
মোঃ আরাফাত তালুকদার জেলা প্রতিনিধি পটুয়াখালী>>> পটুয়াখালী সরকারী কলেজের কথিত ছাত্রলীগ নেতা আল আমিন ওরফে কলোনি আল আমিনের বিরুদ্ধে কলেজের বাংলা বিভাগের এমএলএসএস আবদুস সালামকে মারধর ও কলেজের বিভিন্ন আসবাব পত্র ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে।সোমবার সকালে কলেজের কলা ভবনের বাংলা বিভাগের অফিস কক্ষে মারধর ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটে।বাংলা বিভাগের এমএলএসএস আবদুস সালাম বলেন,‘আজ(সোমবার) সকালে আল আমিন বেশ কয়েকজন ছাত্রকে নিয়ে আমাার কাছে রোল নম্বর জানতে চায়,এ সময় আমি বলি রোল নম্বর দিতে হলে স্যার দের পারমিশন লাগবে। এতে করেই সে ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে প্রথমে গালাগাল এবং এক পর্যায়ে আমাকে মারধর শুরু করে।আমি তাকে সরিয়ে দিয়ে রুমের বাহিরে বের করে দেই।সে বাহিরে গিয়ে বিভিন্ন জিনিসপত্র ভাংচুর করে।আমি আমার শিক্ষকদের জানিয়েছি। তারা এ বিষয় পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহন করবে।এ দিকে ছাত্র কর্তৃক অফিস স্টাফকে মারধরের ঘটনায় অধ্যক্ষ’র রুমে তাৎক্ষনিক অনানুষ্ঠানিক বৈঠকে বসেন শিক্ষক পরিষদ নেতা সহ জেলা ছাত্রলীগের নেতারা।এ নিয়ে আলোচনা হলেও আল আমিন কাউকেই পরোয়া করেন না বলে সভা থেকে উঠে যান। ব্যবস্থাপনা বিভাগের ছাত্র আল আমিন এর আগেও কলেজের বেশ কয়েক শিক্ষক এবং স্টাফদের লাঞ্চিত করেছেন।তবে ক্ষমতাশীন দলের রাজনীতি করায় তার তার বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না।আর এতে করেই তিনি পটুয়াখালী সরকারী কলেজে এক ভিতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছেন।আল আমিন সরকারী কলেজ এলাকায় তার বাসা থাকলে ও তিনি পটুয়াখালী সরকারী কলেজ হোস্টেলে ৩০৩ নম্বর রুম দখল করে একাই বসবাস করছেন।নিয়মিত সেখানে তিনি বসাচ্ছেন মাদকের আসর।হোস্টেল রুমে লালন পালন করছেন দেশি বিদেশী বিভিন্ন পাখি।তবে সব কিছু দেখেও অনেকটা নির্বিকার সরকারী কলেজ কর্তৃপক্ষ।এ বিষয় জানেত চাইলে পটুয়াখালী সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ নুরুল আমিন বলেন,‘আমি এ বিষয় কোন মন্তব্য করবো না।আজ আমার শরীরাটা ভালো নেই। আপনারা আগামীকাল আসেন।’তবে সরকারী কলেজের শিক্ষক পরিষদের সচিব জাফর ইকবাল বলেন, একটি অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটেছে।আমরা প্রিন্সিপ্যাল স্যারের সাথে এ নিয়ে বসেছি।ছাত্র নেতাদের সাথে কথা বলছি।আশা করছি দ্রুত একটি সমাধান মিলবে।এ বিষয় অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা আল আমিন এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,আমি কারো উপর হামলা করিনি এটা মিথ্যা।কলেজ হোস্টেলে তিনি একা একটি রুম বরাদ্দ নিয়ে থাকছেন কেন এমন প্রশ্নে আল আমিন বলেন আমি যে রুমটিতে থাকছি সেটি কলেজ সভাপতির রুম এ কারনে আমি একাই টাকা দিয়ে থাকছি।