নিউজ ডেস্ক >>> বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে প্রচন্ড ভুল করেছে। এটি তাদের জন্য ছিল সুইসাইডাল ডিসিশান (আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত)। সে জন্য তাদের নেতারা এখন কর্মীদের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ, কর্মীরা এ নিয়ে প্রচন্ড হতাশ। কর্মীদের হতাশা কাটানোর জন্য মূলত তাদের নেতারা নানা কর্মসূচি ও বক্তব্য দিচ্ছে। তারা এখনো টিকে আছে, বিএনপি তাদের কর্মীদের কাছে সেটিই প্রমাণ করার চেষ্টা করছে।চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন আয়োজিত ফুল উৎসবের Multicultural Festival-2024 উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। এর পূর্বে সমসাময়িক বিষয়ে ব্রিফিংকালে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি এসব কথা বলেন।মিয়ানমারে চলমান সংঘাতের ফলে বাংলাদেশের উপর যে প্রভাব পরছে তা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছে না দেশের নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণে সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কোন দেশের অভ্যন্তর নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা অন্য কোন দেশ রাখে না। মিয়ানমারের চলমান সংঘাত সে দেশের অভ্যন্তরীণ গোলযোগ। সেখানে সরকারি বাহিনী ও আরাকান আর্মির সংঘাত চলছে। সেটি একান্তই তাদের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। সে সংঘাতের কারণে দুই একটি গোলা আমাদের দেশে এসে পড়েছে। সে কারণে দু’জন বাংলাদেশী নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে, তা সঠিক। সে কারণে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কড়া প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। এছাড়াও তাদের কিছু মিয়ানমারের সীমান্ত বাহিনী ও সেনাবাহিনীর সদস্যদের অনুপ্রবেশ হয়েছে। তা শুধু আমাদের দেশে নয় ভারতেও ডুকেছে কয়েকশ লোক। তাদেরকেও তারা ফেরত নিয়ে গেছে। মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে আমাদের রাষ্ট্রদূতের এসব নিয়ে বৈঠক হয়েছে। তাদেরকে ফেরত নেওয়ার জন্য মিয়ানমার ইতোমধ্যে সম্মতি প্রকাশ করেছে।
মিয়ানমারের আরাকান আর্মির পক্ষ থেকে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য আহŸান জানিয়েছে, এ বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কোন প্রকার সহযোগিতা করা হবে কি না এ প্রশ্নে জবাবে মন্ত্রী বলেন, আমি ইতোমধ্যে বিভিন্ন দেশ সফর করেছি সেখানে সকলের সাথে এ বিষয়ে কথা বলেছি, মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রীর সাথেও রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়া বিষয়ে কথা বলেছি। তার কথায় এটুকু পরিষ্কার যে, তারা রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে একমত কিন্তু বর্তমানের অভ্যন্তরীণ গোলযোগের কারণে তা সম্ভব হচ্ছে না। যে সমস্ত বাস্তুচ্যুত মানুষ আমাদের দেশে আছে তাদের নাগরিক অধিকার নিয়ে ফেরত পাঠানোই একমাত্র সমাধান। বাংলাদেশ সরকার সে লক্ষেই কাজ করছে।অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী চট্টগ্রামে ঘিরে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গৃহীত নানা প্রকল্প ও মহাপরিকল্পনার কথা উল্লেখ করে বলেন, কিছুদিন আগে কর্ণফুলীর তলদেশ দিয়ে নির্মিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল উদ্বোধন করা হয়েছে। বে-টার্মিনাল নির্মাণের কাজ চলছে। চট্টগ্রাম বে-টার্মিনাল হবে চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়েও বড় আরোও একটি বন্দর। চট্টগ্রামের বর্তমান বন্দরের দৈর্ঘ্য ৬ কিলোমিটার, আর বে-টার্মিনালের দৈর্ঘ্য হবে ১০ কিলোমিটার। এসময় মন্ত্রী টার্মিনালটি নির্মাণের কাজ আগামী ৩ বছরের মাধ্যে শেষ হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান এর সভাপতিত্বে ফিলিপাইনের রাষ্ট্রদূত লিও টিটল আউসান জুনিয়র, এফবিসিসিআইর সভাপতি মাহবুবুল আলম ও ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার ড. রাজীব রঞ্জন। স্বাগত বক্তব্য দেন সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কে এম রফিকুল ইসলাম।
মন্তব্য