
মোঃ আরাফাত তালুকদার জেলা প্রতিনিধি পটুয়াখালী>>> বঙ্গোপসাগরের বুক চিরে জেগে ওঠা দ্বীপ ‘চর বিজয়’।চারদিকে অথই জলরাশি,আর শুধু ধু ধু বালু।সারা দিন চেনা-অচেনা পাখির কলকাকলিতে মুখরিত থাকে এ দ্বীপ। সৈকতে অগণিত লাল কাঁকড়া ঘুরে বেড়ায়।এই চরে এখনো কোনো জনবসতি গড়ে ওঠেনি।চরটিতে ঝাউ ও ম্যানগ্রোভ বনায়নের কাজ শুরু করেছে বন বিভাগ।পশুপাখির অভয়ারণ্য গড়ে তোলার জন্য পুরো চরটিতে বনায়নের পরিকল্পনা রয়েছে বন বিভাগের।বন বিভাগ সূত্র জানায়,পটুয়াখালীর কুয়াকাটার বন বিভাগের জাতীয় উদ্যান থেকে দক্ষিণ-পূর্ব কোণে ১৪ কিলোমিটার দূরে গভীর সাগরে জেগে ওঠা মনোমুগ্ধকর এক দ্বীপ চর ‘বিজয়’।২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাসে এই চরটির দেখা পাওয়ায় এই নাম করণ করা হয়।প্রায় ২ হাজার ৫৭৩ একর আয়তনের এই দ্বীপের আকৃতি কিছুটা ডিমের মতো। বর্ষার ছয় মাস পানিতে চর বিজয়ের অর্ধেক এলাকা ডুবে থাকে।আবার শীতের মৌসুমে ধু ধু বালুচর। জনবসতিহীন দ্বীপজুড়েই লাল কাঁকড়া ও নানা প্রজাতির পাখির অভয়াশ্রম।কুয়াকাটায় বন বিভাগের তিন হাজার একরের জাতীয় উদ্যান ভাঙনের কবলে পড়লেও সাগর বুকে নতুন করে জেগে ওঠা চর বিজয় টিকে আছে।একে নিয়ে নতুন করে পরিকল্পনা নিতে শুরু করে বন বিভাগ।এরই মধ্যে তারা ঝাউ, কেওড়া ও চরের কর্দমাক্ত এলাকায় ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল সৃষ্টির লক্ষ্যে গাছের চারা রোপণ শুরু করেছে।মহিপুর রেঞ্জ কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ জানান,২০২৩-২৪ অর্থবছরে বন বিভাগ চর বিজয়ে ৮০ হেক্টর ঝাউবাগান ও ২০ হেক্টর ম্যানগ্রোভ বাগান করেছে। পর্যায়ক্রমে চর বিজয় ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চলের আওতায় আনা হবে।পর্যটনসংশ্লিষ্ট সংগঠন কুয়াকাটা ট্যুরিজম ম্যানেজমেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক হোসাইন আমির বলেন, ‘প্রতিদিনই পর্যটকেরা ট্রলার-স্পিডবোটে চর বিজয় দেখতে যাচ্ছেন।তবে বনায়ন শুরু হয়েছে বনের ছায়ায় অনেক সময় ধরে থাকতে পারবেন পর্যটকেরা।পর্যটকদেরও আগমন বাড়বে। আমরা মনে করি এই চরটি হবে দেশের “দ্বিতীয় সেন্ট মার্টিন।উপকূলীয় বন বিভাগ পটুয়াখালীর বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. সফিকুল ইসলাম বলেন,গাছপালা থাকলে চরটি থাকবে। পর্যটকেরাও পরিবেশ উপভোগ করতে পারবেন।পশুপাখির অভয়ারণ্য গড়ে উঠবে।বনায়নের মাধ্যমে চর বিজয়কে আরও আকর্ষণীয় করে গড়ে তোলা হবে।