
মিজানুর রহমান বিশেষ প্রতিনিধি ফরিদপুর>>> ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার কোদালিয়া শহীদনগর আলিম মাদ্রাসা স্থাপিত হয় ২০০০ ইং সালে।বর্তমাণে মাদ্রাসায় ২২ জন শিক্ষক,অফিস সহকারী,নৈশপ্রহরী,আয়া সহ মোট ২৯ জন কর্মরত রয়েছে।মাদ্রাসার অফিস সূত্রে জানা যায়,চলতি বছর ১ ম শ্রেনী থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত মোট ৩৭৫ জন শিক্ষার্থী কাগজ কলমে থাকলেও শ্রেণীকক্ষে দেখা যায় ভিন্ন চিত্র।প্রথম শ্রেনী থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ৪২ জন শিক্ষার্থী উপস্থিত দেখা যায়।দশম শ্রেণির প্রাক নির্বাচনী পরিক্ষায় মাত্র ৩ জন ছাত্র পরিক্ষা দিতে দেখা গেছে।১ ম শ্রেনীতে ৪ জন,দ্বিতীয় শ্রেণীতে ৩ জন,তৃতীয় শ্রেনীতে ৫ জন,৪র্থ শ্রেনীতে ৪ জন,৫ ম শ্রেনীতে ৩ জন,ষষ্ঠ শ্রেনীতে ১৬ জন,৭ম শ্রেনীতে ছাত্র ১ জন,ছাত্রী ৫ জন,৮ম শ্রেনীতে ছাত্র ৩ জন,ছাত্রী ৭ জন,৯ম শ্রেনীতে ৫ জন ছাত্র শ্রেণী কক্ষে উপস্থিত দেখা যায়।মাদরাসার প্রিন্সিপাল মোঃ মাসুদুর রহমান এর অনিয়মের ফিরিস্তির শেষ কোথায়।মাদ্রাসায় শিক্ষক নিয়োগে তার বিরুদ্ধে অর্থ লেনদেন করার অভিযোগ রয়েছে।প্রিন্সিপাল মোঃ মাসুদুর রহমান কৌশলে তার আপন ভাই মাহাবুব কম্পিউটার সম্পর্কে ভালো না জানলেও তাকে কম্পিউটার পদে ও ভগ্নিপতি হাবিব কে আলিম শাখার আরবি প্রভাষক হিসাবে মাদরাসায় চাকরির ব্যবস্হা করেন। প্রতিষ্ঠানের নামে জমি নিয়ে কেরানী পদে আছমা আক্তার কে চাকরি দিয়েছে বলে জানা যায়।প্রিন্সিপাল মোঃ মাসুদুর রহমান মাসে প্রতিষ্ঠানে আসেন হাতেগোনা কয়েকদিন।আলিম শাখার ৬ জন শিক্ষক নিয়োগ ২০১৬ সালে হলেও সরকারি ভাবে মাদ্রাসায় আলিম শাখার কার্যক্রম চালু হলে পুর্বের নিয়োগ প্রাপ্ত অদৃশ্য শিক্ষকদের দিয়ে ২০২৩ সালে বর্তমান কৌশলে নিয়োগ বহাল রেখে ক্লাসে পাঠদান করানো হয় ।মাদরাসায় হেফজ খানা খুলে নাম মাত্র ফায়দা লুটছেন ।এক শিক্ষক কে ব্যাক্তিগত সুবিধা দেওয়ায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের শিক্ষার হার ধংস করা সহ বেতনের অর্ধেক লুফে নিচ্ছেন।এবতেদায়ী প্রধান শিক্ষক সেলিম ও মজিবর এই দুই শিকক্ষ অসুস্হ থাকায় তার পরিবর্তে অন্য বহিরাগত লোক দিয়ে ক্লাস করানো হয়।শিক্ষক মজিবরের বদলে তার স্ত্রীকে দিয়ে পাঠদান করান।শিক্ষক সেলিমের বদলে তার মেয়ে তন্নিকে দিয়ে ক্লাসে পাঠদান করানো হয়।সুত্রে জানা যায় প্রতিষ্ঠানের অর্থ লুটপাট করে নিজের নামে ফরিদপুর জেলা শহরে ছায়ানীড় আবাসন গড়ে তুলে মালিক হয়েছেন কোটি টাকার।প্রিন্সিপাল মাসুদুর রহমানের নিজের রয়েছে কয়েকটি ফ্ল্যাট বাড়ি।প্রতিষ্ঠানের জমি সংক্রান্ত বিষয়ে তার নামে রয়েছে থানায় অভিযোগ। মাদরাসার প্রতি গুরুত্ব না দেওয়ায় এবছর দাখিল পরিক্ষার ফলাফল খারাপ হয়।শোকজ তালিকায় নাম রয়েছে আলিম মাদরাসা।মালিকানা সম্পত্তি দখল করে মাদরাসার বাউন্ডারি করা হলেও জমির মালিকগন গত রবিবার বাউন্ডারি ওয়াল ভেঙ্গে দেয়।শিক্ষক মাদরাসায় অনুপস্থিত থাকলেও হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর ফাঁকা দেখা গেলেও সংবাদকর্মীদের বিষয়টি জানার পরেরদিন শিক্ষকদের ডেকে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করান। প্রিন্সিপাল মোঃ মাসুদুর রহমান এর ভাবগম্ভীর দৃঢ় আচার-আচরণে শিক্ষকরা নাজেহাল।প্রিন্সিপাল নিজের আখের গোছানো হলেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার বারটা বাজিয়েছেন শিক্ষক,অভিভাবক সহ এলাকাবাসী প্রিন্সিপাল মোঃ মাসুদুর রহমান এর অপসারণ সহ তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জেলাপ্রশাসক,জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট জোর দাবী জানান।এবিষয় জানতে প্রিন্সিপাল মোঃ মাসুদুর রহমান কে মাদরাসায় না পাওয়া তার ফোনে ফোন দিলে তিনি বলেন আমি প্রয়োজনীয় কাজে উপজেলা শিক্ষা অফিসে আছি।তবে মাদরাসার অনিয়মের বিষয় কোন বক্তব্য দিতে রাজি হয়নি।মাদরাসায় শিক্ষা কার্যক্রম শুরু থেকে এই পর্যন্ত মাদ্রাসা ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন হয়নি।প্রিন্সিপাল নিজের কব্জায় রেখেছেন ক্ষমতাগিরি।এবিষয় নগরকান্দা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ ফজলুল হক বলেন ঐ মাদরাসার বিষয় নিয়ে কোন কথা-ই বলতে পারবনা,আমার বক্তব্য না দিলেই ভালো হয়।উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাফী বিন কবির বলেন, কোদালিয়া শহীদনগর আলিম মাদরাসার ও মাদরাসার প্রিন্সিপাল মোঃ মাসুদুর রহমানের বিভিন্ন অনিয়মের বিষয়ে ইতিমধ্যে অবগত হয়েছেছি।মাদরাসায় অনিয়মের বিষয় তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মিজানুর রহমান
০১৮৩২১১৯৬৭৭,,২৪ জুন ২০২৪