
মোস্তফা জামান চৌধুরী, স্টাফ রিপোর্টার।
কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার উখিয়া রাজাপালং ইউনিয়নের হিজলিয়া স্টেশনে স্পেশাল সার্ভিস ও সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষ বাঁধে, যাত্রীদের মধ্যে ১জন নিহত, ২ জন আশংকাজনকসহ মোট ৫জন আহত। নিহত ব্যক্তি হচ্ছে উখিয়া উপজেলায় এলজিইডি অফিসে নব যোগদানকৃত উপ-সহকারী প্রকৌশলী জহুরুল হক। কক্সবাজার থেকে টেকনাফ পর্যন্ত শহীদ এটিএম জাফর আলম সড়কে ফিটনেস বিহীন গাড়ি ও লাইসেন্স বিহীন অদক্ষ চালকদের বেপরোয়া গাড়ি চালানোর কারণে প্রতিনিয়ত সড়ক দুর্ঘটনা সংগঠিত হলেও কর্তৃপক্ষের টনক নড়েনা। মরিচ্যা লাল ব্রিজের উত্তর পাশে, ডুরুংখালী গোরামিয়ার গ্যারেজ, উখিয়া টিভি টাওয়ারের পাশে,বালুখালী, হোয়াইক্ষং ও হ্নীলাসহ বেশ কিছু স্পটে এ বছরে সড়ক দুর্ঘটনার কারণে বেশকিছু লোক হতাহত হয়েছে। টোকেন বাণিজ্য ও যথাযথ দায়িত্ব পালন না করায় সড়ক দুর্ঘটনা রোধ করা যাচ্ছে না সচেতন মহলের অভিযোগ ও ক্ষোভ রয়েছে। দুর্ঘটনা কবলিত স্থান সমূহ চিহ্নিত করে গতিরোধক স্পীড ব্রেকার নির্মাণ, রোডের টার্নিং পয়েন্টে গতিরোধক চিহ্নিত বোর্ড স্থাপন করা না হলে সড়ক দুর্ঘটনা বন্ধ হবে না স্থানীয়দের অভিমত। মরিচ্যা বাজার কমিটির সাবেক সভাপতি গফুর চৌধুরীর নাতি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হওয়ার পর থেকে উক্ত স্থানে অর্থ্যাৎ মরিচ্যা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ, জেএসআর শপিংমল ও পাগলির বিল সড়কের সামনে মেইন রোডে একটি গতিরোধক স্পীড ব্রেকার নির্মাণের দাবী জানিয়ে আসছেন স্থানীয় জনতা। বিষয়টি হাইওয়ে রোড কর্তৃপক্ষের এবং প্রশাসনের দৃষ্টি দেওয়া জরুরি। বিশেষ করে উখিয়া -টেকনাফে রোহিঙ্গা আসার পর থেকে এনজিও কর্মীদের যাতায়াতে ব্যাপক নিজস্ব গাড়ি,খাদ্য সরবরাহের গাড়ি, টুরিস্ট ও স্থানীয়দের যাতায়াতে ব্যাপক গাড়ি চলাচল হচ্ছে। ফলে দিনদিন সড়ক দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ছে। হাইওয়ে পুলিশ ও প্রশাসনিক তৎপরাতা ও যথাযথ পদক্ষেপে সড়ক দুর্ঘটনা কমিয়ে আনা সম্ভব বলে মনে করেন সচেতন মহল।