নিজস্ব প্রতিবেদক>>> কক্সবাজার ঈদগাঁওতে ইউপি নির্বাচনের ফলাফল কে কেন্দ্র করে প্রিসাইডিং অফিসার কে মেরে রক্তাক্ত করেছে দুর্বৃত্তরা৷ইটগাঁও থানায় প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হলো ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন।এমতাবস্থায় মেহেরঘোনা শাহ জব্বারিয়া আদর্শ দাখিল মাদ্রাসার কেন্দ্রে চেয়ারম্যানের ফলাফল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে হুমায়ুন কবির নামের এক প্রিসাইডিং অফিসারকে মেরে রক্তাক্ত করেছে বিক্ষুব্ধ জনতা।আহত প্রিসাইডিং অফিসার হলেন আনসারুল করিম।তিনি বর্তমানে কক্সবাজার সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের কর্মরত শিক্ষক।আজ রবিবার রাতে মেহেরঘোনা বাজারে এ ঘটনা ঘটেছে।এদিকে প্রথমবারের মতো ঈদগাঁও উপজেলার পাঁচ ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে ঈদগাঁও ইউনিয়নে সোহেল জাহান চৌধুরী,জালালাবাদ ইউনিয়নে আলমগীর তাজ জনি,ইসলামপুর ইউনিয়নে মাওলানা দেলোয়ার হোছাইন এবং ইসলামাবাদ ইউনিয়নে আব্দুর রাজ্জাক এমইউপি বেসরকারি ভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।তবে পোকখালি ইউনিয়নের ফলাফল নিয়ে এখনো ধোঁয়াশা রয়ে গেছে।আহত প্রিজাইডিং অফিসারকে বাজারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।জানা যায়,আলমগীর তাজ জনি পেয়েছেন ৪৯৩১ ভোট।মাওলানা দেলোয়ার হোছাইন পেয়েছেন ৪২১৫ ভোট।সোহেল জাহান চৌধুরী পেয়েছেন ৭৮৭০ ভোট।এর আগে সকাল আটটা থেকে যথারীতি ভোট গ্রহণ কার্যক্রম শুরু হয়।নির্বাচন উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে নেয়া হয় ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা।জেলা প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশন নিয়োজিত ম্যাজিস্ট্রেটরা ইউনিয়ন ভিত্তিক দায়িত্ব পালন করেন।বিজিবি, র্যাব ও পুলিশ দল নিরাপত্তা রক্ষায় কাজ করছে।সকালে প্রতিটি কেন্দ্রের নারী ভোটারদের উপস্থিতি ব্যাপক লক্ষ্য করা যায়। দুপুরে বিভিন্ন কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি কম ছিল।উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ হুমায়ুন কবীর দুপুর জানান,এ পর্যন্ত কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।ভোটারদের উপস্থিতি সন্তোষজনক।কোথাও জাল ভোটের খবর পাওয়া যায়নি।ভোটাররা নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে আনন্দিত।এবার ৩৭৫ জন বিভিন্ন পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
মন্তব্য