
মোঃ সজিব উদ্দিন, চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি >>>>
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার বেনীপুর সীমান্তে গুলিতে নিহত মিজানুর রহমানের (৫০) মরদেহ ৭দিন পর ফেরত দিয়েছে বিএসএফ।
বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে চুয়াডাঙ্গা জীবননগরের সীমান্ত ইউনিয়নের বেনীপুর সীমান্ত এবং ভারতের নোনাগঞ্জ সীমান্তের শূন্য রেখায় পতাকা বৈঠকের পর বিজিবির কাছে মরদেহটি হস্তান্তর করেন।
জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম জাবীদ হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপার শেখ পাড়ার নবীছদ্দিনের ছেলে এবং জীবননগরের সীমান্ত ইউনিয়নের বেনীপুর গ্রামের আয়ুব আলীর জামাতা।
ওসি এস এম জাবীদ হাসান জানান, মরদেহ নেওয়ার সময় বাংলাদেশের পক্ষে ৫৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের সহকারী পরিচালক সাইফুল ইসলাম, বেনীপুর বিওপি কমান্ডার আতিয়ার রহমান, জীবননগর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) এসএম রায়হান, উপ-পরিদর্শক (এসআই) সৈকত পাড়ে, সীমান্ত ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ইশাবুল ইসলাম মিল্টন ও জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তার মোস্তাফিজুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। এসময় মিজানুরের স্ত্রী নাসিমা খাতুন মরদেহটি সনাক্ত করেন। সনাক্তের পর বিএসএফ ও কৃষ্ণনগর থানা পুলিশ মরদেহ হস্তান্তর করেন। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
সীমান্ত ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ইশাবুল ইসলাম মিল্টন জানান, গত ৭ দিন আগে বৃহস্পতিবার মিজানুর ও তার সহযোগীরা অবৈধভাবে ভারতে যান। ফেরার সময় বিএসএফ সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়েন। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান মিজানুর। এসময় তার সহযোগীরা পালিয়ে যান। আজকে তার মরদেহ বিজিবি ও বিএসএফের প্রতিনিধিসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত দুই দেশের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে মরদেহটি ফেরত দেয় বিএসএফ । মিজানুরের মরদেহ দাফনের জন্য তার নিজ বাড়ি ঝিনাইদহের শৈলকূপা শেখপাড়া গ্রামে অ্যাম্বুলেন্স যোগে নিয়ে গেছেন।