এনামুল হক রাশেদী, চট্টগ্রাম>>> চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী উপজেলায় বৈশাখী খাতুন (২৪) নামে এক নারী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার কালীপুর ইউনিয়নের ভাসানীর দোকান এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। আত্মহত্যাকারী গৃহবধু বৈশাখী দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের মোশাররফ হোসেনের স্ত্রী এবং সে এক সন্তানের জননী। তার স্বামি মোশাররফ ইনসেপ্টা ওষুধ কোম্পানির মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভ (এমআর) হিসেবে বাঁশখালীতে কর্মরত। সে সূত্রে তারা স্বামি স্ত্রী বাঁশখালীতে বসবাস করত।প্রতিবেশি সূত্রে জানা গেছে ৫/৬ বছর আগে তাদের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। দাম্পত্য জীবনে তাদের তিন বছর বয়সী একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। তারা গুণাগরী এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করছিলেন। ঘটনার সময় মোশাররফ হোসেন কর্মস্থলের মাসিক সভায় যোগ দিতে চট্টগ্রাম শহরে অবস্থান করছিলেন।প্রতিবেশীরা জানান, বৈশাখী বেশ শান্ত প্রকৃতির ছিলেন এবং এ ধরনের সিদ্ধান্ত তার ক্ষেত্রে অপ্রত্যাশিত।সকালে বৈশাখীর তিন বছরের ছেলে দরজার বাইরে কান্নাকাটি করছিল। তার কান্না শুনে প্রতিবেশীরা দরজায় ডাকাডাকি করেন। কোনো সাড়া না পেয়ে দরজা ধাক্কা দিলে বৈশাখীকে সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলতে দেখা যায়।বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, কালিপুরে এক গৃহবধুর আত্মহত্যার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বৈশাখী খাতুনের ব্যবহৃত মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে। তার মৃত্যুর সঠিক কারণ উদ্ঘাটনে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। আমরা বিষয়টি গুরুত্বের সাথে তদন্ত করছি। তবে প্রাথমিকভাবে মানষিক ডিপ্রেশন থেকে ঐ মহিলা আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে। বিস্তারিত তদন্তের পর জানা যাবে বলে জানিয়েছেন ওসি সাইফুল। ওসি সাইফুল আরো জানান, পারিবারিক কলহ, মানসিক চাপ বা অন্য কোনো কারণ এর সঙ্গে জড়িত কিনা তা জানতে তদন্ত চলছে।মোবাইল ফোনে বৈশাখীর সর্বশেষ যোগাযোগ ও মেসেজ যাচাই করা হচ্ছে। এছাড়া তার পারিবারিক সম্পর্কের পরিস্থিতি এবং ঘটনার সময়ের পারিপার্শ্বিক তথ্যও বিশ্লেষণ করছে পুলিশ।