
সাদেকুল ইসলাম,বিশেষ প্রতিনিধি কিশোরগঞ্জ,নীলফামারী>>>বিংশ শতাব্দীর ৭০-৮০ দশকে দিকে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের গ্রামের প্রতিটি বাড়িতে ছিলো খড়ের(বাংলা)ঘর। ঘর গুলো তৈরি হতো শুধুমাত্র খড় ও বাঁশের বাতা দিয়ে।প্রতি বছর অন্তর ঘরের চালের খড় পরিবর্তন করা লাগতো। এই ঘর গুলোর বিশেষত্ব ছিল গ্রীষ্মকালে ঘর গুলো থাকতো শীতল,আর শীতকালে ঘর গুলো থাকতো উষ্ণ।কিন্তু বর্তমানে যুগের পরিবর্তনে সাথে আধুনিক ঢেউটিনের উদ্ভাবন ও ব্যবহার বাড়ায় আস্তে আস্তে বিলীন হয়ে যাচ্ছে গ্রামীণ সেই খড়ের(বাংলা) ঘর।বিলীন সেই প্রাচীন খড়ের বাংলা ঘর হঠাৎ চোখে পড়লো নীলফামারী জেলাধীন সৈয়দপুর উপজেলার খাতামধুপুর ইউনিয়নের পানিশালা গ্রামে। সেখানকার এক প্রবীণ কৃষক মোঃ আলতাফ হোসেন(৭০) বলেন, ❝বর্তমানে মেলা রকম টিন বেরাইলেও হামার খড়ের ঘরের মতন আর হয়না।এই ঘরে থাকলে গরমকালে গরম কম লাগে❞।বাংলাদেশের গ্রামীণ সংস্কৃতির মধ্যে খড়ের ঘর একটা অন্যতম বিষয়।বর্তমানে এই সংস্কৃতির ধারাকে আকড়ে ধরতে বিভিন্ন রিসোর্ট, পার্ক ও রেস্তোরাঁয় ছোট ছোট করে তৈরি করা হচ্ছে খড়ের ঘর।