
সিলেট ব্যুরো>>> ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভাস্থ শেরপুর এলাকার দাদন ব্যবসায়ী রায়হানের প্রতারণায় নি:স্ব হয়েছেন অনেকেই।সাম্প্রতিক বেশ কিছু ঘটনায় এলাকাবাসীর অভিযোগে সরেজমিনে ঘোরে জানা যায়, শেরপুর এলাকার ০৩ নং ওয়ার্ডের লিলু মিয়ার পুত্র এক সময়ের উগ্রপন্থী ত্রাস,দূরান্ধাজ রায়হান মুদিমালের ব্যবসার আড়ালে গণ্যমান্য লোকদের সাথে ভালো সম্পর্ক রেখে সুকৌশলে দাদন ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।এভাবে নি:স্ব করে দিচ্ছে একের পর এক পরিবারকে।খবর নিয়ে জানা যায়,ত্রাসের জীবন থেকে বেড়িয়ে আসতে পরিবারের পরামর্শে কিছুদিন তাবলিগ জামাতের সাথে বিভিন্ন এলাকায় সময় কাটান।পরবর্তীতে নিজের এলাকায় মুদির দোকান খুলে বসেন।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি প্রতিবেদককে বলেন,রায়হান মূলত এলাকার প্রভাবশালী “খান বংশের” সন্তান।মুদিমালের ব্যবসার আড়ালে দাদন ব্যবসাই তার প্রধান লক্ষ্য।সে বিভিন্ন সম্মানী ব্যক্তিদের সাথে মধুর সম্পর্ক তৈরি করে সুযোগে সহযোগিতার নামে টাকা ধার দেয়।পরবর্তীতে টাকা ফেরত দিতে দেরি হলে সুদ গুনে অত্যন্ত সুকৌশলে তাদের কাছ থেকে সাদা স্ট্যাম্পে দস্তখত নিয়ে ইচ্ছামত টাকার পরিমান বসিয়ে দেন-দরবার করে টাকা আদায়ের চেষ্টা করে।এতে অনেক সম্মানিত ব্যক্তিই লোক-লজ্জার ভয়ে টাকা দিতে বাধ্য থাকে।অন্যথায় আদালতে মামলা টুকে দেয়।এরপর শুরু হয় ভুক্তভোগীর দৌড়াদৌড়ি।এর ফাঁকে সে ভুক্তভোগীকে দিতে থাকে বিভিন্ন ধরনের চাপ।নাম গোপন রাখার শর্তে রায়হানের এক প্রতিবেশী প্রতিবেদককে বলেন, রায়হানের কিছু নিজস্ব লোক আছে,যাদেরকে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জায়গায় স্বাক্ষী হিসাবে উপস্থাপন করেন। রায়হানের প্রতারণার শিকার এক ভুক্তভোগী সিনথিয়া (ছদ্ম নাম)’র এক মামলা পর্যালোচনা করে দেখা যায় (২) দুই লাখ টাকা ধার দিয়ে পরবর্তীতে সুদ নেয় এবং ১০ লাখ টাকার মামলা টুকে দেওয়ায় সিনথিয়া দুধের শিশু বাসায় রেখে জেল হাজতে পড়ে আছে। আদালতে মামলা করার পূর্বে রায়হান ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বি এন পি নেতা জহিরুল হক খোকনের কাছে সিনথিয়ার স্বামীর কাছে (৫) লাখ টাকা পাবে বলে জানায়।কিন্তু আদালতে দশ লাখ টাকার মামলার কথা শুনে নেতা জহির আশ্চর্য হয়ে যান।পরিচয় গোপন রেখে সিনথিয়ার মামলার ব্যাপারে জানতে চাইলে রায়হান বলে আমার থেকে লাভে টাকা নিয়ে যথাসময়ে ফেরত দেয়নি,স্বামীর করা লোনে স্ত্রীকে কেন আসামি করলেন জানতে চাইলে বলেন,স্ত্রীকে না ধরলে তার স্বামীকে পাওয়া যাবে না,তাই সুদের টাকার জন্য নি:স্বপাপ দুধের শিশুকে মায়ের আদর থেকে বঞ্চিত রাখা এটা কতটুকু যুক্তিসঙ্গত জানতে চাইলে তিনি বলেন,এটা দেখে লাভ নেই।টাকার ব্যবসায় মায়াকান্নার জায়গা নেই।এভাবে প্রতারণার স্বীকার হয়ে গোপনে কেঁদে যাচ্ছে অনেক ভুক্তভোগী।তাই রায়হানের প্রতারণা স্বীকার ভুক্তভোগীরা প্রশাসন ও সরকারের কাছে তার এভয়াল থাবা থেকে রক্ষা পেতে চায়।