
আনোয়ারুল আজিমঃচাটখিল(নোয়াখালী)প্রতিনিধি >>> ফেসবুকসহ সোশ্যাল মিডিয়ায় মিথ্যা সংবাদ প্রচারের প্রতিবাদ জানিয়েছে নোয়াখালীর চাটখিল থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (নিরস্ত্র) মোঃ আলমগীর হোসেন।তিনি তার লিখিত বক্তব্যে জানান, ২৩ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার ‘পূর্ব শিখা’ নামক একটি ফেসবুক আইডিতে আমার নামে প্রবাসির বাড়িতে জোর পূর্বক থাকার অভিযোগ শিরোনামে একটি মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যে প্রনোদিত সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। যাহা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত।প্রকৃত পক্ষে আমি প্রায় দুই বছর পূর্বে নোয়াখালী জেলার চাটখিল থানায় যোগদানের পর আমি আমার পরিবার নিয়া চাটখিল থানাধীন চাটখিল পৌরসভার ০২নং ওয়ার্ডস্থ সুন্দরপুর গ্রামের বড় বাড়ির, আমেরিকা প্রবাসী রফিক উল্যাহ মনু মিয়ার ভাই ফিরোজ মিয়ার নিকট হইতে মাসিক বাসা ভাড়া বাবদ ৬ হাজার পাঁচশত টাকা ধার্য্য করিয়া ও ব্যবহৃত বিদ্যুৎ বিল আলাদা পরিশোধের শর্তে বাসা ভাড়া নিয়া স্ব-পরিবারে বসবাস করিয়া আসিতেছি।বর্ণিত বাসা ভাড়া নেওয়ার সময় আমেরিকা প্রবাসী রফিক উল্যাহ মনু মিয়ার ভাই ফিরোজ মিয়ার নিকট অগ্রীম ০২ মাসের ভাড়া বাবদ ১৩ হাজার টাকা অগ্রীম জামানত দিয়েছি। আমি বর্ণিত বাসা ভাড়া নেওয়ার পর হইতে প্রতি মাসের ৫ তারিখ হইতে ১০ তারিখের মধ্যে বাসা ভাড়া, বিদ্যুৎ বিলসহ যথারিতী পরিশোধ করিয়া আসিতেছি এবং মাসিক ভাড়া ও বিদ্যুৎ বিল একসাথে করিয়া ফিরোজ মিয়া নিজেই নিয়া যাইত।সর্বশেষ আগষ্ট মাসের ভাড়া গত ৯ সেপ্টেম্বর ২৫ইং তারিখ আমার স্ত্রীর মাধ্যমে ৬ হাজার পাঁচশত টাকা এবং বিদ্যুৎ বিল ১ এক হাজার ছয়শত টাকা ফিরোজ মিয়ার নিকট পরিশোধ করিয়াছি। সর্বশেষ ভাড়া পরিশোধ করার সময় কিংবা পূর্বে আমেরিকা প্রবাসী রফিক উল্যাহ মনু মিয়া কিংবা তাহার ভাই ফিরোজ মিয়া বাসা ছেড়ে দেওয়ার বিষয়ে লিখিত বা মৌখিকভাবে আমাকে কিংবা আমার স্ত্রীকে কোন কিছু জানান নাই।কয়েকদিন পূর্বে হঠাৎ করে আমেরিকা প্রবাসী রফিক উল্যাহ মনু মিয়া আমার ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারে কল করিয়া জানায় যে, তিনি তাহার পরিবারসহ আমেরিকা হইতে দেশে আসিবেন এবং আমাকে বাসা ছেড়ে দিতে হবে। ‘আপনি কবে ছাড়তে পারবেন, সেই হিসেবে আমি দেশে আসিব’। তখন আমি আমেরিকা প্রবাসী রফিক উল্যাহ মনু মিয়াকে জানাই যে, আমার সন্তানদের বার্ষিক পরীক্ষা সম্পন্ন হওয়ার পূর্বে বাসা ছেড়ে দিলে নানা রকম জটিলতা সহ আমার সন্তানদের লেখাপড়ার ক্ষতি হইতে পারে। এমতাবস্থায়, আমি আগামী ডিসেম্বর ২৫ইং মাসে আমার সন্তানদের বার্ষিক পরীক্ষা শেষে আমি বাসা ছেড়ে দিবো। আপনি সেই হিসেবে আমেরিকা হইতে দেশে আসার প্রস্তুতি নেন। তখন রফিক উল্যাহ মনু আমার বক্তব্যর সাথে সম্মতি প্রকাশ করেন। রফিক উল্যাহ মনুর সহিত আমাদের কথোপথনের মধ্যে কোন ধরনের মনোমালিন্য কিংবা মতবিরোধ হয় নাই।অথচ গত ২৩ সেপ্টেম্বর ২৫ইং তারিখ ফেসবুকসহ সোশ্যাল মিডিয়ায় আমার নামে যেই সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে তাহা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত বলে আমি মনে করি। যাহার ফলে আমি ও আমার পরিবার এবং আমার কর্মস্থল বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে মর্মে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।এই সময় উপ পরিদর্শক আলমগীর হোসেন, প্রকৃত সত্য ঘটনা তুলে ধরার জন্য সাংবাদিকদের প্রতি অনুরোধ জানান।এই বিষয়ে জানতে আমেরিকা প্রবাসী রফিক উল্যাহ মনু মিয়ার ভাই ফিরোজ মিয়ার মুঠোফোনে একাধিক বার কল দিলেও তিনি কল রিসিভ করেন নাই।