২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ |
  • প্রচ্ছদ
  • এক্সক্লুসিভ >> বিনোদন >> সিলেব্রিটি >> সোস্যাল মিডিয়া
  • খুলনা জেলায় তিন লাখ ৮০ হাজার শিশুকে কৃমিনাশক ট্যাবলেট খাওয়ানো হবে
  • খুলনা জেলায় তিন লাখ ৮০ হাজার শিশুকে কৃমিনাশক ট্যাবলেট খাওয়ানো হবে

      বাংলাদেশ সংবাদ প্রতিদিন

    নিজস্ব প্রতিবেদক>>>>>

    খুলনা জাতীয় কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহ-২০২৩ পালন উপলক্ষ্যে খুলনা জেলায় তিন লাখ ৮০ হাজার তিনশত দুই শিশুকে কৃমিনাশক ট্যাবলেট খাওয়ানো হবে। এ উপলক্ষে আজ (রবিবার) সকালে নগরীর স্কুল হেলথ ক্লিনিকের সভাকক্ষে জেলা পর্যায়ের এ্যাডভোকেসি সভায় খুলনার সিভিল সার্জন ডাঃ সুজাত আহমেদ এই তথ্য জানান।সিভিল সার্জন বলেন, শিশুদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় নিয়মিত কৃমিনাশক ট্যাবলেট খাওয়ানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শিশুস্বার্থ বিবেচনা করে এই উদ্যোগকে সফল করতে জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, ধর্মীয় নেতৃবৃন্দসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে কাজ করতে হবে। প্রাথমিক-মাধ্যমিক স্তরের স্কুল ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি ছিন্নমূল, ঝরেপড়া ও পথশিশুদেরও কৃমিনাশক ট্যাবলেট খাওয়ানো নিশ্চিত করতে হবে। সকলের প্রচেষ্টায় জাতীয় কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহ সফল হবে বলে তিনি আশা করেন।।সভায় জানানো হয়, ফাইলেরিয়াসিস নির্মূল এবং কৃমি নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমের আওতায় বছরে দুইবার কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহ পালন করা হয়। সপ্তাহ চলাকালে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সমপর্যায়ের মাদ্রাসা, মক্তব ও এতিমখানাসমূহে ৫-১৬ বছরের সকল শিক্ষার্থী এবং স্কুল বহির্ভূত শিশু, পথশিশু, ঝরেপড়া ও শ্রমজীবী শিশুদের কৃমিনাশক ট্যাবলেট (এ্যালবেন্ডাজল ৪০০ মি.গ্রাম) খাওয়ানো হবে। এটি খালি পেটে খাওয়ানো যাবে না। খাওয়ার পর শিশুরা বমি করলে ভয়ের কিছু নেই। কৃমি মানুষের পেটে পরজীবী হিসেবে বাস করে এবং খাবারের পুষ্টিটুকু খেয়ে ফেলে, তাই মানুষ পুষ্টিহীনতায় ভোগে। এটি শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বৃদ্ধিতে ব্যাঘাত ঘটায়।সভায় আরো জানানো হয়, আগামী ৪ থেকে ১০ জুন জাতীয় কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহ চলাকালে খুলনার দুইটি পৌরসভাসহ জেলার ৯টি উপজেলার দুই হাজার তিনশত তিনটি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মোট তিন লাখ ৮০ হাজার তিনশত দুইজন শিশুকে কৃমিনাশক ট্যাবলেট খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা ধরা রয়েছে।সভায় কেসিসি’র প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা স্বপন কুমার হালদার, ডেপুটি সিভিল সার্জন ডাঃ এএসএম কামাল হোসেন, খুলনা আঞ্চলিক তথ্য অফিসের সিনিয়র তথ্য অফিসার মোঃ মেহেদী হাসান, সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ জামাল হোসেন, ডাঃ সাদিয়া মনোয়ারা উষা প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।এ্যাডভোকেসি সভায় সকল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা দপ্তরের কর্মকর্তাসহ এনজিও প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন। স্বাস্থ্য অধিদফতরের ফাইলেরিয়াসিস নির্মূল, কৃমি নিয়ন্ত্রণ ও ক্ষুদে ডাক্তার কার্যক্রম-এর সহযোগিতায় খুলনা সিভিল সার্জন অফিস এ সভার আয়োজন করে।

    মন্তব্য

    <img class=”alignnone size-full wp-image-29676″ src=”https://bdsangbadpratidin.com/wp-content/uploads/2024/05/IMG_20240503_224849-2.jpg” alt=”” width=”100%” height=”auto” />

    আরও পড়ুন

    You cannot copy content of this page