লেখক – শাহাদাত হোসেন তালুকদার >>> ছোট বেলায় গ্রামীন সমাজে মানুষের মাঝে সাধারণ আত্মীয় প্রথায় দেখতাম কোরবানির দিন মেয়ের শ্বশুর বাড়িতে বাপ ভাই কিংবা অন্য কাউকে দিয়ে রান্না করা মাংশ ও চাউলের রুটি ইত্যাদি পাঠিয়ে দিতেন বা নিয়ে যেতেন বেয়াই কিংবা আত্মীয় বাড়িতে,ইহার আরও পরবর্তীতে দেখেছি সমাজে যারা একটু উঁচু নামীদামী মানুষ রূপে ভাবতে চান বা ভাবেন তাদের রেওয়াজে রান্না করা মাংশ রুটি এইসব নিয়ে বেয়াই বাড়িতে টানা হেচরার চাইতে ভক্তি মূলক আত্মীয় মর্যাদার খাতিরে মেয়ের শ্বশুর বাড়িতে বরং একটা ছাগল পৌঁছিয়ে দিতেন,এই ভাবে অতি পয়সা ওয়ালা বড়লোকি হাবভাব জাইরির মানসে বিশেষ করে ঘুষ কিংবা অবৈধ ও অসৎপথে অর্জিত টাকাকড়ির প্রতিপত্তিদের দৌড়ারাত্বের কারণে বিষয়টি এখন কালে ভাদ্রে কুপ্রথা ও নিষ্কৃষ্টতম কুপ্রচলনে রূপ নিয়ে এক পর্যায়ে আজ সমাজের প্রতিটি স্তরে বহুকাল ধরে রেওয়াজ হিসাবে বর্তমান সময়ে বিবাহিতা কুমারী বঁধুর সংসারে এক প্রকার মনস্তাত্ত্বিক চাপ সৃষ্টি ও নির্যাতন নীপিড়নসহ ক্রমান্বয়ে ইহা এক প্রকার সামাজিক ব্যাধিতে রূপ ধারণ করে,
ইহার ফলশ্রুতিতে বর্তমানে অহরহ হত্যা কিংবা আত্মহত্যারের মত চরম অমানবিক ঘটনা প্রবাহ চলমান দেখা যায়,ইহাতে কম বেশী প্রায় প্রতিটি পরিবার ভুক্তভোগী হতে দেখা যায়,
এহেন ঘৃণ্য ও হৃদয় বিদারক ঘটনার কাছে মানুষ এখন রীতিমতো জিম্মি ও অত্যন্ত অসহায়,এই কুপ্রথা প্রচলনের কাছে হিমসিম খেয়ে পড়ছে অসহায় ও হতদরিদ্র বিশাল জনগোষ্ঠী,
বিশেষ করে চট্টগ্রামের সমাজ ব্যবস্থায় এর প্রভাব খুবই লক্ষণীয়,ফলে ইহার উপর ভিত্তি করে বাড়ছে গৃহ বঁধুদের উপর অত্যাচার নির্যাতনসহ কোনও ক্ষেত্রে ঘটছে খুন হত্যা ও আত্মহত্যার মত নির্মম নির্দয় ও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা,সম্প্রতি হাটহাজারীস্থ মির্জাপুর ইউনিয়নের ঘটনাটি অত্যন্ত জঘন্য ও হৃদয়বিদারক,কাজে এ সমস্ত প্রথা প্রচলন নির্মূলের জন্য সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি এখনই জরুরী,
প্রয়োজনে এ বিষয়ে আইন প্রনয়নের মাধ্যমে ইহার তড়িৎ ব্যবস্থা সহ সমাধান কল্পে বিহিত ব্যবস্থা গ্রহণ করা অত্যাবশ্যক,এই প্রথা ও প্রচলনের বিরুদ্ধে সবাই রুখে দাঁড়ান এবং প্রত্যেকে সোচ্চার হোন গরু ছাগল দেওয়া নেওয়ার মত এ সমস্ত ফকিরা আবদার বা ভদ্র চাঁদাবাজি সমূহ শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসাবে গন্য করা খুবই বাঞ্চনীয় ও প্রাসঙ্গিক,প্রয়োজনে ইহাতে রাষ্ট্রের আইন প্রনয়নের মাধ্যমে এই ঘৃন্য ও জঘন্য প্রথা প্রচলন নির্মূল ও বিলুপ্ত করার জন্য সকলে এগিয়ে আসা দরকার।

