মিজানুর রহমান বিশেষ প্রতিনিধি ফরিদপুর >>> ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার লস্করদিয়া ইউনিয়ন নিকাহ্ রেজিস্ট্রার কাজী মওলবী মনিরুল ইসলাম হেমায়েত মোল্লা কারাগারে থাকায় বিযে রেজিস্ট্রার করাতে ভোগান্তি ইউনিয়নবাসী।কারাগার যেন শশুর বাড়ি তাই মাঝে মধ্যেই বিভিন্ন অপরাধ অপকর্ম করার অপরাধে পুলিশের হাতে আটক হয়ে কারাগারে যেতে হয়।নারী কেলেঙ্কারি, বাল্যবিবাহ, ভুয়া কাবিননামা বানিয়ে দিয়ে প্রতারণা,চেক জালিয়াতি,স্ট্যাম্প বাণিজ্য, কাবিননামায় দেনমোহরের অংক নয় ছয় করা সহ নানান অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকার অপরাধে প্রায় তাকে যেতে হয় কারাগারে। জেলখানা যেন তার শশুর বাড়ি।কাজী মনিরুল ইসলাম হেমায়েত মোল্লা বর্তমানেএকাধিক মামলার আসামি।হাফ ডজন বউ নিয়ে তিনি সংসার করছেন বলে এলাকাবাসী অনেকে জানান।কাজী মৌলভীর পাশাপাশি নিজেকে এ্যাডভোকেট,ডাক্তার, সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে অনায়াসে পটান সুন্দরী নারী।করেনও বিয়ে।অনেক নারী তার প্রতারণার খপ্পরে পড়ে সব শেষ করে নিরবে কাদছেন।ভেঙেছে অনেক নারীর সংসার। একেরপর এক অপরাধে কারাগারে থাকায় বিয়ে রেজিস্ট্রি করাতে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে ইউনিয়নবাসীর।১৩ নভেম্বর পুলিশ থাকে আটক করে কারাগারে প্রেরন করে।জানা যায় নারী কেলেঙ্কারি মামলায় পুলিশ তাকে আটক করে। কাজী মওলবী মনিরুল ইসলাম হেমায়েত মোল্লার নামে বর্তমানে একাধিক মামলা চলমান রয়েছে। আদালত অবমাননা করায় তার নামে একাধিক ওয়ারেন্ট চালু রয়েছে। ইউনিয়ন বাসী অনেকে বলেন নিকাহ্ রেজিস্ট্রার কাজী মওলবী মনিরুল ইসলাম হেমায়েত প্রায় পুলিশ তাকে আটক করে কারাগারে পাঠায়।কারাগারে বছরের বেশি সময় পার করছেন।যে কারনে ছেলে মেয়ের বিয়ে রেজিষ্ট্রেশন করতে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। নিজে বিভিন্ন মামলার আসামী হয়ে বিভিন্ন জনের নামে দিচ্ছেন মিথ্যা মামলা। কাজী মওলবী মনিরুল ইসলাম হেমায়েত এর মিথ্যা মামলার শিকার হয়েছেন জুঙ্গুরদী গ্রামের মাদ্রাসার শিক্ষক আবুল হাসান মিয়া, আব্দুস সোবহান মোল্লা, হেলাল মোল্লা, মাসুদ মাতুব্বর, মিজানুর রহমান, জাজরিস মাতুব্বর সহ অনেকে।অর্থের বিনিময়ে প্রবাসী স্বামীর স্বাক্ষর জালিয়াতি করে তালাকনামা করে দেওয়ায় ভুক্তভোগী লস্করদিয়া ইউনিয়নের মাজিকান্দা গ্রামের হাসিনা বেগম আদালতে কাজী মওলবী মনিরুল ইসলাম হেমায়েত কে আসামী করে মামলা দেয়।সেই মামলায় কারাগার বাস করেন।কাবিনের নকল প্রধানে এক ব্যাক্তির দেনমোহর দুটি টাকা নয় ছয় করে প্রদান করায় ভুক্তভোগীদের করা মামলায় কারাগারে যায়।ভুয়া কাবিননামা বানিয়ে দিয়ে নিজের মামাতো বোন কে দিয়ে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে আদালতে মিথ্যা মামলা করায় এবং সেই মামলার বিপক্ষে ভুক্তভোগী শিক্ষক মোঃ আবুল হাসান বাদী হয়ে আদালতে মামলা করলে সিআইডি তদন্ত করে কাবিননামা ভুয়া প্রমানিত হয় এবং কাজী মওলবী মনিরুল ইসলাম হেমায়েত সহ আসামীরা কারাগারে যায়।মামলা চলমান।টাকা নিয়ে কয়েকজন প্রতিনিধি বিয়ে পড়ানোর কাজে নিয়োজিত করেন।তিনি থাকেন ফরিদপুর কোট চত্বরে। সেখানে কোট ম্যারেজ করতে আসা অপ্রাপ্ত বয়সী ছেলে মেয়েদের বিয়ে পড়িয়ে থাকেন।বিয়ের রেজিস্ট্রার নকল কপি বই বানিয়ে কাজ করেন।অনেক সময় কন্যা পক্ষ বা বর পক্ষ বিয়ের কাবিননামা খুজে পাচ্ছেনা।টাকার বিনিময়ে কাজীর প্রতিনিধিরা এলাকায় বিয়ে পড়ানোর পর তারা কাবিননামার নকল ও রশিদ প্রদান করতে পারছেনা। যে কারনে বিপদে কন্যা ও বর পক্ষ। কাজী মওলবী মনিরুল ইসলাম হেমায়েত এর নামে ফরিদপুর জেলা ডিয়ার অফিসে এলাকাবাসী একাধিক বার লিখত অভিযোগ করেন। তদন্ত হয়েছে কিন্তু দেশের পেক্ষাপটে তখন চাপা পড়ে থাকে।কাজী মওলবী মনিরুল ইসলাম হেমায়েত এর অপরাধ অপকর্মের বিচার দাবি সহ নতুন করে কাজী মওলবী নিকাহ্ রেজিস্ট্রার নিয়োগের দাবি করেন ইউনিয়নবাসী।কাজী মওলবী নিকাহ্ রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলাম কারাগারে থাকায় তার বক্তব্য জানা যায়নি।

