ইমদাদুল হক খোকন
তোমায় নিয়ে কখনো জন্মদিনের কেক কাটা হয়নি
হৃদয়ের পোস্টার টাঙিয়ে তোমায় নিয়ে অসংখ্য লিখেছি। আজ তোমাকে পাঠ করতে ইচ্ছে করছে, কিন্তু কিকরে করবো বলো? গতরাতে বুকের তীব্র ব্যথায় কুঁকড়ে ছিলাম। সারারাত একদম ঘুমোতে পারীনি, ছটফট করতে করতে শেষ রাতে চোখ লেগে আসছিলো।
এখনো বুকের মাঝে চাঁপা ব্যথা অনুভূত হচ্ছে। সকালের আকাশে খুঁজে এসেছি তোমায়। এ বারান্দা থেকে ও বারান্দার গোলাপের টবটিতে চোখ বুলিয়েও এসেছি।
জানো মিঠু কবি অনেকদিন আমার গোলাপ গাছটিতে কোন ফুল ধরেনি। গত কয়েকদিন আগে দেখেছিলাম, ওর আশ পাশ জুড়ে নতুন কুঁড়ির উদ্ভাবন হয়েছে। গতদিন বিকেলে দেখলাম অনেকগুলো নতুন পাতায় ছেয়ে গেছে গাছটি। এখানে মাঝে মাঝে অনেক অভাবনীয় ঘটনাই ঘটে। তোমাকে বলাই হয়নি, জানো আমার জবা গাছে সেদিন একটি জবা ফুটেছিলো,
জবাটি ছিঁড়তে ইচ্ছে হলনা বলে ওকে গাছের ডালেই রেখে দিয়েছিলাম।
রবের প্রার্থনা শেষ করে এসে দেখি কি জানো? জবাটি কোন এক রক্ষক নাকি ভক্ষণ করেছে ।
বাড়িতে সেদিন ছায়া এসেছিলো, ভেবেছি এ কাজটি সেই করেছে।
অনেক আদর করে ওকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, আমার জবা গাছের জবাটি কি তুমি ফুলে না সাজিয়ে ?
তুমি তাকে মাতৃ কোড়ে রেখে এসেছো ?
ও বলছিলো নাহ! তবুও সন্দেহ করেছি, এটা ছায়াই করে থাকবে।
ছোট মানুষ হয়তো ভেবেছে জবাটা গাছ থেকে পেড়ে আনা ওর অন্যায় হয়েছে। এখানে আমি ছাড়া কেউ বড়দা বাগানে উঁকিও দেয়না, তাই ফুল এ গল্প আর কাউকে বলা হয়নি। এরপর কি হয়েছে জানো? পাণ্ডব জবা গাছটিতে কিছুদিন আগে একটি ফুল ফুটেছিলো, গাছটি পোকায় ধরেছিলো বলে ফুলটিতেও অনেক পোকা জড়ানো ছিলো।
প্রস্ফুটিত হয়নি, আমার খুব মন খারাপ হয়ে ছিলো। বোধ করি আমার মন খারাপ সে খুব করে বুঝছিলো ,

