লেখকঃ সাদেকুল ইসলাম
রনচন্ডী-৫৩২০,কিশোরগঞ্জ,নীলফামারী।
প্রাণঘাতী অস্ত্রের বেআইনি ব্যবহার যার ফলে জীবন এবং নির্যাতন থেকে মুক্তির অধিকার লঙ্ঘন এবং শাস্তির অন্যান্য নিষ্ঠুর, অমানবিক বা অবমাননাকর আচরণ বিক্ষোভকারীরা বিশ্ববাসীর সহানুভূতি কেড়ে নেয়। ২১ জুলাই, ২০২৪ বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ হাইকোর্টের দেয়া রায়কে বাতিল করে এবং ৭% কোটা রেখে সরকারি চাকরিতে মেধার ভিত্তিতে ৯৩% নিয়োগ দেয়ার নির্দেশ প্রদান করে। নির্দেশনা পেয়ে ছাত্র জনতা কিছুটা শান্ত হলেও ২৯ জুলাই থেকে এই জুলুমকারী ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে আপামর সাধারণ জনতা সহ আন্দোলন গড়ে তোলেন। সবার স্লোগান ছিলো এক টাই, ❝এক দফা,এক দাবি, শেখ হাসিনার পদত্যাগ❞। আন্দোলন চলমান থাকে ৫ই আগস্ট পর্যন্ত অর্থাৎ ৩৬শে জুলাই পর্যন্ত। ছাত্রজনতা ও দেশের সর্বস্তরের জনগণের রাজপথ দখল ও কঠিন বিক্ষোভ আন্দোলনের চাপে পরে ৫ই আগস্ট বিকেল আনুমানিক ৩.৪৫ ঘটিকায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে চুপিসারে দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়। ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বরের মতো এদেশের ১৮ কোটি মানুষ বিজয় অর্জন করে এই ফ্যাসিস্ট, খুনী হাসিনা সরকারের কবল থেকে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলন ও ফ্যাসিস্ট সরকারের পদত্যাগের আন্দোলনকে বেগবান করতে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছে নারী শিক্ষার্থীরা৷ আন্দোলনে নারী শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মতো। জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের পুরো সময় নারী শিক্ষার্থীরা মিছিলের অগ্রভাগে অবস্থান করে ঝুঁকি নিয়ে প্রতিবাদকে গতিবেগ দান করেছে। ফ্যাসিস্ট সরকারের হামলায় আহত শিক্ষার্থীদের হাসপাতালে পৌঁছে দিয়েছে। পুলিশ আর আর্মির সামনে নির্ভীকভাবে দাঁড়িয়েছে।
বাংলাদেশের জনগণ আজীবন ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ ও বিজয়ের কথা যেমন মনে রাখবে তেমনি মনে রাখবে ২০২৪ সালের আন্দোলন ও বিজয় অর্জনের গৌরব গাঁথা স্মৃতি। সশ্রদ্ধ সালাম সেইসব শহীদ ভাই-বোনদের যাদের মহান ত্যাগের বিনিময়ে ২০২৪-এ বিজয় অর্জিত হয়েছে। দেশের জনগণের জন্য তাদের এই মহান ত্যাগ আল্লাহ কবুল করুক, তাদের শহীদী মর্যাদা দান করুক,আমিন।