
সাইফুল ইসলাম বাবু বিশেষ প্রতিনিধি
আসন্ন শারদীয় দূর্গা উৎসবকে সামনে রেখে শেষ সময়ে প্রস্তুতির কাজ সম্পন্ন হচ্ছে। এবছর উপজেলার ২৩টি মন্ডপে পূজা উৎযাপন অনুষ্ঠিত হবে। পূজায় সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ আনসারের পাশাপাশি থাকছে প্রতিটি মন্ডপে সেচ্ছাসেবকল টিম।এবছর জৈন্তাপুরের ২৩টি মন্ডপে স্হাপন করা হচ্ছে সিসি ক্যামেরা। প্রতিটি মন্ডপের প্রতিমা ঘরে লাগানো হবে এই ক্যামেরা, তা নিশ্চিত করেছেন জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল বশিরুল ইসলাম।এদিকে জৈন্তাপুর উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নে মোট ২৩টি পূজা মন্ডপের দায়িত্বরত কমিটির সদস্যদের সাথে পূজার সর্বশেষ প্রস্তুতি নিয়ে কথা হয় আই নিউজ প্রতিবেদকের সাথে। ১ নং নিজপাট ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত শ্রী শ্রী রামেশ্বর শিব মন্দিরের পূজা মন্ডপের সাধারণ সম্পাদক বিজেন দেব জানান, তাদের মন্ডপের সার্বিক কার্যক্রম ও প্রস্তুতি ৯০% সম্পন্ন। শুধু আলোকসজ্জা ও সামিয়ানা স্হাপন কাজ চলছে।২ নং জৈন্তাপুর ইউনিয়নের শ্রীপুর চা বাগান পূজা মন্ডপের সভাপতি সন্জয় রায় বলেন, প্রতিমা স্হাপন করার কাজ শেষ। এখন মঙ্গলবারে নতুন টিন লাগানো হয়ে গেছে। শুধু আনুষ্ঠানিকতার অপেক্ষা।৩ নং চারিকাঠা ইউনিয়নের থুবাং ভৈরববাড়ী সার্বজনীন পূজা মন্ডপের সভাপতি শ্রী পিজুষ শর্মা বলেন, প্রতিমা স্হাপন সহ মৌলিক প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন। কিছু রংয়ের কাজ বাকি আছে বৃহস্পতিবারে শেষ হয়ে যাবে বলে তিনি জানান।৪ নং দরবস্ত ইউনিয়নের একমাত্র মন্ডপ উত্তর মহাইল দূর্গা মন্দিরের সভাপতি শ্রী নগেন্দ্র চন্দ্র রায় পুরো প্রস্তুতি সম্পন্নের কথা বলেন।ফতেহপুর ইউনিয়নের কাইতগ্রাম সার্বজনীন পূজা মন্ডপের শ্রী সুরেশ নম বলেন তাদের মন্ডপে এখোনো প্রতিমা স্হাপন হয় নি। তবে বাকি সব কাজ সম্পন্ন। বৃহস্পতিবার প্রতিমা স্হাপন করা হবে বলে তিনি জানান।৬ নং চিকনাগোল ইউনিয়নের হাবিবনগর চা বাগান পূজা মন্ডপের সভাপতি শ্রী বাদল বাক্তি সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হওয়ার কথা জানান। শুধু মাত্র আলোকসজ্জার কাজ চলমান।জৈন্তাপুর হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা যাদবময় বিশ্বাসের সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত সবকিছু সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হচ্ছে। উপজেলা পূজা উৎযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ মোবাইল ফোনে সার্বক্ষণিক খোঁজ খবর নিচ্ছে। তাছাড়া প্রশাসন, উপজেলা পরিষদ, মডেল থানা সহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানবৃন্দ সার্বিক খোঁজ খবর নিচ্ছেন।পূজার প্রস্তুতি নিয়ে জৈন্তাপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তাজুল ইসলাম পিপিএম বলেন, প্রতিটি মন্ডপে পুলিশের একটি টিম নিরাপত্তা কাজে নিয়োজিত থাকবে। তাছাড়া একটি টহল টিম প্রতিটি মন্ডপে গিয়ে গিয়ে পরিদর্শন করবে এবং সেখানে মডেল থানার পক্ষ থেকে রাখা রেজিস্ট্রার খাতায় রিপোর্ট পেশ করবে। এ ছাড়া প্রতিটি মন্ডপে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও তদন্ত কর্মকর্তা পরিদর্শন করবে বলে তিনি জানান।জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল বশিরুল ইসলাম পূজার প্রস্তুতি দেখতে মঙ্গলবার বিকালে জৈন্তাপুর ইউনিয়নের তিনটি মন্ডপে পরিদর্শন করেন। মন্ডপগুলো হলো কেন্দ্রী, শ্রীপুর চা বাগান ও মোকামবাড়ী আলুবাগান। তিনি জানান এবছর প্রতিটি পূজা মন্ডপে সিসি ক্যামেরা দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করা হবে। পাশাপাশি পুলিশ ও আনসার সদস্যদ ছাড়াও সেচ্ছাসেবক টিম কাজ করবে। তাছাড়া প্রতিটি মন্ডপে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে মোবাইল নাম্বার দেয়া হয়েছে। যেকোন প্রয়োজনে যোগাযোগ করার জন্য বলা হয়েছে। তাছাড়া পূজা চলাকালীন সময় থেকে বিজয়া দশমী পর্যন্ত প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সর্বদা সেবা প্রদান করে যাবে বলে তিনি জানান। সেই সাথে সিমান্তবর্তী দুইটি মন্ডপে পুলিশ, আনসারের পাশাপাশি বিজিবি সদস্যরা নিরাপত্তা কাজে নিয়োজিত থাকবে বলে তিনি জানান। সবশেষে দলমত নির্বিশেষে সুন্দর ও সৌহার্দ্যপূর্ণ ভাবে পূজার আনুষ্ঠানিক তা সম্পন্ন করতে সকলের সহোযোগিতা কামনা করেন তিনি।