
সাইফুল ইসলাম বাবু জৈন্তাপুর উপজেলা প্রতিনিধি>>> জৈন্তাপুরের দৈনন্দিন কাঁচাবাজারে সবজীর দামে নেই কোন সুখবর।সমাজের নিম্ন আয়ের মানুষের অন্যতম ভরসা শাক সবজির বাজারে আগুনের উত্তাপ যেন দিন দিন বেড়েই চলছে।নিম্ম আয়ের মানুষের পাশাপাশি মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষের নাভিশ্বাস হয়ে উঠেছে সবজী ক্রয়ের ক্ষেত্রে।রবিবার (১৩ ই অক্টোবর) জৈন্তাপুর সদরে সাপ্তাহিক হাঁটবার। সরজমিনে গিয়ে দেখা মিলে সকাল থেকে সিলেট নগরী থেকে ট্রাকযোগে আসা পাইকারি কাঁচামালের পন্য খালাসের চিত্র।স্হানীয় সবজি ব্যবসায়ী সেলিম আহমেদ বলেন,দাম বৃদ্ধির অন্যতম কারণ সবজীর পর্যাপ্ত সরবরাহ কম।যেখানে একটি সবজীর বিক্রয় চাহিদা ১৫০ কেজি সেখানে মাত্র ৭০/৮০ কেজি সবজী সরবরাহ দেয়া হচ্ছে।সরজমিনে দেখা যায়, রবিবার বাজারে টমেটো প্রতি কেজি ১৫০ টাকা,করোলা ৯০ টাকা,চিচিঙ্গা ৭০ টাকা,লতা ৭০ টাকা,বেগুন ১০০ টাকা, পেপে ১০০ টাকা,লালশাক আঁটি ৩০ টাকা,শশা ৬০ টাকা,পুঁইশাক ৬০ টাকা,বরবটি ৭০ টাকা,লেবুর হালি ৩০ টাকা,কচুরমুক্ষি ৭০ টাকা, ঝিঙা ৮০ টাকা কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে।এ ছাড়াও কাঁচা মরিচ ও ধনিয়া পাতার বাজারে উত্তাপ বেড়েছে।আজ রবিবার মরিচ কেজিপ্রতি ৫০০ টাকা ও ধনিয়া কেজিপ্রতি ৪০০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।এদিন সাপ্তাহিক হাঁটে আসা দুবাই প্রবাসী আতাউর রহমান জানান,বিদেশে থেকে বাংলাদেশের দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির সংবাদ সবসময় দেখি।বর্তমানে দেশে এসে এর কোন ব্যতিক্রম নেই।বিশেষকরে মানুষের স্বল্পমূল্যের খাদ্য সবজীর বাজারের এই অবস্থা থাকলে মানুষের জীবনধারণ অনেক কঠিন হয়ে পড়বে।তিনি অনতিবিলম্বে দ্রব্যমূল্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে বাজার মনিটরিং জোরদার করার আহবান জানান।এ বিষয়ে জৈন্তাপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) ফারজানা আক্তার লাবনী বলেন, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেলা কৃষি বিপনন অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সাথে নিয়ে কাঁচা পন্যের বাজার সহ নিত্য প্রয়োজনীয় পন্যের বাজার মনিটরিং কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।তিনি বলেন প্রতিটি দোকানে মূল্য তালিকার পাশাপাশি ক্রয়মূল্যের রিসিট সংরক্ষণ ও মাঠ থেকে যে কৃষকের নিকট হতে পন্য ক্রয় করা হবে তার মোবাইল নাম্বার রাখতে বলা হয়েছে। সেই সাথে বাজারমূল্য নিয়ন্ত্রণ রাখতে মনিটরিং কার্যক্রম নিয়মিত চলবে বলে তিনি নিশ্চিত করেছেন।