
মোস্তফা জামান চৌধুরী, স্টাফ রির্পোটার।
রামুতে জুলেখা ছিদ্দিক বালিকা হিফ্জখানায় হিফ্জ সমাপনী সম্মাননা ও সবক প্রদান অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।বৃহস্পতিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৩ হিফ্জখানা মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজারকুল মাছুমিয়া ইসলামিয়া সুন্নিয়া আলিম মাদরাসা’র সাবেক অধ্যক্ষ মাওলানা হাবিবুল হক সাহেব।বিশিষ্ট আলেমেদ্বীন হাফেজ মাওলানা আব্দুল জলিল এর সভাপতিত্বে ও হিফ্জখানার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মাওলানা আব্দুল মান্নানের শুভেচ্ছা বক্তব্যের মাধ্যমে শুরু হওয়া অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাওলানা আব্দুল গণি মজিদী, মাওলানা আবুল হোছাইন, হাফেজ আব্দুল হান্নান, হাফেজ মোঃ ইয়াকুব, হাফেজ আবুল মঞ্জুর, মাওলানা আব্দুল খালেক,মাওলানা দিদারুল আলম, তৌহিদুল হাকিম জুয়েল, নাঈমউদ্দিন মাহমুদ,হাফেজ আতিকুর রহমান রাসেল,মোঃ জুবাইর, ফরিদুল সহ প্রমুখ ব্যক্তিগণ।অনুষ্ঠানে ৪ জন শিক্ষার্থীকে ১ম পারার শুরু হতে হিফজের সবক প্রদান করেন মাওলানা ক্বারী নুরুল আমিন (সৌদি প্রবাসী ইমাম), ৩০ পারার শুরু হতে সবক প্রদান করেন মাওলানা ক্বারী আশরাফুল মতিন মোঃ আছেম।শুরুতে স্বাগত বক্তব্যে প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক হাফেজ আব্দুল মান্নান বলেন, মনোরম পরিবেশে ২০২১ সালে প্রতিষ্ঠিত রামু দক্ষিণ ফতেখাঁরকুল জুলেখা ছিদ্দিক বালিকা হিফজখানা।কোরআন শিক্ষার এই প্রতিষ্ঠানটি পবিত্র কোরআনের আলো ছড়াচ্ছে কক্সবাজার জেলাজুড়ে।পড়ালেখার মান ধরে রেখে সুনামের সাথে এগিয়ে যাচ্ছে সম্মুখপানে। সচেতন অভিভাবকদের মনে জায়গা করে নিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।পাঠদান ও করা হচ্ছে মহিলা শিক্ষক দ্বারা।অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, এই প্রতিষ্ঠান এতদাঞ্চলের প্রথম মহিলা হিফ্জখানা। ২০২১ সালে তরুণ উদ্যোক্তা ও আলেমেদ্বীন মাওলানা আব্দুল মান্নানের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত এই প্রতিষ্ঠান যাত্রা শুরুর করার পর থেকেই এলাকার কন্যা শিশুদের কোরআনের শিক্ষায় শিক্ষিত করার প্রয়াসে এগিয়ে যাচ্ছে। যার প্রকৃষ্ট উদাহরণ আজ প্রকাশ পাচ্ছে। অল্প দিনের মধ্যে শিশুরা কোরআনের হিফ্জ সম্পন্ন করার মাধ্যমে এই প্রতিষ্ঠান নারী শিক্ষায় অগ্রনী ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। যা পরিচালকের সুদক্ষ পরিচালনা ও সুনিপুণ পরিকল্পনার প্রমাণ।অনুষ্ঠানে হিফ্জ সম্পন্ন কারী হাফেজা কাশেফা বিনতে আব্দুল্লাহ ও হাফেজা আফসানা জাহান তানিশাকে সম্মননা ক্রেষ্ট ও হিজাব প্রদান এবং শেষ সবক তিলওয়াতকারী তাজকিয়া ও তামান্নাকে হিজাব প্রদান করা হয়।সর্বশেষ হাফেজ মাওলানা আব্দুল জলিলের দু’আ ও মোনাজাতের অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়। পরে মেহমানরা প্রতিষ্ঠানের সার্বিক বিষয়ে খোঁজখবর নেন।এবং সামনের দিনগুলোতেও বরাবরের মতো পাশে থাকার আশ্বাস দেন।