
এম ইদ্রিস ইমন, মোংলা (বাগেরহাট):
মোংলা বন্দরে তিন নম্বর সতর্ক সংকেত, বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতায় ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ।টানা বৃষ্টিতে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন দিনমজুর ও শ্রমিক-কর্মচারীরা। এদিকে বৃষ্টিপাতে পৌর শহরসহ উপজেলা বিভিন্ন ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে রাস্তাঘাট ও ঘরবাড়ী। ঘরবাড়ী তলিয়ে রান্নাবান্না বন্ধ হয়ে গেছে অনেক পরিবারের। রাস্তা ও ঘরে পানি উঠায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। মঙ্গলবার দিন-রাতের টানা বৃষ্টিপাতে মোংলা বন্দর ও পৌর শহরের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা জলাবদ্ধ হয়ে পড়েছেন। এছাড়া বুধবার ভোর থেকে কখন একটানা আবার কখনও থেমে থেমে হালকা-মাঝারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে মোংলার উপকূল জুড়ে। সামছুর রহমান রোডে বাসিন্দা বেগম বলেন, রান্না ঘরে পানি ওঠায় পাঁচদিন ধরে রান্নাবান্না অন্যের বাড়ী থেকে করে আনতে হচ্ছে। রাস্তার হাটু পানি ভেঙ্গে আমাদেরকে বাড়ীঘরে ও বাজারে যেতে হয়। রাস্তা ও ড্রেন কোনটাই নেই, রাস্তা দেখলে মনে হয় যেন খাল। এদিকে বৃষ্টিপাতের কারণে বন্ধ রয়েছে বন্দরে অবস্থানরত তিনটি সারবাহী বিদেশী বানিজ্যিক জাহাজের কাজ। বৃষ্টিতে সার ওঠানামা ও পরিবহণের কাজ সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে। তবে বাকী ৬টি বিদেশী জাহাজের কার্যক্রমও বিঘ্নিত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বন্দর ব্যবহারকারীরা। তবে বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার বিভাগের ষ্টাফ সৈকত বর্মন বলেন, বৃষ্টিপাতে বন্দরে জাহাজের স্বাভাবিক কাজ কর্ম বিঘ্নিত হচ্ছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট সঞ্চালনশী মেঘমালা সৃষ্টি হওয়ায় মঙ্গলবার মোংলা বন্দর তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত জারি করে আবহাওয়া অফিস। এরপর লঘুচাপের সৃষ্টি হওয়াতে মঙ্গলবার দিন-রাতে শুরু করে বুধবার ভোর থেকে টানা বৃষ্টিপাত বয়ে যাচ্ছে মোংলা বন্দরসহ সংলগ্ন সাগর ও সুন্দরবন উপকূলে। তবে এমন পরিস্থিতি আরো আগামী তিনদিন ধরে অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন মোংলা আবহাওয়া অফিস ইনচার্জ মোঃ হারুন অর রশিদ।