কলমেঃ সাদেকুল ইসলাম
রনচন্ডী-৫৩২০,কিশোরগঞ্জ, নীলফামারী।
বাংলাদেশের রূপ বৈচিত্র্যে
ছয়টি ঋতু বিরাজ করে
গ্রীষ্মের দাবদাহে তনু নড়ে
বর্ষায় প্রবল বারি ঝরে।
গ্রীষ্ম যখন অন্ত টানে
মেঘের কোণে দেয় ডাক
ঘুমিয়ে তোরা আর থাকিস নারে
জাগরে এবার জাগ।
গগনের মাঝে মিলে তখন
কালো মেঘের ছায়া
গুড়ুম-গুড়ুম করছে সদা
ছেড়ে মেঘকন্যার মায়া।
একটু পরেই নামবে হঠাৎ
টাপুর টুপুর বান
মেঘকন্যা কাঁদবে অঝোর
ঝাপসা করে কান।
কৃষক ভাই যায় না কাজে
গৃহেই পড়ে রয়
ঈশান কোণে ফের ডাকছে
আষাঢ়ের মেঘদ্বয়।
বর্ষার দিনে টাপুর টুপুর
বৃষ্টির কলতান
কেউ বা খেলে লুডু, দাবা
কেউ বা ধরে গান।
অঝোর ধারায় বর্ষা যখন
নেমে আসে গাঁয়
পথ-ঘাট হয় কাদায় পিছল
হাঁটতে লাগে ভয়।
নদী-নালা, খাল-বিল গুলো
ভরে যায় সেই জলে
নতুন জলে খেলায় মগ্ন
মাছেরা সব মিলে।
বর্ষার জল বেড়ে গেলেই
বন্যার ঢল নামে
সর্বহারা হয়ে যায় মানুষগুলো
কি করে যে থামে!
যাদের ঘরে অন্ন আছে
তাদের নেইতো ভয়
দিনমজুর, রিক্সা চালক,কৃষক
খুবই কষ্টে রয়।
কষ্ট হলেও বর্ষা আসে
আগমনী সুর নিয়ে
আমন ধান রোপন করে
বৃষ্টির জল দিয়ে।
গাছে গাছে ভরে যায় তখন
কেয়া, কদম ফুলে
সুঘ্রাণে যায় মন হারিয়ে
কষ্টের কথা ভুলে।

