
সাইফুল ইসলাম বাবু জৈন্তাপুর উপজেলা প্রতিনিধি>>>বৃহস্পতিবার ভোরে টানা দুইঘন্টা ভারী বৃষ্টি ও দুপুর ১:০০ ঘটিকায় জৈন্তাপুর উপজেলায় ঘন্টাব্যাপী ভারী বৃষ্টিতে জনজীবনে নেমে এসেছে স্হবিরতা।আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেয়া পূর্বাভাস অনুযায়ী বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার উপজেলায় ৬০ কিমি বেগে দমকা ও ঝড়ো হাওয়া সহ বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে৷সেই সাথে হতে পারে শিলা বৃষ্টি।এদিকে ফাল্গুল মাসের মাঝামাঝি সময়ে বৃষ্টিতে উপজেলার বোরো ধানের জন্য আশীর্বাদ হয়ে দাঁড়িয়েছে।মাসখানের পূর্বে রোপন করা বোরো ধানের বেশকিছু জমিতে সেচের অভাবে ধানে হলদে আকার ধারণ করেছিলো।মঙ্গলবার প্রথম দফায় বৃষ্টিতে ধানের জমিতে বাড়তি সেচের আর প্রয়োজন হচ্ছে না।জৈন্তাপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শামীমা আক্তার বলেছেন, ফাল্গুন মাসে অসময়ে ভারী বৃষ্টি বোরো ধানের জন্য খুবই ভালো হলেও তরমুজ,নাগামরিচের জন্য শঙ্কা হতে পারে। বৃষ্টির পরিমাণ সীমিত না হলে কিংবা শিলা বৃষ্টি হলে তরমুজের জন্য সেটা ক্ষতিকর হতে পারে।কারণ এখোনোও ক্ষেতে প্রায় ৩০ শতাংশ তরমুজ রয়েছে গেছে।তিনি আরো বলেন চলতি মৌসুমে নাগামরিচের হারভেষ্টিং চৈত্র বৈশাখ মাস পর্যন্ত হওয়ার কথা।কিন্তু টানা কয়েকদিন বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে মরিচের গায়ে এক ধরণের রোগের প্রাদুর্ভাব হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়।তিনি জানান চলতি মাসে নতুন সবজী ধুন্দল,ঝিঙা,চিচিংগা,ঢেড়সের বীজ রোপন করা হয়েছে।ভারী বৃষ্টির ফলে জমিতে পানি জমে গেলে বীজ থেকে ফলনের পরিমান কমে যাওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়।এদিকে সকাল থেকে থেমে থেমে বৃষ্টির ফলে উপজেলার সাধারণ মানুষের জীবনে স্হবিরতা দেখা দিয়েছে।বিশেষ করে পাথর শ্রমিক, বালু শ্রমিক দিনমজুরদের নিত্যদিনের কাজে বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বৃষ্টি।জৈন্তাপুর ছিন্নমূল মিনি স্টোন ক্রাশার মিল মালিক সমিতির সভাপতি আবু সুফিয়ান বিলাল জানান,দৈনন্দিনের মত ক্রাশার মিলে কয়েক হাজার শ্রমিকের স্হলে হাতে গোনা কয়েকটি মিলে আজ শ্রমিক কাজে এসেছে।তারপরেও বৃষ্টির কারণে তারা বেশীরভাগ সময়ে অলস বসে সময় কাটাতে দেখা গেছে।তাছাড়াও ট্রাক লোডের জন্য প্রতিদিন সকাল থেকে বিভিন্ন পয়েন্টে যে পরিমাণ বেলচা শ্রমিক উপস্থিত থাকে বৃহস্পতিবার সকাল সেই সব দিনের তুলনায় শ্রমিকের উপস্থিতি অর্ধেকেরও কম ছিলো বলে তিনি জানান।