
মোঃ আরাফাত তালুকদার জেলা প্রতিনিধি পটুয়াখালী>>> পটুয়াখালী পৌরসভা নির্বাচনী সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে কিশোর গ্যাং’র সন্ত্রাসী কর্তৃক এক সাংবাদিকের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে।গতকাল শনিবার (৯ মার্চ) সকালে শহরের পিটিআই ভোট কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।পরে স্থানীয়রা ভুক্তোভোগী সাংবাদিককে উদ্ধার করে সরিয়ে নিয়ে আনা হয়।ভুক্তভোগী সাংবাদিকের নাম মো. মাকসুদুর রহমান,তিনি স্থানীয় দৈনিক পটুয়াখালী বার্তার নির্বাহী সম্পাদক ও পটুয়াখালী জেলা প্রেসক্লাবের তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক।মাকসুদুর রহমানের অভিযোগ,তার উপর হামলা চালায় কিশোর গ্যাং হিসেবে পরিচিত পটুয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি মো. সবুর খান ও সাবেক সহ-সম্পাদক আমিনুর রহমান সিফাত সহ তাদের সাঙ্গপাঙ্গরা।এদিকে এ ঘটনায় অভিযুক্তদের বিচার চেয়ে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে পটুয়াখালী জেলা প্রেসক্লাবসহ স্থানীয় গনমাধ্যম কর্মীরা।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,গত ৯ মার্চ সকাল ৮ থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত পটুয়াখালী পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।ওই নির্বাচনে সকাল ১০ টার দিকে পিটিআই কেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়েছিলেন স্থানীয় দৈনিক পটুয়াখালী বার্তার নির্বাহী সম্পাদক মাকসুদুর রহমান।এ সময় জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সবুর খান ও সাবেক সহ-সম্পাদক আমিনুর রহমান সিফাত তাদের দলবল নিয়ে মেয়র প্রার্থী মোবাইল ফোন প্রতীকের ডা.শফিকুল ইসলামের সমর্থক হিসেবে ভোট কেন্দ্রের সামনে সামনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছিল এসময় মাকসুদুর এ ঘটনার ছবি তোলায় তার উপর ক্ষুব্ধ হয় এবং তিনি বের হয়ে কিছুদূর চলে আসলে পিছন থেকে তার উপর সবুর সিফাত সহ হামলা চালায় এবং ভোট কেন্দ্রে আর না আসাসহ ভয়ভীতি ও হুমকি ধামকি দেয়।পরে স্থানীয় প্রশাসন ও স্থানীয় বাসিন্দারা মাকসুদুর রহমানকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে। অভিযোগ রয়েছে,সবুর খান ও আমিনুর রহমান সিফাত দীর্ঘদিন পর্যন্ত একটি কিশোর গ্যাং তৈরি করে শহরের পিটিআই এলাকায় বসে মাদক ব্যবসা ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে আসছে।এছাড়া সবুর খান ও আমিনুর রহমান সিফাতের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা ও যুববকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে জখম করার মতো একাধিক মামলা রয়েছে।এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভুক্তভোগী সাংবাদিক মাকসুদুর রহমান বলেন,‘ ওরা মাদকাসক্ত হওয়ার কারনে একের পর এক ঘটনা ঘটিয়ে যাচ্ছে যার ফলস্বরূপ আমাকেও ছার দেয়নি।আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।’পটুয়াখালী জেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম আরিফ বলেন,‘ সাংবাদিকদের সাথে পেশাগত দায়িত্ব পালন কালে একের পর এক ঘটনা ঘটে যাবে এটা মেনে নেয়া যায় না।মাকসুদুর রহমানের উপর হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই এবং অপরাধীদের দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।এ ব্যাপারে পটুয়াখালী সদর থানার (ওসি) মো. জসিম বলেন,’ এ ঘটনায় তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।