
মোঃ আঃ লতিফ মিয়া সখিপুর(টাঙ্গাইল)প্রতিনিধি;
১৫ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) টাঙ্গালের সখিপুর উপজেলার দাড়িয়াপুর ইউনিয়ন বিএনপির আয়োজনে দাড়িয়াপুর খোলাঘাটা বাজারে বিকেলে এক বিশাল প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে দাড়িয়াপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোঃ কবির হোসেনর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য উপস্থাপন করেন-কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-সভাপতি আলহাজ এডভোকেট আহমেদ আযম খান। আরও বক্তব্য রাখেন টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সভাপতি মোঃ হ্সাানুজ্জামান শাহীন, সাধারণ সম্পাদক মোঃ ফরহাদ ইকবাল, সখিপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা মোঃ শাহজাহান সাজু। এ সময় উপস্থিত ছিলেন,সখিপুর পৗর বিএনপির সভাপতি মোঃ নাসির উদ্দিন,সাধারণ সম্পাদক মীর আবুল হাশেম আজাদ, হাজি আঃ গণি,সকল ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি,সম্পাদক,যুবদল,ছাত্রদল এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। প্রধান অতিথিসহ সকল বিএনপি নেতার একই কথা দেশে হলোটা কি ? এ দাড়িয়াপুরে ১০দিন পূর্বের নির্মম হত্যাকারীদেরকে কেন ধরা হচ্ছেনা, বা কেন এ মৃত্যুর রহস্য উদঘাটন করতে পারছেন না প্রশাসনের কাছে এ জবাব চান সকল বক্তা। এ দেশে আইনের শাসন নাই,যদি আইনের শাসন থাকতো তাহলে ২৪ ঘন্টার মধ্যেই এ হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন করা হতো বা আসামীদের ধরা হতো। প্রধান অতিথি প্রশাসনের কাছে বলেন সামিয়া হত্যাকারীদের অতিদ্রæত গ্রেফতার করে ফাঁসিতে ঝুলাবেন। নইলে এলাকার মানুষ ফুসে উঠবে।প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, টাঙ্গাইলের সখিপুরে ৬ সেপ্টেম্বর (বুধবার) অপহরণ হয় তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী সামিয়া (৯)। অপহরণের ২দিন পর শুক্রবার দুপুর ১টায় বাড়ি থেকে আধা কিলোমিটার দূরে বনের ভেতর একটি ড্রেন থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। এর আগে বৃহস্পতিবার এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর বাবা রঞ্জু মিয়া সখিপুর থানায় মামলা করেন। জানা গেছে, সামিয়া উপজেলার দাড়িয়াপুর গ্রামের রঞ্জু মিয়ার মেয়ে এবং দাড়িয়াপুর মাঝিরচালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। সূত্রে জানা গেছে, বুধবার (৬ সেপ্টম্বর) সকাল ৭টায় ওই ছাত্রী বাড়ি থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রবীন্দ্রনাথের কাছে প্রাইভেট পড়তে যায়। প্রাইভেট পড়া শেষ হলে সহপাঠীদের সাথে বাড়ি ফেরার উদ্দেশ্যে বের হয়। পথে একটি দোকানে সহপাঠীরা কেনাকাটা করতে দাঁড়ালে সে একাই বাড়ির উদ্দেশে রওনা হয়। এদিকে বাড়ি ফিরতে বিলম্ব হওয়ায় মা রুপা বেগম শিক্ষককে ফোন দিয়ে জানতে পারেন তার মেয়ে অনেক আগেই চলে গেছে। পরে মা মেয়েকে খুঁজতে বের হলে বাড়ির কাছাকাছি একটি স্থানে মেয়ের ব্যবহৃত জুতা পড়ে থাকতে দেখেন। এর কিছুক্ষণ পর তার মোবাইল ফোনে পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে একটি অডিওবার্তা আসে। অডিওবার্তায় বলা হয়, আসসালামু আলাইকুম। আপনার মেয়ে ভালো আছে টাঙ্গাইলে আছে, আজকের মধ্যে পাঁচ লাখ টাকা দিলে মেয়ে পাবেন। বিষয়টি পুলিশ ও এলাকার কাউকে জানাবেন না। জানালে আপনার মেয়ের ক্ষতি হবে। গত (৬ সেপ্টেম্বর) শুক্রবার পাশের একটি বনের ভেতর ড্রেনের মধ্যে মাটি চাপা দেয়া লাশটি উদ্ধার করে সখিপুর থানা পুলিশ। এর পূর্বে প্রধান অতিথিসহ সকল নেতাকর্মি সামিয়ার বাবা-মায়ের সাথে দেখা করেন এবং শান্তনা দেন।