
আব্দুল্লাহ আল মারুফ নিজস্ব প্রতিবেদক >>> এশিয়া উপমহাদেশ বিশিষ্ট ইসলামিক চিন্তাবিদ সাবেক নাযেম-ই-আ’লা(প্রধান নির্বাহী)চুনতি হাকিমিয়া কামিল মাদ্রাসা লোহাগাড়া চট্টগ্রাম ও সাবেক অধ্যক্ষ কোলকাতা আকড়া কুদসিয়া আলিয়া মাদ্রাসা,কোলকাতা ভারত এবং সাতকানিয়া-লোহাগাড়া’র সাবেক সাংসদ প্রফেসর ড.আল্লামা আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভীর আব্বা আল্লামা আবুল বারাকাত মুহাম্মদ ফজলুল্লাহ(রাহ,) এর কবর জিয়ারত করেন ৷চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য, আইআইউসি বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী তিনি বলেন,ভারত উপমহাদেশের শীর্ষস্থানীয় আলেমদের মধ্যে অন্যতম আল্লামা আবুল বারাকাত মুহাম্মদ ফজলুল্লাহ (রহ.) ছিলেন একজন বহুমাত্রিক ক্ষণজন্মা মহাপুরুষ। তিনি একাধারে মুহাদ্দিস, মুফাসসির, মুফতি, ইসলামি চিন্তাবিদ, উর্দু, আরবি, ফার্সি ও বাংলা ভাষার শায়ের (কবি), সাহিত্যিক, লেখক ও অনুবাদক। তিনি কিংবদন্তি মুসলিম মনীষী হজরত আল্লামা খলিল আহমদ সাহরনপুরি (রহ.) এর ছাত্র এবং হাকিমুল উম্মত হযরত আল্লামা আশরাফ আলী থানভী (রহ.) এর ‘মুরিদে খাছ’ ছিলেন। অত্যন্ত ব্যক্তিত্বসম্পন্ন ও যুগশ্রেষ্ঠ এ আলেমেদ্বীন ছিলেন ঐক্যের প্রতীক এবং নেতৃত্ব ও সেবার প্রেরণা। এ মনীষীর সান্নিধ্যে এসে যে কেউই মুগ্ধ না হয়ে পারতেন না। তিনি তার সময়ের চেয়ে অনেক বেশি আধুনিক ছিলেন। প্রচলিত ধ্যান-ধারণা ও জরাজীর্ণ ইতিহাস বদলে দিয়ে নিজেই রচনা করে গেছেন নতুন ইতিহাস। তিনি জ্ঞানের প্রতিটি শাখা-প্রশাখায় বিচরণ করেছেন অবাধে এবং সৃষ্টি করেছেন অনেক মূল্যবান গ্রন্থ। এমনকি নাট্যকলা ও সংগীতও বাদ যায়নি তার জ্ঞান-পিপাসার তালিকা থেকে ৷নির্ভরযোগ্য হাদিসগ্রন্থ ‘শামায়েলে তিরমিজি’র বঙ্গানুবাদসহ তার স্বহস্তে লেখা অনেক পান্ডুলিপি বাংলাদেশ ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে প্রকাশিত হয়েছে। তার রচিত ‘যুক্তির কষ্ঠি পাথরে ইসলাম’ গ্রন্থটিও নতুনভাবে প্রকাশ হতে যাচ্ছে। এছাড়াও বিভিন্ন বিষয়ে তিনি আরও ১৯টি গ্রন্থ রচনা করেছেন। এই মনীষীর স্বহস্তে লিখিত পান্ডুলিপি দেখে সুধী মহল বিস্ময়ে অবাক হয়ে পড়েন। আল্লামা আবুল বারাকাত মুহাম্মদ ফজলুল্লাহ (১৮৯৮-১৯৭৯) ভারতের প্রসিদ্ধ দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মাজহারুল উলুম সাহারানপুর থেকে শিক্ষা সমাপ্ত করে কলিকাতা আকাড়া আলীয়া মাদ্রাসায় (১৯২২ থেকে ১৯৪২ ইং পর্যন্ত) দীর্ঘ ২০ বছর যাবত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এরপর তিনি চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি হাকিমিয়া আলীয়া মাদ্রাসায় নাজেমে আ’লা (মহাপরিচালক) হিসেবে আমৃত্যু ইলমে দ্বীনের খেদমতে আত্মনিয়োগ করেন।তার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় চুনতির শাহ সাহেব হজরত মাওলানা হাফেজ আহমদ (রহ.) প্রবর্তিত মাহফিলে সীরতুন্নবী (সা.) হয়ে ওঠে দলমত নির্বিশেষে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের মিলনস্থল। আলীয়া এবং কওমী ঘরানার বিদগ্ধ আলেমণ্ডওলামাদের বিষয়ভিত্তিক ওয়াজের দাওয়াত দিয়ে মাহফিলকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছিলেন। প্রতিদিনের মাহফিলের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পরিচালকের চেয়ারে বসে তিনি মাহফিলের সার্বিক তদারকি করতেন।১২ এপ্রিল ২০২৪ শুক্রবার বিকালে চুনতী তার বাবার কবর জিয়ারত শেষে তিনি এসব কথা বলেন ৷এতে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন ৷