পুলক সরকার,খোকসা,কুষ্টিয়া >>> অধিক মুনাফা লাভের আশায় গো-খাদ্য হিসেবে ভারত থেকে আমদানি করা গুড়ের সাথে চিনি, ময়দা, ডালডা, হাইড্রোজ ও টেক্সটাইলের রং মিশিয়ে গুড় তৈরি হচ্ছে কুষ্টিয়ার খোকসায়। ভেজাল এই কারবার চলছে উপজেলার পৌর এলাকার ৪ নং ওয়ার্ডের কালীবাড়ি রোডের দুইটি কারখানায়। বারবার ভ্রাম্যমান আদালতে মাধ্যমে জেল-জরিমানা করা হলেও বন্ধ হচ্ছে না ভেজাল গুড় তৈরীর এই কারখানা দুইটি।মেসার্স দিলীপ ট্রেডার্সের মালিক দিলীপ বিশ্বাস ষষ্ঠী পৌর ৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।এলাকাবাসী জানান, নিত্য গোপালের মাতৃভান্ডার ও দিলীপ বিশ্বাস ষষ্ঠির দিলীপ ট্রেডার্সে বছরের পর বছর ধরে চালিয়ে আসছে এই ব্যবসা। প্রশাসনের পক্ষ থেকে অভিযান পরিচালনা করা হলেও অভিযান শেষ হলেই শুরু হয় ভেজাল মিশ্রিত এই গুড় উৎপাদনের কাজ। এই গুড় প্রতিদিন কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী অঞ্চল সহ যায় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে।পৌর এলাকার ৪ নং ওয়ার্ডের ভুক্তভোগী এস,এম শাহনেয়াজ খোকন বলেন, গুড় জ্বালানোর কালো ধোঁয়ার নিশ্বাস নিতে সমস্যা হয়। পরিবারে সবাই অসুস্থ হয়ে পরেছি। বাড়িতে বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পরেছে। তিনি অভিযোগ করে জনকণ্ঠকে বলেন, দিলীপ বিশ্বাস ষষ্ঠি এবং তার কাকা নিত্য গোপাল প্রশাসনকে ম্যানেজ করে বছরের পর বছর ধরে এই ভেজাল কারবার চালিয়ে আসছে।ওই একই এলাকার ভুক্তভোগী প্রবীর ভৌমিক জনকণ্ঠকে জানান, আবাসিক এলাকায় এ ভেজাল কারখানা বন্ধে অনেকবার অভিযান পরিচালনা করতে দেখেছি। কিন্তু অভিযান শেষ হওয়া মাত্রই আবারও শুরু করে এই ভেজাল গুড় উৎপাদন। ভেজাল এই কারখানা বন্ধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।ভুক্তভোগী ফারজানা খাতুন বলেন, আবাসিক এলাকায় এধরনের কারখানা থাকলে বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পরে। ভেজাল এই কারখানা বন্ধে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেন তিনি।শামিম হোসেন বলেন, জনস্বার্থে এই ভেজাল কারবার বন্ধ করা প্রয়োজন।সর্বশেষ গত ৬ মার্চ বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলা সদরের পৌর এলাকার ডাক বাংলো রোডস্থ দিলীপ বিশ্বাস ষষ্ঠীর মেসার্স দিলীপ ট্রেডার্সে অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রদীপ্ত রায় দীপন। এসময় কারখানায় গুড় উৎপাদনে নিষেধাজ্ঞা সহ ২ লক্ষ টাকা জরিমানা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। কিন্তু ভ্রাম্যমাণ আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পুরোদমে ভেজাল গুড় তৈরি করছে কারখানা গুলো।এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) প্রদীপ্ত রায় দীপন জনকণ্ঠকে জানান, আমি খুলনাতে প্রশিক্ষণে আছি। প্রশিক্ষণ শেষে খোকসাতে ফিরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

