মোঃ কাজী আব্দুল্লা হিল আল কাফী
মোবাইল একটি ইলেকট্রনিক ডিভাইস বা যন্ত্র।যা বেশ উপকার করে আবার অপকারও করে।বর্তমান সময়ে মোবাইল ফোন সবার ঘরে ঘরে পাওয়া যায়।মোবাইল ফোন ভালো কাজের চেয়ে খারাপ কাজে বেশি ব্যবহার হয়।কারণ,শিশু সহ যুবক যুবতীরা মোবাইল ফোন খারাপ কাজে ব্যবহার করে।মোবাইল ফোনে আসক্ত হয়ে পড়ে।
বর্তমান সময়ে প্রায় ৯৯ % মানুষ মোবাইল ফোন ব্যবহার করে থাকে।শিশু জন্মের পর একটু হাটা চলা শিখলে কোনো কারণবশত কান্না করলে মোবাইল ফোন হাতে দিয়ে বাবা মা বলে গেমস খেলো,কার্টুন দেখো।আবার কোনো সময়ে দেখা যায় বাবা-মা দু’জনে চাকুরী করার ফলে ছেলে মেয়েকে বাসায় কাজের মানুষের কাছে রেখে যায়।এবং সাথে মোবাইল ফোনটাও দিয়ে যায়।কাজের মানুষ তার মতে কাজ করে যায় আর শিশুরা মোবাইল নিয়ে গেমস খেলছে,কার্টুন দেখছে,ধীরে ধীরে মোবাইলের নানান অংশে যাচ্ছে নতুন কিছু শিখছে তবে শেখার তুলনায় খারাপ কাজে বেশি ব্যবহার করছে।বর্তমান সময়ে মোবাইল ফোনে আসক্ত হয়েছে প্রায় শতভাগ শিশু কিশোর কিশোরী।প্রত্যেক পরিবারের অভিভাবকগণ যদি শিশুদের প্রথমে মোবাইল ফোন না দিয়ে বাদ্যযন্ত্র হাতে দেন তাহলে কিছু শিখতে পারবে।প্রথমে বাজাতে না পারলেও একটু একটু করে চেষ্টা করবে।পরবর্তী সময়ে সফলতা লাভ করবে।আর এ সময়ে তো অভিভাবক গণ ভালো ও সঠিক কিছু না দিয়ে সোজাসুজি মোবাইল ফোন হাতে ধরিয়ে দেয়। আর বলে এই মোবাইল ফোন নাও গেমস খেল ছবি দেখ কার্টুন দেখ ইত্যাদি ইত্যাদি।এতে করে ঘরের ভিতরে শিশুরা থাকতে থাকতে ভিন্ন রকম সময় পার করে।চালাক চতুর সাহসী কম হয় শুধু পরে থাকে ভিতরে বাইরে খোলা হাওয়া মুক্তভাবে চলতে পারে না। বরং সারাটাদিন সারাক্ষণ মোবাইল গেমস ভিডিও দেখা ইত্যাদি ইত্যাদি ব্যস্ত থাকে।মোবাইল ফোন সবকিছুতে সুবিধাজনক হলেও এটি শিশুদের মস্তিষ্কের উপর আঘাত হানে।সবকিছুর ধারণক্ষমতা কমিয়ে দেয়।যা একটা হুমকির মুখে ফেলে দেয়।তাই সকল অভিভাবক এর উচিত শিশুদের মোবাইল আসক্ত থেকে দুরে রাখা।

