জেমস রানা বিশ্বাস উপজেলা প্রতিনিধি,সাভার ঢাকা>>> গাজা ও লেবাননে ইসরাইলের ক্রমাগত হামলা বন্ধে জাতিসংঘ ও বিশ্বের শক্তিমান দেশগুলোর নীরবতা পরিস্থিতি ক্রমেই জটিলতর হচ্ছে।হামাস,হিজবুল্লাহ ও ইরানের সিনিয়র কমান্ডারদের হত্যার প্রতিশোধ নিতে সম্প্রতি ইসরাইলকে লক্ষ করে প্রায় দু’শ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান।এইসব ক্ষেপণাস্ত্রে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কেমন, তা স্পষ্ট নয়।কারণ এ নিয়ে তেল আবিব ও তেহরান পরস্পরবিরোধী তথ্য দিয়েছে। হামলার জবাবে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বলেছেন, তেহরানকে এ ভুলের চড়া মূল্য দিতে হবে।এদিকে আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ঘটনার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই ইসরাইলের প্রতি ওয়াশিংটনের পূর্ণ সমর্থন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছিলেন।অপর পরাশক্তি রাশিয়া এ ঘটনার জন্য আমেরিকার নীতির ব্যর্থতাকেই দায়ী করেছে।আর চীন অবিলম্বে লেবাননে আগ্রাসন বন্ধে ইসরাইলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া,ইসরাইলের গাজা-লেবাননে হামলার মতো সংকটময় পরিস্থিতিতে জরুরি বৈঠক করেছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ।মধ্যপ্রাচ্যের এই সংঘাতময় পরিস্থিতিতে বিশ্ববাসী নতুন করে উদ্বিগ্ন।যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া,চীন এবং ইউরোপের কিছু দেশের যুদ্ধংদেহী দৃষ্টিভঙ্গি দেশগুলোর পারস্পরিক সম্পর্কে চিড় ধরিয়েছে,যার স্পষ্ট প্রভাব পড়ছে উন্নয়নশীল ও অনুন্নত দেশগুলোতেও।যুদ্ধাস্ত্রের ব্যবহার বৈশ্বিক পরিবেশকেও করে তুলছে দুর্বিষহ।খাদ্য, জ্বালানি তেল,গ্যাস সরবরাহ ব্যবস্থায় শুরু হয়েছে নানা রকম টানাপোড়েন।মানবাধিকার নিয়ে উচ্চকণ্ঠ যে দেশগুলো, তাদের উদাসীনতা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের চিত্রও স্পষ্ট। গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনে নারী-শিশু-কিশোর-বৃদ্ধ নির্বিশেষে এ পর্যন্ত ৪০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হলেও তা বন্ধে বিশ্ব নেতৃত্বের কার্যকর কোনো ভূমিকা এখনো পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে না।জাতিসংঘের তথ্যানুসারে,গেল বছরের অক্টোবরে সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে ফিলিস্তিনের ৮০ শতাংশ স্কুল ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।নির্মম মানবেতর পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে নিরীহ ফিলিস্তিনিদের।সংঘাতের মোড় ক্রমেই ঘুরছে, সংকট নতুন মাত্রা পাচ্ছে, যার পরিণতিতে সভ্যতা এখন প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে পড়েছে হুমকির মুখে।সঘাতময় পরিস্থিতি যাতে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে না যায়,সেজন্য জাতিসংঘসহ বিশ্ব নেতৃত্বকে যত দ্রুত সম্ভব কার্যকর ভূমিকা নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে।সকলের আশা সংঘাত,হানাহানি বন্ধে বিশ্ব নেতৃত্ব অবিলম্বে কার্যকর পদক্ষেপ নেবে।যুক্তরাষ্ট্রে দ্বিতীয় বারের মতো ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতায় আসছে ডোনাল্ড ট্রাম্প।হয়ত বিশ্ববাসী নতুন কিছু দেখার প্রত্যাশায় রয়েছে।