কবি শাহাদাত হোসেন তালুকদার
জীবনে অন্তত দু,লাইন কবিতা
লিখেননি এমন কেউ স্রষ্টার
মানবকূলে থাকতে পারে আমার
মনে হয় না,
কেউ লিখে কলমে কেউবা
অন্তরের দেয়ালে,সে দৃষ্টিকোনে
সব মানুষই আমরা কবি।
অনুভূতি অনুভবে কল্পনা কি
ভাবনার গভীরতার সৃজনের
বিকাশই মূলত কাব্য কবিতা,
বিধাতার সব সৃষ্টিতে লেখার
উপাদান অন্ত নিহিত,
তাই কলম ও কল্পনার অতল গহীনে কবিতার
আশ্রয়,
তার অঘোরে জাগ্রত হন আঁধারের
বিপরীতে মহৎ প্রাণ।
শুভ ভাবোদ্দীপনার মনুষ্যত্ব
নিশ্চিত কল্যাণ বয়ে আনতে
পারে,
লেখাতে যেই প্রশান্তি তৃপ্তি বা প্রাপ্তি
অনুভূত হয় তার মত এমন নিয়ামক
বিধাতার সৃষ্টিতে কোথাও
পাওয়া দুষ্কর।
আমার মন খারাপ হলে আমি
লিখি,
চিত্তের কালিতে জগৎ বৃত্তে
সৃজনধর্মী কারু-কৌশল উঁকি
দেওয়ার মত কাব্যিক চেতনায়
নিজেকে সম্পৃক্ত করতে
পারলে একটি কবিতার সামনে
উপস্থিত হওয়াই বলা চলে
ঐশ্বরিক সান্নিধ্যের প্রশান্তি।
আমি যা ভাবতে চাই তার সে কথা
গুলো যে কলমে বের হবে
উহাই কাব্য সাহিত্য সংস্কৃতি প্রতিবাদ
অন্তরের ভালোবাসা জাগরণ অবশেষে
কবিতার অশ্রুপাত।
আমাদের মত যারা তাদের কষ্ট
দৈন্যদশার জীবন কেবল কষ্টের নয়
সুখেরও বটে,
ইহাই বাঁধাহীন মনের ভাব ব্যঞ্জনার
সূদুর ও উত্তম মাধ্যম।

