার্কেলটাইল-৪৪, জাহান ব্রাদার্স, ইন্দিগো ওমেগা এবং ক্যায়সা ওয়ান নামে চারটি বিদেশি জাহাজ মোংলা বন্দর ত্যাগ করবে বলেও জানান তিনি। বঙ্গোপসাগরে যেসব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলার রয়েছে সেসব নৌ যানের মাঝিদের নিরাপদে দ্রুত চলে আসার জন্য আবাহাওয়ার সতর্ক বার্তায় বলা হয়েছে বলেও জানান তিনি।ক্যাপ্টেন শাহিন মজিদ আরও বলেন, এই মূহুর্তে বন্দরে ১১টি বাণিজ্যিক জাহাজ অবস্থান করছে। কিন্তু শনিবার (১৩ মে) সকাল থেকে সেসব জাহাজে পণ্য ওঠানামার কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া জাহাজের পাশে অবস্থান করা পণ্য নিতে আসা ছোট লাইটার, বার্জ ও কোস্টারগুলোকেও নিরপাদ স্থানে সরে যেতে বলা হয়েছে।ঘূর্ণিঝড় মোখা’র প্রভাবে সুন্দরবনে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে দেড় ফুট পানি বেড়েছে বলে জানিয়েছেন করমজল বন্যপ্রাণী ও প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্তকর্তা আজাদ কবির। এছাড়া করমজলে বন্যপ্রানীদের নিরাপদে সরিয়ে নেয়ার কাজ চলছে বলেও জানান তিনি।

    মন্তব্য

    <img class=”alignnone size-full wp-image-29676″ src=”https://bdsangbadpratidin.com/wp-content/uploads/2024/05/IMG_20240503_224849-2.jpg” alt=”” width=”100%” height=”auto” />

    আরও পড়ুন

    You cannot copy content of this page