শোকে স্তব্ধ পৃথিবী ও মুসলিম উম্মাহ, সত্য সুন্দর ও শান্তির পৃথিবী উপহার দিতে এসব মহামানব বার-বার জন্মান না,আরব বিশ্বের মহারত্ন,ন্যায়ের ঝান্ডাধারী, ইসলামের ফুটন্ত গোলাপের অকাল মৃত্যুর এই ক্ষতি কিছুতে পূরণ হওয়ার নয়।জানাজায় উপস্থিত অগণিত ভক্তের এমন কান্নার রোল শোকের মাতম এত করুন ও হৃদয়বিদারক দৃশ্য অতীতে এর আগে কেউ দেখিননি, হে আল্লাহ এই অকুতোভয় দুঃসাহসী সুবিবেচক দ্বীন ইসলামের পন্ডিতকে বিশ্ব বীরের মর্যাদায় তোমার পাক দরবারে কবুল করে নিও।দুনিয়ার মানুষ আপনাকে শীর্ষ আরব বীরের খেতাবে শ্রদ্ধা ও সন্মান জানায়,আমরা আরও আশাবাদ রাখতে চাই আরবের রাজনৈতিক অঙনে আপনার আদর্শ ও বীরত্বপূর্ণ পদাঙ্ক অনুস্মরণ ও অনুকরণ করবেন, সুখী হোন পরপারে আমিন।মুসলিম বিশ্বে ন্যায় প্রতিষ্ঠায় সাহস ও শক্তিতে একটি বড় ধাক্কা,তবুও আমরা সাহস হারাতে চাইনা,ইরানের নেতৃত্ব বিশ্বে দরবারে আরও বীরদর্পে অবতীর্ণ হবেন ইনশাআল্লাহ।প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির জানাজায় লাখো মানুষের ঢল,ইরানে স্মরণকালের ইতিহাসের বিশাল জানাজা চোখে দেখলো দুনিয়ার মানুষ।
অশ্রুসিক্ত নয়নে ইরানের জনগণের ক্রন্দন বিলাপ খোদার আরশ ছুঁয়েছে,রাইসির শুন্যতায় বিশ্ব রাজনৈতিক অঙন অনেকটা দারিদ্রতা অনুভব করছে।জ্ঞানেগুণে অত্যন্ত যোগ্য একজন ইসলামিক পন্ডিত তিনি।
দুর্দান্ত লেখা পড়া ও অঢেল জ্ঞানের আলো তাঁহার মাঝে,নম্র ভদ্র তেজোদৃপ্ত চেহারা,আর ব্যক্তিত্বে নূরের ঝলকানি।ওনার সাথে তুলনায় আপতত রাশিয়ার সুর্য সন্তান বিশ্ব রাজনীতির মহিরুহ ভ্লাদিমি পুতিনই বিশ্বের জন্য ভরসার জায়গা হিসাবে অনুমান করা যায়।
রাইসির মৃত্যুতে বিশ্ব রাজনীতির ক্ষতি কিছুতে পূরণ হওয়ার নয়।চাঁদের মত ফুটফুটে লৌহ মানব ইব্রাহিম রাইসি জগতের প্রতি ঘরে ঘরে জন্ম গ্রহন করুন আল্লাহর দরবারে এ-ই আমাদের আকুল প্রার্থনা।ইব্রাহিম রাইসিরা বিশ্বনেতার খেতাবে সন্মানিত সমাদৃত এবং বাহবা পাওয়ার জন্য দুনিয়ায় জন্মান।যেই নেতার জন্য কোটি কোটি মানুষের চোখের লোনা জলে জগৎ ভাসছে,ইব্রাহিম রাইসির অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুেতে স্তব্ধতা ও শোককে শক্তির বার্তা সুরূপ আগামীর ইরান বহুদূর এগিয়ে যাবেন।একটু বাইরে তাকালে বুঝতে পারি যোদ্ধা দুই ধরণের,দখলদার বা আগ্রাসী যোদ্ধা,আর মুক্তি ও স্বাধীনতাকামী যোদ্ধা,এ দুইয়ের ভেতর যে সমস্ত যোদ্ধার চিন্তায় মৃত্যুর শক্তি যার বেশী হবে তাদের বলিদান বিসর্জনের হাত ধরে স্বাধীনতা রচিত হয়,এর চাক্ষুষ প্রমাণ হামাস ও ইসরায়েলের যুদ্ধ।
পৃথিবীর কে হলফ করে বা বুকে হাত রেখে বলতে পারবেন রাইসিরা পৃথিবীতে সবচেয়ে উত্তম চিন্তা চেতনার মানুষ নয় ?সম্প্রতি প্রেসিডেন্ট রাইসির হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় জীবন বলিদানের মাধ্যমে দুনিয়ার মানুষ ইরানকে আগের চাইতে আরও উত্তম দৃষ্টিতে বিবেচনায় নিচ্ছে বলে আমার ধারণা ও বিশ্বাস।শিয়া সুন্নি গোত্র গোষ্ঠীর বাইরে আমাদের বিশ্বাস হলো পবিত্র আল কোরআন,আমরা কেউ কি বলতে পারি ইরানিরা শিক্ষা সংস্কৃতি ঈমানে জ্ঞানে গুণে আমাদের চেয়ে অনুপযুক্ত পর কম ইসলামিক ? পবিত্র কোরআন হলো দুনিয়ার সকল মানুষের ইহ ও পরকালের সার্বিক দিকনির্দেশনার টাটকা পথপ্রদর্শিক জীবনিগ্রন্থ।
ইব্রাহিম রাইসির অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুর মধ্যদিয়ে ইরানের জাতি-গোষ্ঠীর নিজস্ব শিক্ষা সংস্কৃতি,সক্ষমতা,
স্বনির্ভরতা, ধর্মীয় চেতনা, আদর্শ, আধ্যাত্মীকতা, দর্শনবোধ, বিবেক, বুদ্ধিমত্তা, বিচক্ষণতা ও পাণ্ডিত্যের অভূতপূর্ব পরিচিতি ও প্রকাশ ঘঠেছে।যাহা পৃথিবীতে ইসলামের কল্যাণ সাধিনে আরও আরও বেশী বার্তা পৌঁছে দেয়,এবং ইসলাম ধর্মের প্রতি অনাগ্রহীদের আগ্রহ আনুগত্য ও আকর্ষণ বৃদ্ধি পেয়েছে।পৃথিবীর অতীত থেকে আজ পর্যন্ত যত ইতিহাস দেখেছি তাতে মনে করি ইব্রাহিম রাইসির মত মর্যাদার পাত্র কিংবা ওনার উপরে পৃথিবীর ইতিহাসে আর কারো স্থান হবে কিনা সন্দেহ।আমরা আশাবাদ জানাই অচিরেই পৃথিবীর পাঠ্যক্রমে স্থান হবে ইরানের সদ্য প্রয়াত প্রেসিডেন্ট সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহীম রাইসির জীবন কাহিনী।
লেখক শাহাদাত হোসেন তালুকদার
কবি ও কলামিস্ট
ও
সাহিত্য সম্পাদক
বাংলাদেশ সংবাদ প্রতিদিন
মন্তব্য