মোঃ দিদারুল ইসলাম,পেকুয়া (কক্সবাজার) >>> আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কক্সবাজার–১ (চকরিয়া–পেকুয়া) আসনে ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি)-এর দলীয় প্রার্থী হিসেবে মো. নুরুচ্ছফা সরকারকে প্রায় চূড়ান্ত করা হয়েছে। এনপিপির নির্ভরযোগ্য দলীয় সূত্রে জানা গেছে, মনোনয়ন বোর্ডের চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে তার প্রার্থিতা।কক্সবাজার জেলার চারটি আসনের মধ্যে চকরিয়া–পেকুয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ আসন। এ আসনে বিএনপি থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি অতীতে এ আসন থেকে কয়েকবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।অন্যদিকে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কক্সবাজার শহর আমীর আব্দুল্লাহ ফারুককে এ আসনে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করেছে। এ দুই প্রার্থীর পাশাপাশি ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মনোনয়ন পেলে নতুন মুখ হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন মো. নুরুচ্ছফা সরকার।মো. নুরুচ্ছফা সরকার পেশায় শিক্ষক। তিনি এনপিপির কেন্দ্রীয় কমিটির শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক, কেন্দ্রীয় যুগ্ম-মহাসচিব এবং চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া তিনি স্কাউট চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক ও এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী ঐক্যজোট চট্টগ্রাম বিভাগের আহ্বায়ক।এনপিপির কেন্দ্রীয় নেতা, চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি ও সরকারি কমার্স কলেজের শিক্ষক অধ্যাপক কামাল পাশা বলেন, “ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এনপিপি তিনশো আসনেই প্রার্থী দেবে। অধিকাংশ আসনের তালিকা প্রায় চূড়ান্ত। চকরিয়া–পেকুয়া আসনে নুরুচ্ছফা সরকারকে মনোনয়ন দেওয়া হবে—এটা এখন প্রায় নিশ্চিত।”জানা গেছে, ২০০৮ সালে শেখ শওকত হোসেন নিলুর নেতৃত্বে এনপিপি প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০১২ সালে নির্বাচন কমিশন দলটিকে নিবন্ধন দেয় এবং ‘আম’ প্রতীক বরাদ্দ করা হয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই দলটি জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে আসছে।নিজ প্রার্থিতা প্রসঙ্গে মো. নুরুচ্ছফা সরকার বলেন, “ইনশাআল্লাহ চকরিয়া–পেকুয়া আসন থেকে আমি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি। এ অঞ্চলের মাটি ও মানুষের সঙ্গে আমার গভীর সম্পর্ক। জনগণ যদি আমাকে তাদের সেবায় নিয়োজিত হওয়ার সুযোগ দেয়, তাহলে লবণ শিল্পের আধুনিকায়ন, ন্যায্য মূল্য নিশ্চিতকরণ, উপকূলীয় অঞ্চলে অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন, মাতামুহুরী নদীতে টেকসই বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণসহ ফসল উৎপাদনে মিষ্টি পানির নিশ্চয়তা এবং কৃষকের ভাগ্যোন্নয়নে জাতীয় সংসদে অর্থবহ উদ্যোগ নেব।”তিনি আরও বলেন, “চকরিয়া–পেকুয়ায় আন্তর্জাতিক মানের কারিগরি ও প্রযুক্তিভিত্তিক শিক্ষা প্রসারে কাজ করব। তরুণ-যুবসমাজকে সম্পৃক্ত করে দারিদ্র্য বিমোচন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে এ অঞ্চলকে অর্থনৈতিকভাবে স্বনির্ভর করাই হবে আমার প্রধান লক্ষ্য।”তিনি চকরিয়া–পেকুয়ার জনগণকে এনপিপি ও আম প্রতীকের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।

