আব্দুল্লাহ্ আল মারুফ।। চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী উপজেলার পুকুরিয়া ইউনিয়নে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সৈনিক জনাব ইউনুচ আহমেদ এর গৃহ আগুনে পুড়ে যায়। চটগ্রামের জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা ঘটনাটি অবগত হয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বাঁশখালী কে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বীর মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের পুনর্বাসনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা প্রদান করেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার, বাঁশখালী ঘটনাস্থল সরেজমিনে পরিদর্শন করে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তার পরিবারের সাথে কুশল বিনিময় করে তাদের সার্বিক খোঁজখবর নেন ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারকে ৫ বান্ডেল টিন, নগদ ২০ হাজার টাকা ও ২৫ কেজি চালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী সহায়তা প্রদান করেন। এ ছাড়া তার ঘর পুনর্নির্মাণ এর জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহায়তার আশ্বাস প্রদান করা হয়।
কিন্তু তাতে সন্তুষ্ট নন মানবিক ডিসি জাহিদুল ইসলাম। দিনের দীর্ঘ সরকারি সভা—সেটিও তাকে থামাতে পারেনি। তিনি নিজ দপ্তরে ডেকে নেন মুক্তিযোদ্ধার ছেলে রাকিবকে। ডিসিকে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান জানান ঘর নির্মাণ করতে আরো আনুমানিক ৭৫ হাজার টাকা লাগবে। এটা শুনা মাত্র ক্ষতিগ্রস্ত ঘর পুনর্নির্মাণের জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আরও ৭৫ হাজার টাকা অনুদান প্রদান করেন তিনি। একইসঙ্গে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউএনওকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারটির নিয়মিত খোঁজ নেওয়া এবং প্রয়োজনে দ্রুত সহযোগিতা নিশ্চিত করার নির্দেশ দেন।
আর্থিক সহায়তার চেক হাতে পেয়ে আবেগে কাঁদতে কাঁদতেই রাকিব বলেন, “ডিসি স্যার একজন খুবই মানবিক মানুষ। আমরা কল্পনাও করিনি, এত দ্রুত উনি এমন সাহায্য করবেন। আল্লাহ উনাকে আরও উন্নতি দান করুন।”আজকেই আবেদন করেছিলাম। এক মুহূর্ত দেরি না করে আজকেই আমাকে ৭৫ হাজার টাকা অনুদান দিলেন ডিসি স্যার।বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউনুচ কৃতজ্ঞতাভরে বলেন,“ডিসি সাহেব আমার মাথার হুর। আমার বিপদের সময় উনি যে সহযোগিতা করেছেন, সারাজীবন মনে রাখবো।”
রবিবার (২৩ নভেম্বর) চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বীর মুক্তিযোদ্ধা ইউনুচ আহমেদ এর পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ করেন এবং আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ঘর পুনর্নির্মাণ এর জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নগদ ৭৫ (পঁচাত্তর হাজার টাকা) আর্থিক সাহায্য প্রদান করেন। এ সময় জেলা প্রশাসক সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের নিয়মিত খোঁজ খবর রাখার পাশাপাশি প্রয়োজন অনুযায়ী দ্রুত সহযোগীতা নিশ্চিত করার নির্দেশনা প্রদান করেন।

