
রেজাউল করিম চৌধুরী, নির্বাহী পরিচালক, কোস্ট ফাউন্ডেশন।। আসন্ন ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে সরকার ১০ দিনের ছুটি ঘোষণা করেছেন। ইতিমধ্যেই মে দিবস এবং তার সাথে যুক্ত আরো দুদিনের সাপ্তাহিক ছুটির কারণে, আমাদের তিন দিন সময় নষ্ট হয়েছে। সামনে আরও সাপ্তাহিক ছুটির দিন এবং সেই সাথে লাগোয়া ছুটিও আসবে। আমি দৃঢ়ভাবে অনুভব করছি, সরকার হয়তো জনপ্রিয়তাবাদে ভুগছেন, আসলে জনপ্রিয় হওয়ার জন্য জনপ্রিয়তাবাদী হতে হয় না। গত বছর মনসুন অভ্যুত্থানের কারণে আমরা অনেক কর্মদিবস হারিয়েছি। এগুলো একপ্রকার বিলাসিতা, আমরা আরও কর্মদিবস হারানোর পরিকল্পনা করছি, যেখানে আমরা দুই অঙ্কের মুদ্রাস্ফীতির মধ্যে রয়েছি, যেখানে আমাদের দিনরাত কাজ করে যেতে হচ্ছে। আমরা, এনজিও-ক্ষুদ্রঋণ নির্ভর সংস্থাগুলো মূলত ক্ষুদ্রঋণের আয়ের উপর পরিচালিত, মাঠ পর্যায়ের ঋণগ্রহীতরা এখন তাদের ঋণের কিস্তি পরিশোধ করতে চাইছেন না। সাইক্লোনের ক্ষয়-ক্ষতি এবং কোভিড-১৯ এর লকডাউন পরিস্থিতির পরেও ক্রেডিট তহবিল প্রদানকারী এবং ব্যাংকগুলোও কখনও কিস্তি/ ইনটারেস্ট নিতে বিন্দুমাত্র দেরি করেনি বা মওকুফ করেনি। আমরা, এনজিও ক্ষুদ্রঋণ সংস্থাগুলো বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ব্যক্তিগত গ্যারান্টি দিয়ে ঋণের টাকা নিয়ে থাকি। এমনকি দাতা সংস্থাগুলোও বলছে যে, যদি কাজ না থাকে /ছুটি তাহলে বেতনও নেই।ছুটির দিনে কর্মদিবসের ক্ষতিপূরণ দিতে কি সরকার এগিয়ে আসবে? আমরা দয়া-দাক্ষিণ্য চাই না, আমাদের মেধা আছে এবং আমাদের দুটি কর্মক্ষম হাত আছে, আমরা কাজ করতে চাই, দয়া করে বাধা সৃষ্টি করবেন না। লম্বা ছুটি দিলেও কর্মীরা সময়ানুবর্তিতা অনুভব করেনা, গত ঈদে, প্রায় ২০০০ কর্মীর মধ্যে ৩০০ জন ছুটির পরে দেরিতে অফিসে যোগদান করেছিলো। আমরা অলাভজনক বেসরকারি সামাজিক উন্নয়ন সংগঠন, আমরা দরিদ্রদের জন্য, প্রান্তিক মানুষের জন্য কাজ করতে চাই। দয়া করে আপনাদের জনপ্রিয়তা অর্জনের কৌশল দিয়ে আমাদের বিরক্ত করবেন না বা আমাদের কর্মসংস্কৃতির ক্ষতি করবেন না।