
মুরাদুল ইসলাম মুরাদ রাজীবপুর ও রৌমারী( কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
কুড়িগ্রামের রৌমারী ও রাজীবপুর উপজেলায় মাঘ মাসের শুরুতেই ঘন কুয়াশা, হিমেল হাওয়া ও কনকনে শীত উপক্ষো করে ইরি-বোরো ধান চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন দুই উপজেলার কৃষকরা। স্থানীয় কৃষাণ-কৃষানিরা নিজেদের খাবার জোগার করতে ধান চাষের জন্য মাঠে নেমেছেন। মাঠের পর মাঠ জুড়ে কেউ চারা তুলছেন, কেউ জমি তৈরির কাজ করছেন আবার কেউবা ক্ষেতে পানি সেচের জন্য শ্যালো মেশিনে সেচ দিচ্ছেন। এনিয়ে বুধবার উপজেলার বিভিন্ন এলাকাসহ সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে গিয়ে এমনটাই দেখা গেছে।এ নিয়ে রাজীবপুর উপজেলা কৃষি অফিসার রতন মিয়ার সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন জাতের বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা দুই হাজার ৫শত হেক্টর। শীতের তীব্রতার কারণে এ পর্যন্ত প্রায় ৪ শত হেক্টরের মতো রোপণ হয়েছে। উপজেলার মোহনগঞ্জ ইউনিয়ন ও কোদালকাটি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে ধুম পড়েছে বোরো আবাদের। স্থানীয় জাতের বীজের চেয়ে হাইব্রীড এবং উচ্চ ফলনশীল উপসী ধান আবাদে আগ্রহ প্রকাশ করছেন এলাকার কৃষকরা।
রাজীবপুর সদর ইউনিয়নের কৃষক রজব আলী বলেন, আগাম বন্যা হওয়ার আশঙ্কায় এবার আগে-ভাগেই ধানের ক্ষেত তৈরী করে চারা রোপণ শুরু করেছি। এখন পর্যন্ত সার, কিটনাশক ও ডিজেলের সমস্যায় পড়তে হয়নি। উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাগণ আমাদের এলাকায় বোরো আবাদ ভালো করার জন্য সব সময়ই পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন। অত্র এলাকায় গত আমন ফসল বাম্পার হওয়ায় খুব আগ্রহ নিয়ে বোরো আবাদ শুরু করেছি। আশা করছি এবারেও বাম্পার ফলন হবে।
এ দিকে রৌমারী উপজেলা কৃষি অফিসার আঃ কাইয়ুম বলেন, এবার আমাদের এই উপজেলায় প্রায় ৯ হাজার হেক্টর বোরো রোপনে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন শৈত্য প্রবাহ, ঘন কুয়াশা ও হাড় কাঁপানো শীতের মধ্যেও বীজতলার কোন ক্ষতি হয়নি। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই বোরো চারা রোপণের লক্ষ্যমাত্রা শেষ করা যাবে বলে তিনি আশা করছি।