
আব্দুল্লাহ আল মারুফ নিজস্ব প্রতিবেদক
দেশ একটি ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। দেশের শান্তি, শৃঙ্খলা ও স্থিতিশীলতা বিনষ্ট করার চেষ্টা চলছে। দেশের সম্পদ বিশ^ বেনিয়াদের হাতে তুলে দেওয়ার অপচেষ্টা চলছে। সাংবাদিকরা মানুষকে সঠিক নির্দেশনা দিতে পারে। রাজনীতির নামে মানুষ পোড়ানো, গাড়ি ঘোড়া পোড়ানো এবং নিজেদের ক্ষমতার স্বার্থে বিদেশী বেনিয়াদের হাতে দেশটাকে তুলে দেওয়ার অপচেষ্টা এটির বিরুদ্ধে আপনারা কলম তুলবেন। সাংবাদিকরা মানুষের তৃতীয় নয়ন খুলে দেয়। আপনারা যদি অপশক্তির বিরুদ্ধে কলম ধরেন সেটি জনমত গঠন করার ক্ষেত্রে সহায়ক হবে।আজ সকালে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন (সিইউজে) বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের অনুদানের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, এমপি এসব কথা বলেন।এসময় মন্ত্রী আরো বলেন, আমাদের সরকার সাংবাদিক বান্ধব সরকার। সে কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত আগ্রহে সাংবাদিকদের কল্যাণে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। প্রথমে একটি তহবিল গঠন করা হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী প্রাথমিকভাবে সে তহবিলে ১০ কোটি টাকা দিয়েছিলেন। এর বাইরেও আমরা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কিছু টাকা দিয়ে শুরু করেছিলাম। উপমহাদেশের কোথাও সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন করা হয়নি। করোনাকালীন সহায়তা ও অন্যান্য সহায়তা মিলে ২০২২ সালে এ ট্রাস্ট থেকে ১০ কোটি টাকার বেশি অনুদান দিয়েছি। চট্টগ্রামে গত তিন বছরে সাংবাদিকদের যত টাকা অনুদান দেওয়া হয়েছে এর আগে ৪০ বছরেও সেটি হয়নি।তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সাংবাদিকদের চাকরির কোন নিশ্চয়তা নাই। অথচ সাংবাদিকরা অনেক মেধাবী। যারা একরার সাংবাদিকতা পেশায় যুক্ত হয়, তারা আর এ পেশা ছাড়তে পারে না। আমি মনে করি চাকরির নিশ্চয়তা প্রয়োজন। আমরা গণমাধ্যম কর্মী আইন প্রনয়ন করেছি। সেটি সংসদে পাঠানো হয়েছে ১ বছরেরও বেশি সময় আগে। কিন্তু সমস্ত মালিকরা এক জোট হয়ে এ আইনের বিরোধীতা করেছে। সে কারণে সেটি ধীর হয়ে গেছে। অথচ মন্ত্রীসভায় এটি পাশ হয়েছে। মন্ত্রণালয় থেকে সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়েছে। আমি দায়িত্ব পাওয়ার পর যতটুকু সম্ভব চেষ্টা করেছি। বাকি সময়েও চেষ্টা করে যাবো।পরে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী চট্টগ্রামের ৪৪ জন সাংবাদিকের হাতে অনুদানের চেক বিতরণ করেন।চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি তপন চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে চট্টগ্রাম ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ সভাপতি শহিদুল আলম, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের সদস্য কলিম সরওয়ার, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আলী আব্বাস, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক দেবদুলাল ভৌমিকসহ প্রমূখ বক্তৃতা রাখেন।