
আব্দুল্লাহ আল মারুফ,নিজস্ব প্রতিবেদক।। চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার ঠাকুরদিঘীর পাড় ও ছমদিয়া পুকুর পাড় এলাকায় ওষুধের দোকানের পিছনে দশটির উপরে বেড,স্থাপন করে,নিয়ম বহির্ভূতভাবে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছে দুই পল্লী চিকিৎসক,এসব উপজেলা প্রশাসনের নজর আসলে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে দুই প্রতিষ্ঠানকে এক লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বুধবার (৬ আগস্ট)উপজেলার ছমদিয়া পুকুর পাড় এলাকায় বিকাল ৩ টার দিকে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।অভিযানে নেতৃত্ব দেন সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট,খন্দকার মাহমুদুল হাসান। এ সময় সাতকানিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার (রোগ নিয়ন্ত্রণ) ডা. মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক উপস্থিত ছিলেন।অভিযানে সহযোগিতা করেন সাতকানিয়া থানার পুলিশ সদস্যবৃন্দ ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা।ভ্রাম্যমান আদালত সূত্রে এ জানা যায়,গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিধিবহির্ভূতভাবে বিভিন্ন অপারেশন পরিচালনা, এন্টিবায়োটিকসহ জীবন রক্ষাকারী ঔষধের যথেচ্ছ ব্যবহার, কোনো বিশেষজ্ঞ ডিগ্রি না থাকা সত্ত্বেও নিজেদের বিভিন্ন জটিল ও কঠিন রোগের বিশেষজ্ঞ বলে প্রচার করার অভিযোগে ভোক্তা অধিকার সংক্ষরণ আইন ২০০৯ এর প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে মোট ১ লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়।ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক-খন্দকার মাহমুদুল হাসান বলেন, সরকারী আইন লঙ্ঘন করে যেখানে যে বা যারা বেআইনী কার্যক্রম পরিচালনা করবে, তাদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবেনা। আজ উপজেলার ঠাকুরদিঘীর পাড় ও ছমদিয়া পুকুর পাড় এলাকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালনা করে বেআইনীভাবে মানুষের শরীরে অস্ত্রপচারের কথা তারা স্বীকার করে, এবং ওষুধের দোকানের,পিছনে মিনি হাসপাতাল গড়ে তুলেছেন,যেখানে ১০ টির উপরে বেড রয়েছে। তাই সুনিদ্দৃষ্ঠ আইনে দুইজন পল্লী চিকিৎসককে এক লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।এ ছাড়াও তাদেরকে অর্থদণ্ডের পাশাপাশি ভবিষ্যতে এ ধরনের কর্মকাণ্ড জড়িত না হওয়ার শর্তে অঙ্গীকারপত্র নেওয়া হয়।স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণে উপজেলা প্রশাসনের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।