
সাইফুল ইসলাম বাবু জৈন্তাপুর উপজেলা প্রতিনিধি>>> অব্যাবস্হাপনা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ থাকায় জরিমানা আদায়।পবিত্র মাহে রমজান মাসকে সামনে রেখে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণ,বাজার ব্যাপস্হাপনা,অসাধু কারবারী কর্তৃক পন্য মজুদ করে পন্যের দাম বৃদ্ধি রোধ ও হোটেল রেস্তোরাঁয় স্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিশ্চিত করতে বাজার মনিটরিং করা হয়েছে।সোমবার (১১ই মার্চ) বিকেল ৪:০০ ঘটিকায় জৈন্তাপুর উপজেলার অন্যতম বৃহত্তর দরবস্ত বাজারে মনিটরিং করতে আসেন জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাজেদুল ইসলাম।এ সময় তিনি দরবস্তের কাঁচা বাজার,মাছ বাজার, মাংসের বাজার সহ নিত্য প্রয়োজনীয় পন্যের দোকানে মনিটরিং করেন।এ সময় দরবস্তের বিভিন্ন হোটেল রেস্তোরাঁয় গিয়ে রান্না ঘরের অংশ ও বিভিন্ন মিষ্টান্ন তৈরির কারখানায় অভিযান চালান।পরে হোটেল রেস্তোরাঁয় রান্না ঘরের অংশে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ ও মিষ্টান্ন তৈরীর কারখানায় পোঁড়া ভোজ্যতেল,পচাঁবাসী ময়দার পেষ্ট সহ নোংরা মাছিযুক্ত পরিবেশের প্রমান পান।এ সময় দরবস্তের মামা ভাগিনা হোটেল, নূরানী রেঁস্তেরাকে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ থাকার দায়ে ভোক্তা অধিকার আইনে বিভিন্ন অংকে এবং বিসমিল্লাহ মিষ্টান্ন ভাণ্ডারের কারখানায় অভিযান চালিয়ে জরিমানা আদায় করা হয়।পরে বিভিন্ন ভোগ্যপন্যের দোকানে মূল্যতালিকা না পাওয়ায় ও অব্যাস্হাপনার দায়ে বিভিন্ন অংকে জরিমানা আদায় করা হয়।সবশেষে মাছ,ডিম,মুরগী ও গরু গোসতের দোকান মনিটরিং করেন নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাজেদুল ইসলাম।এ সময় দোকানে গোসতো কিনতে আসা ক্রেতাদের তিনি কথা বলেন।পরে মহাসড়কের পাশে অস্হায়ী গোসতের দোকান বসানোর দায়ে এক গোসতো ব্যাবসায়ীকে জরিমানা করা হয় এবং পরবর্তীতে এমন কাজ না করার অঙ্গিকার জানায় গোসতো ব্যাবসায়ী।এ সময় বাজার মনিটরিং চলাকালীন সময়ে আরো উপস্থিত ছিলেন জৈন্তাপুর মডেল থানার উপ পরিদর্শক আবদুল লতিব সহ সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স,উপজেলা প্রশাসন কর্তৃপক্ষ,ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন ইনচার্জ বায়েজিদ আহমেদ সহ আনসার সদস্যরা।এ বিষয়ে জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাজেদুল ইসলাম জৈন্তাবার্তা প্রতিবেদককে বলেন,আজ প্রসাশনের নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে দরবস্ত বাজারে মনিটরিং আসি।তিনি বলেন রমজান মাসকে সামনে রেখে কিছু অসাধু ব্যাবসায়ী কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি করার অভিযোগ রয়েছে।এখানে ক্রেতাদের সাথে আলাপ করে জানতে পেরেছি এখনোও পন্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে আছে তবে দাম বৃদ্ধি করার আশঙ্কাও রয়েছে।তাই ব্যবসায়ীদের আজ সচেতন করেছি এবং কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে পন্যের দাম বৃদ্ধির প্রমাণ পেলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা করা হবে বলে তিনি জানান।তিনি আরো বলেন কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ থাকায় ভোক্তা অধিকার আইনে তাদের জরিমানা আদায় করা হয়।সেইসাথে ভবিষ্যতে আরো সচেতন হয়ে ক্রেতাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা ভেবে প্রতিষ্ঠানের পরিবেশ পরিস্কার করার কথা বলা হয়েছে।তিনি বলেন রমজান মাসে বাজার মনিটরিং নিয়মিত পরিচালিত হবে এবং জৈন্তাপুর উপজেলার একে একে সব বাজার গুলোতে এ কার্যক্রম পরিচালিত হবে বলে তিনি জানান।