
সাইফুল ইসলাম বাবু জৈন্তাপুর উপজেলা প্রতিনিধি>>> জৈন্তাপুর উপজেলায় তীব্র খরতাপের পর দুইদফা আকষ্মিক ঝড় ও ভারীবৃষ্টি শুরু হয়।এ সময় বজ্রপাতে নাহিদ (১৩) নামক এক কিশোরের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।এর ঘন্টাদুয়েক পর দ্বিতীয় দফা ঝড়ে আবদুল মান্নান মনাই (৪৫) নামে এক ইজিবাইক চালক নিহত হয়েছেন।এ নিয়ে উপজেলায় দুইদফা ঝড় ও বজ্রপাতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দুইজন।স্হানীয় ইউপি সদস্য হারুণ সরকার জানান,নিহত নাহিদ ২ নং জৈন্তাপুর ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত ৯ নং ওয়ার্ডের নয়াগ্রাম আগফৌদ এলাকার নূরুল হকের ছেলে।নূরুল হক পেশায় একজন কৃষক।তিনি আরো বলেন,শনিবার (২১শে সেপ্টেম্বর) তীব্র খরতাপ চলাকালীন সময় হঠাৎ দূপুর আনুমানিক ১২:০০ ঘটিকার সময় পূর্ব আকাশ কালো করে বজ্রবৃষ্টি শুরু হয়।সেই সাথে কয়েকদফা তীব্র বজ্রপাত।এ সময় আকষ্মিক বৃষ্টি শুরু হলে নিহত নাহিদ বাড়ী অভিমুখে রওয়ানা দিলে পথিমধ্যে ওয়াপদা বেড়ীবাঁধ সংলগ্ন রাস্তার উপর সে বজ্রপাতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করে।অপর দিকে একই ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের স্হানীয় ইউপি সদস্য শওকত আলি জানান, বেলা ২:৩০ মিনিটে দ্বিতীয় দফা ঝড়ে ভিত্রিখেল ববরবন্দ গ্রামের ইজিবাইক চালক আবদুল মান্নান মনাই (৪৫) নিহত হন।নিহত মনাই ববরবন্দ গ্রামের মৃত কালা মিয়ার পুত্র।ঝড়ে সময় তিনি তার পাশ্ববর্তী লালমিয়ার বাড়ীর দিকে যাওয়ার সময় কাটাউরা নামক স্হানে পৌছালে বজ্রপাতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন।বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জৈন্তাপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তাজুল ইসলাম পিপিএম। তিনি বলেন বজ্রপাতে কিশোর নাহিদ ও ইজিবাইক চালক মান্নানের মৃত্যুর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে মৃত দুইজনের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরী করেছে।এ বিষয়ে জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে সালিক রুমাইয়া বলেন,দুটো ঘটনা খুবই দুঃখজনক।তিনি জানান উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহত দুই পরিবারের তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।সেই সাথে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহতদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদানের আশ্বাস দেন তিনি।তিনি বজ্র বৃষ্টি চলাকালে উপজেলার সকলকে বাড়তি নিরাপত্তা অবলম্বন করে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন।